পরে খেলা শুরু হলেও অস্বাস্থ্যকর ধোঁয়াশায় শ্রীলঙ্কান বোলাররা অসুস্থ হয়ে পড়েন। এমনকি খেলা চালিয়ে যাওয়া নিয়ে আপত্তিও জানান শ্রীলঙ্কান দলপতি দিনেশ চাদিমাল।
ভারতের মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশন এই পরিস্থিতিকে জনস্বাস্থ্যের জন্য 'ইমার্জেন্সি' বলে ঘোষণা করেছে। অনেকেই মনে করছেন গ্যাস চেম্বারের পরিণত হয়েছে দিল্লি। মাত্রাতিরিক্ত দূষণের কারণেই এই ধোঁয়াশার সৃষ্টি। পরিস্থিতি উন্নতির বদলে দিন দিন আরও খারাপই হচ্ছে। ইতোমধ্যেই সেখানকার কিছু কিছু স্কুল-কলেজ-অফিসে ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে। এয়ার পলিউশন মিটারে দূষণের মাত্রা ছাড়িয়েছে ৪১১। যা স্বাভাবিকের থেকে অনেক বেশি। দূষিত বাতাসের কারণে লঙ্কান ক্রিকেটারদের চোখ জ্বালা করে, মাঠেই তাদের শ্বাসকষ্ট শুরু হয়।
ইনিংসের ১২৩তম ওভারে লাহিরু গামাগে শ্বাসকষ্ট অনুভব করলে শ্রীলঙ্কা অধিনায়ক কথা বলেন ফিল্ড আম্পায়ার নাইজেল লং ও জোয়েল উইলসনের সঙ্গে। আম্পায়ারদের সঙ্গে দীর্ঘ আলোচনাতেও সমাধানসূত্র না বেরনোয় ম্যাচ রেফারি ডেভিড বুন ডাক্তারদের পরামর্শ নেন। ডাক্তাররা আশ্বস্ত করার পরেই খেলা শুরুর নির্দেশ দেন তিনি। অনিচ্ছা সত্ত্বেও খেলা চালিয়ে যেতে বাধ্য হন চাদিমালরা। ধারাভাষ্যকাররা বায়ু দূষেণর জন্য এই বিরতিকে ‘অক্সিজেন ব্রেক’ হিসেবে উল্লেখ করেন। বিরতির পর খেলা শুরু হলে গামাগে প্রথম বলেই তুলে নেন রবিচন্দ্রন অশ্বিনের উইকেট। তবে পরের ওভারে বল করতে এসে পুনরায় শ্বাসকষ্ট অনুভব করেন তিনি। তড়িঘড়ি তাকে সাজঘরে ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। শ্রীলঙ্কার বেশিরভাগ ক্রিকেটারই সকাল থেকে মাস্ক লাগিয়ে মাঠে নামেন। তবে মাঠে ডাক্তার ও ফিজিওর যাওয়া-আসা লেগেই ছিল। ১২৭তম ওভারে সুরাঙ্গা লাকমল মাঠ ছাড়েন একই কারণে। শ্রীলঙ্কার টিম ম্যানেজার মাঠে এসে আম্পায়ারদের সঙ্গে কথা বলেন এবং খেলা বন্ধ করার দাবি জানান। মাঠে নেমেছিলেন ভারতীয় কোচ রবি শাস্ত্রীও। আম্পায়ারদের ‘কিছুই’ করণীয় নেই জেনে পরে লঙ্কান ট্রেনার নিজেই জার্সি গায়ে চেপে ফিল্ডিংয়ে নামতে চেয়েছিলেন।
তবে, কোহলি ড্রেসিং রুম থেকে সংকেত দেন লঙ্কানদের দশজন নিয়ে কিংবা ট্রেনারকে নামিয়ে একাদশ পূর্ণ করে খেলতে হবে না। সেখান থেকেই ভারতের ইনিংস ঘোষণা করেন কোহলি।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৪৩ ঘণ্টা, ৩ ডিসেম্বর ২০১৭
এমআরপি