ঠিক একারণেই উইকেটের দৈন্যতা ছাপিয়ে ভাইকিংস অধিনায়ক লুক রঞ্চির কাছে নিজ দলের ব্যাটিং দৈন্যতাই বড় হয়ে ধরা দিয়েছে। তার মতে যে উইকেটে খেলা হয়েছে সেখানে ব্যাটসম্যানরা ভালো ব্যাটিং করলে কমপক্ষে ১২০ রান হতে পারতো।
রোববার (৩ ডিসেম্বর) ম্যাচ পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে এসে সংবাদ মাধ্যমকে এমনটিই বলেন রঞ্চি, ‘দলের কিছু সহজ আউট আমরা সবাই দেখেছি। উইকেট ভালো ছিল কিন্তু আমাদের ব্যাটিং ছিলো দৈন্যতায় ভরা। হতে পারে অন্য দিনের উইকেট আলাদা ছিল এবং ব্যাটসম্যানরাও আলাদা শটস খেলার চেষ্টা করেছে। কিন্তু আজ আমাদের ব্যাটসম্যানরা ভালো করতে পারেনি। ’
বিপিএলের চলতি আসরে ঢাকার দুই পর্ব্ বাদ দিলে সিলেট ও চট্টগ্রামে অনুষ্ঠিত দুই পর্বেই কিন্তু রান উৎসব চোখে পড়েছে। চট্টগ্রামের প্রায় প্রতিটি ম্যাচেই গড়ে ১৭০-১৮০ করে রান দেখা গেছে। বিপিএলের সর্বোচ্চ দলীয় সংগ্রহও (২১৩) কিন্তু সাগরিকার ওই উইকেটেই এসেছে।
সিলেট স্টেডিয়ামের গড় অতটা বেশি না হলেও মিরপুরের মতো এতটা লোয়ার স্কোরিং ছিল না। সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত আটটি ম্যাচের সর্বনিম্ন স্কোর ছিল ১৩৫ রান। আর সর্বোচ্চ ২০২ রান। যেখানে মিরপুরের চিত্র সম্পূর্ণই উল্টো।
সঙ্গত কারণেই সংবাদ সম্মেলনে অন্য সব কিছু ছাপিয়ে উইকেটের আলোচনায়ই মুখ্য হয়ে উঠে। শনিবার (২ ডিসেম্বর) রংপুর রাইডার্স ও কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের মধ্য রাইডার্সদের ৯৭ রানের স্বল্প রানের ম্যাচের পর সংবাদ সম্মেলনের পুরোটা জুড়েই উইকেটের আলোচনা ছিল। রোববারও (৩ ডিসেম্বর) তার ব্যতিক্রম ঘটলো না।
প্রশ্ন উঠবেই বা না কেন? এদিন সিলেট সিক্সার্স ও চিটাগং ভাইকিংসের মধ্যকার ম্যাচটি আরও কম রানের ছিল। সিলেটের স্পিনারদের ঘূর্ণিতে যে ৬৭ রানে বালুর বাধের মতো ভেঙে পড়ে চিটাগংয়ের ঘর। বিপিএলে চার ছক্কার ধুম-ধারাক্কা দেখতে এসে এত স্বল্প রানের ইনিংস আর মাত্র ২ ঘণ্টায় খেলার পরিণতি দেখে নিশ্চয়ই দর্শক মনে হতাশা ছাড়া আর কিছুই ভর করে না।
বাংলাদেশ সময়: ১৭১৪ ঘণ্টা, ৩ ডিসেম্বর ২০১৭
এইচএল/এমআরপি