তিনি বলেন, ‘এটা আসলে বোর্ড থেকে দেয়া হয়েছে, ক্রিকেট অপারেশন্স থেকে দেয়া হয়নি। যেসকল খেলোয়াড় চুক্তিতে রয়েছে তাদের সঙ্গে চুক্তিতে আছে, কোন কথা বলা যাবে আর কোন কথা বলা যাবে না।
মঙ্গলবার (৫ ডিসেম্বর) মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে একথা বলেন আকরাম খান। ‘তামিম সত্য কথাই বলেছে’
বিপিএলের চলতি আসরের শুরু থেকেই মিরপুরের উইকেটের বিরূপ আচরণ চোখে পড়েছে। বলে দুই রকমের বাউন্স, হঠাৎ হঠাৎ অস্বাভাবিক টার্ন, আবার কখনও বা স্কিড করছে। যা ব্যাটসম্যানদের জন্য খেলা বস্তুতই কঠিন হয়ে উঠেছে। উইকেটের এমন আচরণে রীতিমত রানের বদ্ধভূমিতে পরিণত হয়েছে হোম অব ক্রিকেটের এই উইকেট।
সিলেট পর্বের পর ঢাকার প্রথম পর্ব তো বটেই চট্টগ্রাম থেকে ঢাকায় দ্বিতীয় পর্বের শুরু থেকেই উইকেটের রান-কৃপণতা ছিলো চোখে পড়ার মত।
শনিবার (২ ডিসেম্বর) কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স ও রংপুর রাইডার্সের মধ্যকার ৯৭ রানের পরদিনই সিলেট সিক্সার্স ও চিটাগং ভাইকিংসের মধ্যকার ম্যাচটিতে সাকুল্যে রান আসলো ৬৭।
তবে তামিম উইকেট নিয়ে কড়া ভাষার সমালোচনা করেছিলেন ২ ডিসেম্বর রংপুরের বিপক্ষে ম্যাচের পর। তিনি বলেছিলেন, ‘দশ দিন এই মাঠে খেলা হয়নি, উইকেটের বিশ্রাম হয়েছে। এরপরও সেই উইকেট! আমার কাছে যে জিনিসটা খারাপ লাগছে, এতগুলো দর্শক আসলো তারা এসে যদি ৯৭ রানের খেলা দেখে এটা তাদের জন্য ভীষণ হতাশার। এমন জঘন্য উইকেটে খেলা হলে তো সম্ভব না। ’ এর আগে পুরষ্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে উইকেটকে ‘হরিবল’ বলেছিলেন।
তামিমের এমন সত্য কথা হয়তো মেনে নিতে পারেননি বাংলাদেশ ক্রিকেটের কর্তাব্যক্তিরা। তাই তার ওপর রুষ্ঠ হয়েই তাকে কারণ দর্শানোর চিঠি দিয়ে তার বাকরুদ্ধ করার চেষ্টা করছেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৩৫ ঘণ্টা, ৫ ডিসেম্বর, ২০১৭
এইচএল/এমআরএম