সংযুক্ত আরব আমিরাতের শারজাহ ক্রিকেট স্টেডিয়ামে পরীক্ষামূলকভাবে চলছে চারদিনের টি-টেন লিগ টুর্নামেন্ট। গত নভেম্বরে অনুষ্ঠিত প্লেয়ার ড্রাফটে প্রথম খেলোয়াড় হিসেবে আমিরকে দলে ভেড়ায় মারাঠা এরাবিয়ান্স।
তিন ম্যাচে ৬ ওভার বোলিং করে একটি উইকেট পেলেও আমিরের ইকোনমি রেট ৮.৮৩। যা ১০ ওভারের ম্যাচে ভালোই বলা চলে। পাঞ্জাবি লিজেন্ডসের বিপক্ষে শনিবারের (১৬ ডিসেম্বর) ম্যাচে তার দুই ওভারে ১৪ রানের বিনিময়ে এক উইকেটের স্পেল গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখে। ১৩০ করে ১৪ রানের জয়ে সেমিফাইনাল নিশ্চিত করে এরাবিয়ান্স।
আমিরের চোখে তুলনা করতে গেলে টি-১০ ম্যাচে ১২টি করে বল করা অন্য ফরমেটকে সহজতর করে দেবে, ‘অবশ্যই এটা কাজে দেবে। এই ফরমেটে ডট বল করাটাই সবকিছু। আপনি যত বেশি ডট বল দেবেন, তত বেশি আত্ববিশ্বাস পাবেন। যদি আপনি টি-১০ ক্রিকেটে খরুচে রান না দেন, টি-২০ ক্রিকেট অনেক লম্বা ফরম্যাট মনে হবে। ’
‘এটা উচ্চ চাপের ফরম্যাট এবং যদি আপনি এখানে ভালো করেন, টি-২০ ক্রিকেটে চাপটা কম অনুভূত হবে। একদিক থেকে বোলারদের জন্য এটি খুবই পরীক্ষার ফরমেট। দক্ষতা পরীক্ষার জন্য এটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ, কারণ প্রতিটি বল নিয়েই আপনাকে ভাবতে হবে। তাই ভালোভাবে ইয়োর্কার ও স্লোয়ার বল করাটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ, কারণ ব্যাটসম্যান লেন্থথ বল খুব ভালোভাবে হিট করতে পারে। একজন ফাস্ট বোলারের তার পেস সঠিকভাবে ব্যবহার করতে হবে এবং আমি তাই করছি। আমি আমার বোলিংয়ে সম্ভাব্য সব রকমের ভ্যারিয়েশন আনার চেষ্টা করে যাচ্ছি। ’-যোগ করেন আমির।
বাংলাদেশ সময়: ১৪১৫ ঘণ্টা, ১৭ ডিসেম্বর, ২০১৭
এমআরএম