ঢাকা, রবিবার, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ক্রিকেট

মেন্ডিসের ডাবল সেঞ্চুরি মিস, তাইজুলের ব্রেকথ্রু

স্পোর্টস ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৮১৫ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২, ২০১৮
মেন্ডিসের ডাবল সেঞ্চুরি মিস, তাইজুলের ব্রেকথ্রু ছবি: সোহেল সরওয়ার - বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

ক্যারিয়ার সেরা ইনিংস খেলে ডাবল সেঞ্চুরি থেকে মাত্র ৪ রান দূরে থাকতে আউট হলেন কুশল মেন্ডিস। মূল্যবান ব্রেকথ্রু এনে দিয়েছেন তাইজুল ইসলাম। মুশফিকের রহিমের হাতে ধরা পড়েন লঙ্কান ওপেনার। চট্টগ্রাম টেস্টের প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশের ৫১৩ রানের জবাবে চারশ’ পেরিয়ে তৃতীয় উইকেট হারালো শ্রীলঙ্কা।

মেন্ডিসকে ফেরানোর কয়েকটি সুযোগ পেয়েও কাজে লাগাতে না পারার খেসারত দিতে হয়েছে। তার ব্যাটে ভর লিড নেওয়ার ভিত পায় লঙ্কানরা।

যোগ্য সঙ্গ দেন ধনাঞ্জয়া ডি সিলভা।

ধনাঞ্জয়ার (১৭৩) সঙ্গে ৩০৮ রানের জুটির পর রোশেন সিলভাকে নিয়ে তৃতীয় উইকেট জুটিতে ১০৭ রান যোগ করেন মেন্ডিস। ম্যাচে ফিরতে দ্রুত উইকেট ফেলার বিকল্প নেই টাইগারদের।

এ রিপোর্ট লেখা অবধি শ্রীলঙ্কার দলীয় সংগ্রহ ১০৫ ওভার শেষে তিন উইকেটে ৪১৫। সিলভা ৩৭ রানে ব্যাট করছেন। অপর প্রান্তে অধিনায়ক দিনেশ চান্দিমাল।

মেন্ডিস-সিলভা জুটি ভেঙে তৃতীয় দিনের প্রথম ব্রেকথ্রু এনে দেন মোস্তাফিজুর রহমান। ক্রস খেলতে গিয়ে ব্যাটে ঠিকমত সংযোগ না হওয়া নতুন বলের শর্ট ডেলিভারির হাওয়ায় ভাসানো ক্যাচ গ্লাভসবন্দি করেন লিটন দাস। ডাবল সেঞ্চুরির আক্ষেপ নিয়ে মাঠ ছাড়েন ডি সিলভা।

রানের খাতা না খুলতেই দিমুথ করুণারত্নেকে হারানোর পর মেন্ডিস ও সিলভার ব্যাটিং নৈপুণ্যে দুর্দান্তভাবেই ঘুরে দাঁড়ায় লঙ্কানরা। শুক্রবার (২ ফেব্রুয়ারি) ১ উইকেটে ১৮৭ রান নিয়ে তৃতীয় দিনের ব্যাটিংয়ে নামে সফরকারীরা।

দ্বিতীয় দিনে সুযোগ কাজে লাগাতে পারলে চাপে পড়ে যেতে পারতো লঙ্কান শিবির। মোস্তাফিজুর রহমানের বলে স্লিপে ক্যাচ মিস না হলে শুরুতেই বিদায় নিতেন মেন্ডিস। ব্যক্তিগত ৪ রানে জীবন পেয়ে বেশ ভুগিয়েছেন লঙ্কান ওপেনার। ইনিংসের তৃতীয় ওভারে ব্রেকথ্রু এনে দেন মেহেদি হাসান মিরাজ। স্লিপে ইমরুল কায়েসের তালুবন্দি হন করুণারত্নে (০)।

এর আগে জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে দুই ম্যাচ সিরিজের প্রথম টেস্টে চালকের আসনে থেকে দ্বিতীয় দিনে ব্যাটিং শুরু করে টাইগাররা। প্রথম দিন শেষে দলীয় সংগ্রহ ছিল ৪ উইকেটে ৩৭৪।

লক্ষ্য পূরণ হয়নি ‘লিটল মাস্টার’ মুমিনুল হকের। নিজের আগের সর্বোচ্চ ১৮১ রানের ইনিংস ও ডাবল সেঞ্চুরি ছোঁয়ার অপেক্ষাটা আরও দীর্ঘায়িত হলো তার। থামেন ১৭৬ রানে। ২১৪ বলের সাজানো ইনিংসটিতে ছিল ১৬টি চার ও ১টি ছক্কার মার।

দায়িত্বশীল ব্যাটিংয়ে ৮৩ রানে অপরাজিত থেকে যান ইনজুরি আক্রান্ত সাকিব আল হাসানের অনুপস্থিতিতে টেস্ট অধিনায়ত্বের অভিষেক হওয়া মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। মিরাজ ২০ (রানআউট) ও অভিষিক্ত সানজামুল ইসলাম ২৪ রান করেন। মুমিনুল-মুশফিক-মাহমুদউল্লাহদের ব্যাটে ভর সবকটি উইকেট হারিয়ে ৫১৩ রানের বড় সংগ্রহ পায় দল।

মুমিনুলের সঙ্গে ২৩৬ রানের তৃতীয় জুটিতে সেঞ্চুরি বঞ্চিত হন মুশফিকুর রহিম (৯২)। তামিম ইকবাল ৫২, ইমরুল কায়েসের ব্যাট থেকে আসে ৪০। এই ম্যাচ দিয়ে বাংলাদেশের হয়ে টেস্টে দুই হাজারি রানের ক্লাবে প্রবেশ করেন মুমিনুল ও মাহমুদউল্লাহ।

সফরকারীদের হয়ে তিনটি করে উইকেট নেন হেরাথ ও পেসার সুরাঙ্গা লাকমল। লক্ষণ সান্দাকান দু’টি ও অন্যটি অরেক স্পিনার দিলরুয়ান পেরেরার।

বাংলাদেশ সময়: ১৪১৪ ঘণ্টা, ২ ফেব্রুয়ারি, ২০১৮
এমআরএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।