ঢাকা, সোমবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ক্রিকেট

আবাহনীকে রুখে দিল শেখ জামাল

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১১২৭ ঘণ্টা, মার্চ ২৭, ২০১৮
আবাহনীকে রুখে দিল শেখ জামাল ছবি: শোয়েব মিথুন - বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

ফতুল্লা থেকে: ঢাকা প্রিমিয়ার লিগের চলতি মৌসুমে শিরোপার পথে ছুটে চলা আবাহনীকে রুখে দিয়েছে শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাব। সুপার লিগের দ্বিতীয় ম্যাচে নুরুল হাসান সোহানদের আক্রমণাত্মক বোলিংয়ের সামনে ২৫৭ রানের মাঝারি লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ৪৭.২ ওভারে ২৩০-এ গুটিয়ে গেছে মাশরাফি-নাসিরদের ইনিংস।

দিন শেষে ২৬ রানের জয় এসেছে শেখ জামাল শিবিরে। এদিন এনামুল হক বিজয়ের সঙ্গে ওপেনিংয়ে নেমে চমকে দিয়েছিলেন আবাহনীর কাণ্ডারি মাশরাফি বিন মর্তুজা।

কিন্তু ঠিক যেন নিজেকে মেলে ধরতে পারেননি। ৮ বলে ৭ রান সংগ্রহ করে আবু জায়েদ রাহির বলে বোল্ডআউট হয়ে ফিরে গেছেন ড্রেসিংরুমে।

অনভ্যস্ত বলেই হয়তো এদিন ব্যাটে হয়নি মাশরফির। কিন্ত দলের স্বীকৃত ব্যাটসম্যানরা কেন পারলেন না সেটা কিন্তু প্রশ্নবোধক থেকেই যাচ্ছে। টেলএন্ডার মেহেদি হাসান মিরাজ ৩২ বলে ৩৫, তাসকিন আহমেদ ২৮ বলে ৩১ ও সানজামুল ইসলাম ১৯ বলে ২৭ রানের ইনিংসটি না খেললে আলবৎ হারের ব্যবধানটি আরও বেশি হতো।

ছবি: শোয়েব মিথুন - বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কমদলের হয়ে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৩৪ রান করেছেন ওপেনার এনামুল হক বিজয়। অধিনায়ক নাসির হোসেন ৫৫ বলে করেছেন ২৮ রান। আর মোসাদ্দেক হোসেন ইনিংসের সমাপ্তি টেনেছেন ২৭ রানে।  টপঅর্ডার নাজমুল হোসেন শান্ত ০, হানুমা ভিহারির সংগ্রহ ২৩। উইকেটরক্ষক-ব্যাটসম্যান মোহাম্মদ মিঠুনের ব্যাট থেকে এসেছে ৫।

শেখ জামালের হয়ে বল হাতে আবু যায়েদ রাহি ও রবিউল হক ৩টি করে উইকেট দখল করেন। সোহাগ গাজী, নাজমুল ইসলাম, ইলিয়াস সানি ও জিয়াউর রহমান নিয়েছেন ১টি করে।

মঙ্গলবার (২৭ মার্চ) ফতুল্লার খান সাহেব ওসমান আলী স্টেডিয়ামে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নামা শেখ জামাল নিজেদের প্রথম উইকেট খুইয়েছে দলীয় ৯০ রানে। মিরাজের ঘূর্ণিতে মিঠুনের গ্লাভসে ক্যাচ দিয়ে ব্যক্তিগত ৫৬ রানে ফেরেন সৈকত আলী। এই রান সগ্রহ করতে তিনি চারটি ৬ ও দুটি ৬ হাঁকান।

ছবি: শোয়েব মিথুন - বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কমসৈকতের বিদায়ের পর ৪ রান যোগ না হতেই ব্যক্তিগত ০ রানে ফিরেছেন রাকিন আহমেদ। এবারও ঘাতক সেই মিরাজ। এরপর তৃতীয় উইকেটে তানবীর হায়দারকে নিয়ে বেশ শক্ত হাতেই আবাহনী বোলারদের মোকাবেলা করছিলেন ভারতের উন্মুক্ত চাঁদ। তবে খুব বেশি দূর ইনিংসটিকে টেনে নিতে পারেননি। দলীয় ১৭৫ ও ব্যক্তিগত ৩১ রানে রান আউটের ফাঁদে পড়ে বিদায় নিয়েছেন তার সঙ্গী তানবীর হায়দার।

তানভীর ফিরে গেলেও উইকেটের অপর প্রান্তে থাকা চাঁদ বোধ হয় পণই করেছিলেন, সেঞ্চুরি না করে ফিরবেন না। করলেনও তাই। তুলে নিলেন ব্যাক-টু-ব্যাক সেঞ্চুরি। তখনও চ্যালেঞ্জিং সংগ্রহের স্বপ্ন দেখছিল শেখ জামাল।

কিন্তু আৎকা সেখানে বাধ সাধলেন মাশরাফি।  ৪৩তম ওভারে একেবারে প্রথম বলেই কট অ্যান্ড বোল্ড করে দিলেন সেঞ্চুরিয়ান উন্মুক্ত চাঁদকে (১০১)।  এক বল বিরতিতে মিঠুনের হাতে তুলে দিলেন জিয়াউর রহমানকে (৬)।

ছবি: শোয়েব মিথুন - বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কমফলে অনেকটাই ব্যাকফুটে চলে গেল শেখ জামাল। মাশরাফির পর উইকেট ভাঙ্গার প্রতিযোগিতায় শামিল হলেন তাসকিন আহমেদ। ১৯ রানে নুরুল হাসান সোহানকে প্যাভিলনের পথ দেখালেন এই গতি তারকা। ফেরালেন রবিউল ইসলামকেও (১)।

আর ব্যক্তিগত ৩ রানে সোহাগ গাজীকে নিজের তৃতীয় শিকারে পরিণত করেন মাশরাফি। যা তাকে এনে দিল এই মৌসুমে ৩৫টি উইকেট। এরপর অবশ্য আর কোন উইকেটের পতন ঘটেনি। ব্যক্তিগত ১৯  রানে ইলিয়াস সানি ও ৮ রানে নাজমুল ইসলাম অপরাজিত থেকে ৮ উইকেটে দলকে এনে দেন ২৫৬ রানের মাঝারি সংগ্রহ।

বাংলাদেশ সময়: ১৭২৫ ঘণ্টা, ২৭ মার্চ, ২০১৮
এইচএল/এমআরএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।