রোববার (২৮ অক্টোবর) দুবাইয়ে ওপেনার বাবর আজমের ৪০ বলে ৫০ রানের ইনিংসের উপর ভর করে ৫ উইকেট হারিয়ে ১৫০ রানের চ্যালেঞ্জিং স্কোর পায় পাকিস্তান। আর বল হাতে ১৯ রানে ৩ উইকেট তুলে নিয়ে ৫ বল বাকি থাকতেই অজিদের ১১৭ রানে থামিয়ে দিয়ে সাহায্য করেন।
সংক্ষিপ্ত সংস্করণের সিরিজে এই নিয়ে অজিদের প্রথম হোয়াইটওয়াশ করার স্বাদ পেলো পাকিস্তান। আর ২০১৬ সালের সেপ্টেম্বরে দায়িত্ব কাঁধে নেওয়ার পর সরফরাজ আহমেদের অধিনায়কত্বে পাকিস্তানের ১০ম সিরিজ জয়।
আগের দুই ম্যাচের মতো তৃতীয় ম্যাচেও ব্যাটিং ব্যর্থতাই ডুবিয়েছে অজিদের। পাকিস্তানের পেস আক্রমণের সামনে শুধু মিচেল মার্শ (২১), বেন ম্যাকডেরমট (২১) আর অ্যালেক্স ক্যারি (২০) যা একটু লড়াই করেছেন। তবে নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকায় জয়ের মুখ দেখার অনেকটা আগেই শেষ হয় অজিদের ইনিংস।
অজি অধিনায়ক অ্যারন ফিঞ্চ এই ম্যাচেও ব্যর্থ। মাত্র ১ রানে তার বিদায়ের পর ক্রিস লিন (১৫) এবং ম্যাক্সওয়েলও (৪) একই পথে হাঁটলে বিপদে পড়ে যায় অজিরা। আর এই সময়ে ১৪ রানে ২ উইকেট নিয়ে অজি ব্যাটসম্যানদের ভুগিয়েছেন পেসার হাসান আলী।
এর আগে, টসে জিতে ব্যাটিং বেছে নেওয়ার পর স্বাগতিকদের হয়ে সিরিজে নিজের দ্বিতীয় ফিফটি তুলে নেন বাবর আজম। আর তাকে সঙ্গ দেন সাহিবজাদা ফারহান। দুজনে মিলে ১২.৫ ওভারে ৯৯ রানের জুটি গড়ে তোলেন যা অজিদের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টিতে পাকিস্তানের সর্বোচ্চ ওপেনিং জুটি।
তবে শুরুর দাপট অবশ্য ধরে রাখতে পারেনি পাকিস্তান। ৩৮ বলে ৩৯ করে বিদায় নেন ফারহান। এরপর রানের চাকা অনেকটাই স্থবির হয়ে যায়। ওপেনিং জুটির পর একমাত্র মোহাম্মদ হাফিজ যা একটু হাত খুলে খেলেছেন। ২০ বলে অপরাজিত ৩২ রানের ইনিংস খেলেছেন এই অলরাউন্ডার।
এই ম্যাচে ১৮ রান করা শোয়েব মালিক একটি ব্যক্তিগত মাইলফলকে নাম লিখিয়েছেন। নিউজল্যান্ডের সাবেক অধিনায়ক ব্র্যান্ডন ম্যাককালামকে ছাড়িয়ে আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টির ইতিহাসে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক এখন এই পাকিস্তানি অলরাউন্ডার।
আরেক কিউই ব্যাটসম্যান মার্টিন গাপটিল ৭৫ ম্যাচে ২ হাজার ২৭১ রান নিয়ে তালিকার শীর্ষে অবস্থান করছেন। আর মালিকের রান ২১৫৩।
বাংলাদেশ সময়: ১২৫৯ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৯, ২০১৮
এমএইচএম