ঢাকা, বুধবার, ১০ পৌষ ১৪৩১, ২৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ২২ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

ক্রিকেট

কী হয়েছিল জানি না: জাহানারা

স্পোর্টস ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯৫৮ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৫, ২০১৮
কী হয়েছিল জানি না: জাহানারা জাহানারা আলম-ছবি: সংগৃহীত

নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে অনেক আশা নিয়েই গিয়েছিলেন টাইগ্রেসরা। কিন্তু টানা তিন ম্যাচেই ১০০-এর নিচে অলআউট হয়ে লজ্জাজনক পরাজয় বরণ করতে হয়েছে। যদিও বল হাতে বেশ সফল হয়েছেন অধিনায়ক জাহানারা আলম, কিন্তু ব্যাট হাতে কিছুতেই সাফল্য ধরা দিচ্ছে না তার হাতে, সেই সঙ্গে দলের বাকিদেরও একই অবস্থা। এমন বিপর্যয়ের কারণ জানতে চাইলে, জাহানারা জানালেন, কি হয়েছিল তিনি জানেন না।

সেইন্ট লুসিয়ায় বুধবার (১৪ নভেম্বর) শ্রীলঙ্কাকে মাত্র ৯৭ রানে আটকে দিয়েছিল বাংলাদেশের মেয়েরা। বল হাতে ২১ রান খরচে ৩ উইকেট তুলে নিয়ে এতে বড় ভূমিকা রেখেছিলেন জাহানারা আলম।

কিন্তু তার ঠাই হলো পরাজিত দলে। ৭২ রানেই গুটিয়ে গেল বাংলাদেশের ইনিংস। ম্যাচ শেষে প্রতিক্রিয়ায় তাই হতাশা ঝরে পড়ল তার কণ্ঠে।

'আমি মনে করি এই টার্গেট তাড়া করা সহজ ছিল এবং আমাদের ব্যাটিং সাইডও বেশ ভালো। কিন্তু আমি জানি না কী হয়েছিল। '

'অবশ্যই আমি নিজেদের নিয়ে হতাশ হয়ে পড়েছিলাম। আমরা ব্যাট হাতে কিছুই করতে পারিনি। কিন্তু আমরা এখনও আশা করি, পরের ম্যাচের আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে আমরা ব্যাট নিয়ে কাজ করব। '

বাংলাদেশ এর আগে বড় বড় লক্ষ্য তাড়া করে জিতেছে। কিন্তু সেইন্ট লুসিয়ায় ভারি বৃষ্টিপাত হওয়ায় পিচের কন্ডিশন পাল্টে গেছে। আর এটাই বাংলাদেশের জন্য কাল হয়ে দাঁড়িয়েছে। কিন্তু বল হাতে বেশ সাফল্য এসেছে। টুর্নামেন্টের শুরুতে স্বাগতিক ওয়েস্ট ইন্ডিজকে মাত্র ১০৬ রানে আটকে দিয়েও সেই ম্যাচে ব্যাটসম্যানদের ব্যর্থতা ডুবিয়েছে। বুধবার নিজেদের ঘুরে দাঁড়ানোরে সুবর্ণ সুযোগ হাতছাড়া করে তারা বুঝিয়ে দিয়েছে ক্যারিবীয় কন্ডিশন এশিয়া কাপের চ্যাম্পিয়নদের পক্ষে যাচ্ছে না।

টানা হারের হতাশা যে দেশের ক্রিকেট সমর্থকদেরও প্রভাবিত করবে তাও জানালেন জাহানারা। কারণ, বাংলাদেশের মানুষ ক্রিকেট পাগল। ফলে সমর্থকদের প্রত্যাশা অনেক বেশি। ফলে হারের যন্ত্রণা সমর্থকদেরও ছুঁয়ে যায়। তবে দলের উপর সমর্থকদের আস্থা রাখতে বললেন জাহানারা।  

'বাংলাদেশের মানুষ ক্রিকেটপাগল জাতি। তারা ক্রিকেটকে অনেক ভালোবাসে। কিন্তু আমরা যেভাবে খেলেছি, তারা আমাদের কাছে তাদের প্রত্যাশা অনেক। ম্যাচটা আমাদের জেতা উচিত ছিল। আমি মনে করি তারা অবশ্যই হতাশ। কিন্তু আমি তাদের শুধু এটাই বলব, প্লিজ আমাদের উপর ভরসা রাখুন। '

এই টুর্নামেন্টের প্রতিটি গ্রুপের শীর্ষ চার দল সরাসরি আগামী ২০২০ সালের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে খেলার সুযোগ পাবে। আর বাকিদের বাছাইপর্ব পার হয়ে আসতে হবে। তাই পরের ম্যাচ জিতে সেই ঝামেলা থেকে মুক্ত হওয়ার আশা প্রকাশ করলেন জাহানারা।

'আমাদের লক্ষ্য হলো আমরা আর কোনো টি-টোয়েন্টি বাছাইপর্ব খেলতে চাই না। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে জিতে আমাদের র‍্যাংকিংয়ে উন্নতি করার সুযোগ থাকছে। কে জানে, যেকোনো কিছু হতে পারে। ক্রিকেট অনিশ্চয়তার খেলা। '

রোববার (১৮ নভেম্বর) নিজেদের শেষ ম্যাচে দক্ষিণ আফ্রিকার মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ। এই ম্যাচ জেতার কোনো বিকল্প নেই, কারণ তা নাহলে এশিয়া কাপের চ্যাম্পিয়ন হয়েও খালি হাতে ফিরতে হবে জাহানারাদের।  

বাংলাদেশ সময়: ১৪৫০ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৫, ২০১৮
এমএইচএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।