প্রথম দুই ওভার শেষে রংপুরের রান মাত্র ৯। কী হবে কী না হবে যখন ভাবনার শুরু সেই ভাবনায় বাধা দেন অ্যালেক্স হেলস।
খুলনা টাইটান্সের হয়ে প্রথম ম্যাচ খেলতে নামা পাকিস্তানি স্পিনার ইয়াসির শাহ'র প্রথম দুটি বল ছক্কা হাঁকান গেইল। চতুর্থ বলে বোল্ড হয়ে ফেরেন হেলস। তবে আউট হয়ে ফেরার আগে ৮টি চার ও ৩টি ছক্কা হাঁকান ইংলিশ তারকা হেলস।
হেলস ফিরলেও থামেনি রংপুরের রানের ধারা। এক প্রান্তে ঘুমিয়ে থাকা গেইল জেগে ওঠার পাশাপাশি যোগ দেন দক্ষিণ আফ্রিকার সাবেক ক্রিকেটার এবি ডি ভিলিয়ার্স। দুজন মিলে চার-ছক্কার ফুলঝুরি ছোটাতে থাকেন। তবে হাফসেঞ্চুরির দিকে ছুটতে থাকা ডি ভিলিয়ার্সকে থামান খুলনা অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। ২৫ বলে ৪১ রানের দারুণ এক ইনিংস খেলে মাহমুদউল্লাহর বলে লেগ বিফোরের ফাঁদে পড়েন ডি ভিলিয়ার্স। তবে আউট হয়ে ফেরার আগে ৩টি চার ও ৪টি ছক্কা হাঁকিয়ে যান।
ডি ভিলিয়ার্স না পারলেও আসরে নিজের প্রথম হাফ-সেঞ্চুরি ঠিকই আদায় করে নেন গেইল। ৩৪ বলে ৫০ রান পূর্ণ করেন এই ক্যারিবিয়ান ব্যাটসম্যান। তবে তার এই ঝড় থামান পাকিস্তানি বোলার জুনায়েদ খান। ৪০ বলে ৫৫ রানের ইনিংসে ২টি চার ও ৫টি ছক্কা হাঁকান গেইল।
গেইল ফেরার পরের ওভারেই ফেরেন মোহাম্মদ মিঠুনও। দলকে বেশ চাপে ফেলে যান তিনি। ইয়াসিরের বলে স্ট্যাম্পড হয়ে ফেরেন মিঠুন। আউট হয়ে ফেরার আগে ১৯ বলে ১৫ রান করেন তিনি।
তবে রাইলি রুশোর এক ছক্কায় ঠিকই জয় পায় রংপুর। শেষ পর্যন্ত ৩ বলে ১০ রান করে রুশো ও ১ বলে ১ রান করে নাহিদুল ইসলাম অপরজিত থাকেন।
খুলনার হয়ে দুই উইকেট নেন ইয়াসির শাহ। আর একটি করে উইকেট পান মাহমুদউল্লাহ ও জুনায়েদ।
এর আগে, ফরহাদ রেজার ক্যারিয়ার সেরা টি-টোয়েন্টি বোলিংয়ে বড় সংগ্রহ পায় খুলনা টাইটান্স। প্রথমে ব্যাট করা দলটি নির্ধারিত ২০ ওভার শেষে ৬ উইকেট হারিয়ে ১৮১ রানের স্কোর গড়তে পারে।
টসে জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন রংপুর অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজা। এই আসরে দু’দলের প্রথম দেখায় জয় নিয়ে মাঠ ছেড়েছিল রংপুর।
মঙ্গলবার (২২ জানুয়ারি) মিরপুর শের ই বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ম্যাচটি শুরু হয় দুপুর ১টা ৩০ মিনিটে।
ব্যাটিংয়ে নেমে মাশরাফি-ফরহাদ রেজাদের তোপে শুরুতেই খেই হারিয়ে ফেলে খুলনা। ওপেনার আল আমিনকে (৪) উইকেটরক্ষক মোহাম্মদ মিঠুনের ক্যাচে ফেরান মাশরাফি। আর ১৩ রান করে ফরহাদ রেজার বলে মাঠ ছাড়েন আরেক ওপেনার জুনায়েদ সিদ্দিকী।
মাঝে সামাল দেওয়ার চেষ্টা করেন ব্র্যান্ডন টেইলর ও নাজমুল হোসেন শান্ত। কিন্তু কিছুটা ঝড়ো ব্যাট করতে থাকা টেইলরকে ফিরিয়ে দেন ক্রিস গেইল। ২০ বলে ৪টি চার ও একটি ছক্কায় ৩২ করেন এই জিম্বাবুইয়ান। তবে হাফসেঞ্চুরি বঞ্চিত হন শান্ত। ফরহাদ রেজার তৃতীয় শিকারে ৩৫ বলে ২টি চার ও ৩টি ছক্কায় ৪৮ করে ফেরেন তিনি।
এর আগে খুলনা অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহও ফরহাদ রেজার ফাঁদে পা দেন। ২০ বলে একটি চার ও সমান ছক্কায় ২৯ করেন এই দলনেতা। পরে আরিফুল হককে ব্যক্তিগত ৬ রানে ফিরিয়ে টি-টোয়েন্টিতে ক্যারিয়ার সেরা বোলিং উপভোগ করেন ফরহাদ। ৪ ওভারে ৩২ রানের বিনিময়ে ৪টি উইকেট নিলেন তিনি। এই ফরম্যাটে তার আগের সেরা ছিল ২২ রানে ৩ উইকেট।
শেষ দিকে ১৫ বলে ঝড়ো ৩৫ রান করে অপরাজিত থাকেন ডেভিড উইসি। তিনি ৩টি চার ও ২টি ছক্কা হাঁকান। তার ব্যাটেই মূলত বড় স্কোরের দেখা পায় খুলনা।
দুর্দান্ত বল করেন মাশরাফিও। ৪ ওভারে তিনি মাত্র ১৭ রানের বিনিময়ে একটি উইকেট তুলে নেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৭০৭ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২২, ২০১৯
এমকেএম/এমএইচএম