ঢাকা, সোমবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ক্রিকেট

বড় জয়ে প্লে-অফের আশা বাঁচিয়ে রাখলো সিলেট

স্পোর্টস ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২২১০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৬, ২০১৯
বড় জয়ে প্লে-অফের আশা বাঁচিয়ে রাখলো সিলেট বড় জয়ে প্লে-অফের আশা বাঁচিয়ে রাখলো সিলেট-ছবি: বাংলানিউজ

খুলনা টাইটান্সের বিপক্ষে ৫৮ রানের বড় জয়ে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে (বিপিএল) প্লে-অফের আশা বাঁচিয়ে রাখলো সিলেট সিক্সার্স। ব্যাটসম্যানদের দায়িত্বশীল ব্যাটিংয়ের পর বোলারদের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে জয় তুলে নেয় অলক কাপালির দল। অন্যদিকে এই হারে তলানিতেই রইল মাহমুদউল্লাহরা।

প্রথমে ব্যাট করা সিলেট নির্ধারিত ২০ ওভার শেষে ৪ উইকেট হারিয়ে ১৯৫ রানের বিশাল স্কোর গড়ে। জবাবে ১৮.১ ওভারে সবকটি উইকেট হারিয়ে ১৩৭ রানের বেশি করতে পারেনি খুলনা।

শনিবার (২৬ জানুয়ারি) বিপিএলের চট্টগ্রাম পর্বের দ্বিতীয় দিনের প্রথম ম্যাচে খুলনা টাইটান্সের বিপক্ষে টসে জিতে ব্যাটিং বেছে নেয় সিলেট সিক্সার্স।

১৯৬ রানের লক্ষ্যে ব্যাটিংয়ে নেমে ওপেনিং জুটিতে ২৭ রান তোলেন ব্র্যান্ডন টেইলর ও জুনায়েদ সিদ্দিকী। কিন্তু ১১ বলে ৪টি চারে ২০ রান করে তাসকিন আহমেদের বলে আউট হন জুনায়েদ। ১৬ রান করা আল-আমিনকে সোহেল তানভীর আউট করলে দ্বিতীয় উইকেট হারায় খুলনা। পরে কাপালির শিকারে দ্রুতই ফেরেন নাজমুল হোসেন শান্ত।

ভালো খেলতে থাকা টেইলর নাবিল সামাদের শিকার হয়ে মাঠ ছাড়েন। তিনি দলীয় সর্বোচ্চ ৩৪ রান করেন। ২৩ বলে ৩টি চার ও একটি ছক্কায় নিজের ইনিংস সাজান এই জিম্বাবুইয়ান।

এরপর আসা-যাওয়ার মিছিলেন যোগ দেন দলের অন্য ব্যাটসম্যানরাও। বাজে ফর্মে থাকা অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ ১১ করে এবাদত হোসেনের বলে বিদায় নেন। আর ২৪ রান করে বোল্ড হওয়া আরিফুল ইসলাম নাবিল সামাদের দ্বিতীয় শিকারে পরিণত হন।

দলের হয়ে আর কেউই বলার মতো স্কোর করতে না পারায় বড় পরাজয় মেনে নিতে হয় খুলনাকে।

নাবিল ৪ ওভারে ২৯ রানের বিনিময়ে সর্বোচ্চ ৩টি উইকেট নেন। তাসকিন ১.১ ওভারে ৬ রানে নেন দুটি উইকেট। এছাড়্ সোহেল তানভীর, এবাদত, মোহাম্মদ নওয়াজ ও কাপালি একটি করে উইকেট লাভ করেন।  

এর আগে শুরুতে ব্যাটিং করে ৪ উইকেট হারিয়ে ১৯৫ রান তুলে জয়ের শক্ত ভিত গড়ে রাখে সিলেট সিক্সার্স।

শুরুতে ব্যাটিং করতে নেমে দুর্দান্ত শুরু এনে দেন দুই ওপেনার লিটন দাস ও আফিফ হোসেন। দুজনে মিলে গড়েন ৭১ রানের জুটি। ২২ বলে ৩ চার ও ২ ছক্কায় ৩৪ রান করে তাইজুলের প্রথম শিকার হয়ে ফেরেন লিটন।  

লিটনের বিদায়ে ক্রিজে আসা জেসন রয় তাইজুলের দ্বিতীয় শিকার হয়ে ফেরেন। ৬ বল খেলে মাত্র ১ রান করে বিদায় নেন এই ইংলিশ ব্যাটসম্যান। তবে অন্য প্রান্তে ব্যাট হাতে রানের চাকা সচল রাখেন আফিফ। তবে ৩৭ বল খেলে ফিফটি থেকে মাত্র এক রান দূরে থাকতে তাকে থামিয়ে দেন তাইজুল। আল-আমিনের হাতে ক্যাচ দেওয়ার আগে ৩৭ বলের ইনিংসে ৫টি চার ও ২ ছক্কা হাঁকান আফিফ।

মাঝে নিকোলাস পুরানের ১২ রানের ছোট ইনিংস বাদ দিলে বাকি গল্পটা সাজিয়েছেন সাব্বির রহমান ও মোহাম্মদ নওয়াজ। ২৮ বলে ৪ চার ও ২ ছক্কায় ৪৩ রানে অপরাজিত থেকে মাঠ ছাড়েন সদ্য টাইগার ওয়ানডে দলে সুযোগ পাওয়া সাব্বির। আর তার সঙ্গী পাকিস্তানি অলরাউন্ডার নওয়াজ ২১ বলে ৩ চার ও ২ ছক্কায় অপরাজিত থাকেন।

বল হাতে ৪ ওভারে ৩০ রান খরচে ৩ উইকেট তুলে নিয়েছেন খুলনার বাঁহাতি স্পিনার তাইজুল ইসলাম। বাকি উইকেট গেছে জুনায়েদ খানের দখলে।

বাংলাদেশ সময়: ১৭০৮ ঘণ্টা, ২৬ জানুয়ারি, ২০১৯
এমএমএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।