ভয়ংকর গেইল এ ম্যাচেও ব্যর্থই রয়ে গেলেন। রাজশাহী অধিনায়ক মেহেদি মিরাজের বলে ১৪ বলে ১০ রান করেই বিদায় নেন তিনি।
চলতি বিপিএলে দুর্দান্ত ফর্মে থাকা রাইলি রুশো এ ম্যাচেও তুলে নেন হাফসেঞ্চুরি। মাত্র ৩৭ বলে পেয়ে যান আসরের পঞ্চম হাফসেঞ্চুরি। তবে হাফসেঞ্চুরি পার হয়ে আর বেশি সময় টিকতে পারেননি। কামরুল ইসলাম রাব্বির দারুণ এক ডেলিভারিতে ৫৫ রানে বোল্ড হয়ে ফেরেন তিনি।
রুশো ফেরার পরের ওভারেই ফিরে যান আগের ম্যাচে সেঞ্চুরি পাওয়া দক্ষিণ আফ্রিকান তারকা ব্যাটসম্যান এবি ডি ভিলিয়ার্স। ১৭ রান করে আরাফাত সানির বলে ফেরেন তিনি।
শেষ পর্যন্ত অপরাজিত থেকে দলকে জয়ের বন্দরে পৌঁছিয়ে ফেরেন মোহাম্মদ মিঠুন (৪) ও নাহিদুল ইসলাম (১১)।
রাজশাহীর হয়ে একটি করে উইকেট নেন মেহেদি মিরাজ, কামরুল রাব্বি, আরাফাত সানি ও কাইস আহমেদ।
এর আগে, ব্যাটিং নিয়ে শুরুটা তেমন ভালো করতে পারেনি রাজশাহী কিংস। দলীয় মাত্র ১৮ রানেই ফিরে যান ওয়েস্ট ইন্ডিজের জনসন চার্লস। ১১ বলে ১২ রান করে ফরহাদ রেজার বলে রংপুর অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজার হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন তিনি।
তার ফিরে যাওয়ার পরের ওভারেই ৪ রান করে ফেরেন মুমিনুল হকও। তাকে বোল্ড করে ফেরান নাহিদুল ইসলাম। সৌম্য সরকার ও লরি ইভান্স মিলে যোগ করেন ৩৮ রান। তবে সৌম্য আউট হয়ে ভাঙে এই জুটি। ১৬ বলে ১৪ রান করে শহিদুল ইসলামের বলে ফেরেন তিনি।
অধিনায়ক মেহেদিও ক্রিজে থাকতে পারেননি দায়িত্ব নিয়ে। ৪ বলে ৬ রান করেই ফেরেন নাজমুল ইসলাম অপুর বলে বোল্ড হয়ে। ক্রমেই বড় স্কোরের দিকে এগোতে থাকা ইভান্সকে ফিরিয়ে দেন তরুণ শহিদুল। তবে বোলারের কৃতিত্বের পাশাপাশি ফিল্ডিংয়ে থাকা নাহিদুলও কৃতিত্ব পেতেই পারেন। দুর্দান্ত এক ক্যাচে ইভান্সকে ফেরান তিনি।
রান বড় করার আগে জঙ্কারকে ফিরিয়ে দেন নাজমুল ইসলাম। ১১ বলে ১৬ রান করে মেহেদি মারুফের (সাব) হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন জঙ্কার। শেষের দিকে ফজলে মাহমুদ (১৮) ও কাইস আহমেদ (২২) দলকে সম্মানজনক সংগ্রহ এনে দেন। আরাফাত সানি ১ ও মোসাফিজুর রহমান ৪ রানে অপরাজিত থাকেন।
রংপুরের হয়ে তিন উইকেট নেন ফরহাদ রেজা। দুটি করে উইকেট নেন নাজমুল ইসলাম ও শহিদুল ইসলাম। একটি নেন নাহিদুল।
ম্যান অব দ্যা ম্যাচ হন রংপুর রাইডার্সের ফরহাদ রেজা।
বাংলাদেশ সময়: ২১৫৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৯, ২০১৯
এমকেএম