বুধবার (৩০ জানুয়ারী) বিপিএলের চট্টগ্রাম পর্বের ম্যাচে জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে মুখোমুখি হয়েছে চিটাগং ভাইকিংস ও ঢাকা ডায়নামাইটস। টসে জিতে ব্যাটিং বেছে নেন চিটাগংয়ের অধিনায়ক মুশফিকুর রহিম।
ম্যাচের ১৯তম ওভার পর্যন্তও নিয়ন্ত্রণ ছিল চিটাগংয়ের হাতে। কিন্তু ইনিংসের শেষ ওভারে হ্যাটট্রিক করে মুশফিকদের রানের পাহাড় গড়তে দেননি আন্দ্রে রাসেল।
২০তম ওভারে যখন বল করতে এলেন রাসেল, চিটাগংয়ের স্কোর তখন ২ উইকেটে ১৬৭ রান। ক্রিজে ক্যামেরন ডেলপোর্ট ও মুশফিক। এর আগে ৩ ওভার বল করে ৩১ রান খরচ করা রাসেলের হাতে বল তুলে দেন ঢাকার অধিনায়ক সাকিব আল হাসান।
অধিনায়কের আস্থার দারুণ প্রতিদান দিয়ে প্রথম বলেই মুশফিককে পরাস্ত করেন রাসেল। তার ফুলটস বলে টাইমিংয়ের গড়বড় করে লং-অনে ক্যাচ তুলে দেন চিটাগং অধিনায়ক। আর তা দারুণ ক্ষিপ্ততায় লুফে নেন শুভাগত হোম। ২৪ বলে ৪ চার ও ২ ছক্কায় ৪৩ রান করে আউট হন মুশফিক।
ওভারের দ্বিতীয় বলে রাসেলের শিকার দুর্দান্ত খেলতে থাকা ডেলপোর্ট। এবারও টাইমিং গড়বড়, এবার অবশ্য বল ছুটল লং-অফের দিকে। তবে ফিল্ডার সেই একই। শুভাগত হোমের হাতে ক্যাচ দিয়ে বিদায় নিতে হলো ম্যাচের এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ স্কোরার প্রোটিয়া তারকা ডেলপোর্টকে (৭১)।
রাসেলের তৃতীয় শিকার ক্রিজে নতুন আসা শানাকা। ক্যারিবীয় পেসারের লেন্থ বলে স্কুপ করতে গিয়ে ফাইন লেগে ধরা পড়েন এই লঙ্কান। যদিও টাইমিং দেখে মনে হয়েছিল বল বাউন্ডারি লাইন পেরিয়ে যাবে, কিন্তু সেখানে সতর্ক অবস্থায় থাকা মিজানুর রহমান দারুণ দক্ষতায় ক্যাচ লুফে নিয়ে রাসেলকে হ্যাটট্রিকের স্বাদ পাইয়ে দেন।
রাসেলের এই হ্যাটট্রিক চলতি আসরের তৃতীয়। এর আগে ঢাকা ডায়নামাইটসের আলিস আল ইসলাম ও কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের পাকিস্তানি পেসার ওয়াহাব রিয়াজ হ্যাটট্রিকের স্বাদ পেয়েছিলেন। টি-টোয়েন্টিতে আন্দ্রে রাসেলের এটি দ্বিতীয় হ্যাটট্রিক।
রাসেলের এই হ্যাটট্রিক বিপিএলের ইতিহাসে পঞ্চম। এর আগে ২০১২ সালে দুরন্ত রাজশাহীর হয়ে পাকিস্তানি পেসার মোহাম্মদ সামি আর ২০১৫ সালে বরিশাল বুলসের হয়ে হ্যাটট্রিক করেছিলেন আল-আমিন হোসেন।
রাসেলের হ্যাটট্রিকে চিটাগংয়ের রান দুইশ ছুঁইছুঁই স্কোর বাস্তবে রূপ পায়নি। তবে ওই ওভারের শেষ বলে দুর্দান্ত এক ছক্কা হাঁকিয়ে দলের রান ৪ উইকেটে ১৭৪ পর্যন্ত নিয়ে যান জিম্বাবুইয়ান ব্যাটসম্যান সিকান্দার রাজা।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৩৩ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৩০, ২০১৯
এমএইচএম