১৯০ রানের বিশাল টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা অবশ্য মোটেই ভালো হয়নি রাজশাহী কিংসের। দলীয় ১৪ রানেই ওপেনার জাকির হাসানের উইকেট হারায় দলটি।
সিলেট অধিনায়ক কাপালির বলে সাব্বির রহমানের বলে ক্যারিবীয় তারকা চার্লস বিদায় নিলে বাকি কাজ নিজেদের কাঁধে তোলে নেন ইভান্স-ডেসকাট। দুজনের ঝড়েই ছন্নছাড়া হয়ে পড়ে সিলেটের বোলিং লাইনআপ। মাত্র ১৮ বলে ৩ চার ও ২ ছক্কায় ৪২ রান করে ডাচ তারকা ডেসকাট বিদায় নিলেও ব্যাট হাতে তাণ্ডব চালিয়ে যান ইভান্স।
দলকে জয়ের খুব কাছে রেখে সোহেল তানভীরের বলে নিকোলাস পুরানের হাতে ক্যাচ দিয়ে বিদায় নেওয়ার আগে ৩৬ বলে ১০ চার ও ২ ছক্কায় ৭৬ রান করেন ইভান্স। বাকি কাজ অবশ্য ২ ওভার বাকি থাকতেই সেরে নেন ক্রিস্টিয়ান জঙ্কার ও সৌম্য সরকার।
বল হাতে রাজশীর সব বোলারই ছিলেন খরুচে। ওভার পিছু ১০-এর নিচে রান খরচ করেছেন একমাত্র সোহেল তানভীর। ৩ ওভারে ২৭ রানে ২ উইকেট নিয়েছেন এই পাকিস্তানি পেসার। ২ উইকেট পেয়েছেন অলক কাপালিও। তবে রান খরচ করেছেন ১০.২৫ করে। বাকি উইকেট ঝুলিতে পুরেছেন তাসকিন আহমেদ।
এই জয়ে শেষ চারের আশা বেঁচে রইলো রাজশাহীর। তবে বাকি ম্যাচগুলোর ফলাফলের দিকে তাকিয়ে থাকতে হবে তাদের। অন্যদিকে সিলেটের স্বপ্ন শেষ হয়ে গেল এই হারে।
এর আগে চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে টসে জিতে শুরুতে ব্যাটিং বেছে নেন সিলেট সিক্সার্সের অধিনায়ক অলক কাপালি। ব্যাটিংয়ে নেমে সাব্বির রহমানের ৩৯ বলে ৪ চার ও ২ ছক্কায় ৪৫ রান ও নিকোলাস পুরানের ৩১ বলে ৬ চার ও ৬ ছক্কায় সাজানো অপরাজিত ৭৬ রানের ইনিংসে ভর করে ৫ উইকেট হারিয়ে ১৮৯ রানের বিশাল সংগ্রহ দাঁড় করিয়েছিল সিলেট।
বল হাতে ৪ ওভারে ৩০ রান খরচে ২ উইকেট তুলে নিয়েছেন রাজশাহীর কামরুল ইসলাম রাব্বি। ১টি করে উইকেট দখল করেছেন আরাফাত সানি, মিরাজ ও মোস্তাফিজুর রহমান।
ম্যাচ জেতানো ইনিংস খেলে ম্যাচসেরা হয়েছেন ইভান্স।
বাংলাদেশ সময়: ২২১৩ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৩০, ২০১৯
এমএইচএম