ক্রিকেটকে যদি ভদ্রলোকের খেলা ভাবা হয়, তবে তার যোগ্য বিজ্ঞাপন হতে পারেন মাহমুদউল্লাহ। একজন নিপাট ভদ্রলোক বলতে যা বোঝানো যায় তিনি তারই প্রতীক।
১৯৮৬ সালে এই দিনে ময়মনসিংহের এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ মাহমুদউল্লাহ। ২০০৭ সাল থেকে জাতীয় দলকে সেবা দিয়ে গেলেও ঘরোয়া ক্রিকেটে নিজের উপস্থিতি জানান দেন ২০০৪/২০০৫ সালের দিকে। ২০০৮/২০০৯ ক্রিকেট মৌসুমে ঘরোয়া ক্রিকেটে পান সেরা অলরাউন্ডারের স্বীকৃতি।
সে বছরের পাফরম্যান্সই মূলত নির্বাচকদের নজর কাড়ে তাকে টেস্ট দলে অন্তর্ভুক্ত করতে। এই মৌসুমে ক্যারিয়ার সেরা ৭১০ রান করেন তিনি। সে বছরই (২০০৯) ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে টেস্টে অভিষেক হয় এই অলরাউন্ডারের।
যদিও ২০০৭ সালেই ওয়ানডে অভিষেক হয়ে যায় তার। ২৫ জুলাই শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে প্রথম রঙিন পোশাকে মাঠে নামেন তিনি। এই থেকে শুরু বাংলাদেশ ক্রিকেটের সঙ্গে যাত্রা। রঙিন পোশাকে খেলে ফেলেছেন ১৬৮টি ওয়ানডে ও ৭৬টি টি-টোয়েন্টি। এই দুই ফরম্যাটে তার রান ৩৬৩৭ ও ১২৫১ । এর পাশাপাশি আছে ৭৫ ও ৩১টি উইকেট।
দেশের হয়ে সাদা পোশাকে খেলেছেন ৪৩টি ম্যাচ, যেখানে তার রান ২৪০৭ ও উইকেট ৪১টি। টেস্ট ও ওয়ানডেতে তার নামের পাশে আছে তিনটি করে সেঞ্চুরি।
প্রথম বাংলাদেশি ব্যাটসম্যান হিসেবে বিশ্বকাপে সেঞ্চুরি করেন মাহমুদউল্লাহ। শুধু তাই নয়, তিনিই টানা দুটি সেঞ্চুরি করেন বিশ্বকাপে।
২০১১ সালে বাংলাদেশে অনুষ্ঠিত আইসিসি বিশ্বকাপে সর্বপ্রথম সহ-অধিনায়কের দায়িত্ব পান তিনি। সেবার বিশ্বকাপেই ইংলিশদের পরাজিত করার গৌরব অর্জন করে লাল-সবুজের বাংলাদেশ। শফিউল ইসলামকে সঙ্গে নিয়ে দুর্দান্ত এক জয় এনে দেন এই ‘সাইলেন্ট কিলার’।
একাধিক ম্যাচে নিয়মিত অধিনায়কের অনুপস্থিতিতে তার কাঁধে উঠেছে দলকে নেতৃত্ব দেওয়ার দায়িত্ব। সেটিও পালন করেছেন অত্যন্ত দক্ষতার সঙ্গে।
বর্তমানে বাংলাদেশ ক্রিকেটের পাঁচ স্তম্ভের (বাকি চার জন মাশরাফি বিন মর্তুজা, সাকিব আল হাসান, মুশফিকুর রহিম ও তামিম ইকবাল) একজন হয়ে আছেন তিনি। ব্যাটিং অর্ডারের মধ্যভাগে নিজেকে উজাড় করে দিচ্ছেন বেশিরভাগ সময়ই। হয়ে আছেন বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের আড়ালের নায়ক।
বাংলাদেশ সময়: ১২৫৬ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৪, ২০১৯
এমকেএম