সিরিজের প্রথম ম্যাচের মতো দ্বিতীয় ম্যাচেও ৮ উইকেটে হেরে গেছে বাংলাদেশ। আগের ম্যাচের সঙ্গে এই ম্যাচের মিল আছে আরও।
২২৭ রানের টার্গেট নিয়ে ব্যাট করতে নেমে টানা দ্বিতীয় সেঞ্চুরি হাঁকিয়ে বাংলাদেশকে ম্যাচ থেকে ছিটকে দিয়েছেন কিউই ওপেনার মার্টিন গাপটিল। সেঞ্চুরি তুলে নিয়ে ফের একবার অপরাজিত থেকেই মাঠ ছাড়ার পথে ছিলেন তিনি। তবে এবার আর তা হলো না। ৮৮ বলে ১১৮ রান করে টাইগার পেসার মোস্তাফিজুর রহমানের বলে লিটন দাসের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফিরেছেন তিনি। কিন্তু যাওয়ার আগে বোলারদের উপর স্টিম রোলার চালিয়ে গেছেন। তার ব্যাট থেকে এসেছে ১৪টি বাউন্ডারি আর ৪টি ছক্কা।
গাপটিল বিদায় নিলেও বাকি পথটা সহজেই পাড়ি দিয়েছেন ৮ ম্যাচে প্রথম ফিফটির দেখা পাওয়া কিউই অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসন। ৮৬ বলে অপরাজিত ৬৫ রান করা উইলিয়ামসনের ব্যাট থেকে এসেছে ৩টি চার। তাকে শেষ পর্যন্ত সঙ্গ দিয়ে গেছেন আরেক অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যান রস টেইলর (অপরাজিত ২১)।
বাংলাদেশের বোলারদের মধ্যে একমাত্র উইকেট শিকারি মোস্তাফিজ। ৯ ওভারে ৪২ রানে ২ উইকেট নিয়েছেন এই বাঁহাতি ‘কাটার মাস্টার’। বাকিদের বোলিং ফিগার উল্লেখ করার মতো নয়।
শনিবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) ভোর ৪টায় মাঠে গড়িয়েছে বাংলাদেশ ও নিউজিল্যান্ডের মধ্যকার দ্বিতীয় ওয়ানডে ম্যাচ। প্রথম ম্যাচের মতো এই ম্যাচেও ব্যাট হাতে ব্যর্থ টাইগাররা। কিউই পেসারদের দাপুটে বোলিংয়ে ২২৬ রানেই গুটিয়ে গেছেন তামিমরা।
আগের ম্যাচের মতো এই ম্যাচেও ব্যর্থ বাংলাদেশের ওপেনিং জুটি। ইনিংসের তৃতীয় ওভারেই বিদায় নেন লিটন দাস। সপ্তম ওভারে তার পিছু নেন তামিমও (৫)। মাঝে কিছুটা চেষ্টা করেছিলেন সৌম্য সরকার (২২) ও মুশফিক (২৪)। কিন্তু ইনিংস দীর্ঘায়িত করতে পারেননি। অথচ আজকের পিচ ছিল স্পোর্টিং পিচ। কিউইদের ব্যাটিং দেখলেই তা বুঝা যায়।
দলের বিপর্যয়ে ফের ব্যাট হাতে দাঁড়িয়ে গিয়েছিলেন মোহাম্মদ মিঠুন। তার ব্যাট থেকে এসেছে ৬৯ বলে ৫৭ রান। ৭ চার ও ১ ছক্কায় সাজানো ইনিংসটি। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৪৩ রান এসেছে সাব্বির রহমানের ব্যাট থেকে। বাকিদের ছোট ছোট ইনিংস মিলিয়ে ৪৯.৪ ওভারে ২২৬ রানেই গুটিয়ে যায় বাংলাদেশ।
এই হারে ২-০ ব্যবধানে পিছিয়ে থেকে সিরিজ খুইয়েছে বাংলাদেশ।
বাংলাদেশ সময়: ১১১৪ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৬, ২০১৯
এমএইচএম