ঢাকা, শনিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ক্রিকেট

হার্দিক-রাহুলের পক্ষ নিয়ে ক্ষোভ ঝাড়লেন শামি পত্নী 

স্পোর্টস ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০০৪৫ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৮, ২০১৯
হার্দিক-রাহুলের পক্ষ নিয়ে ক্ষোভ ঝাড়লেন শামি পত্নী  হার্দিক-রাহুল। ছবি: সংগৃহীত

হার্দিক পান্ডিয়া ও লোকেশ রাহুলের নারীদের নিয়ে অশালীন মন্তব্যের ঘটনা অনেকটাই পুরানো এখন। কিন্তু সেই ঘটনাকে আবারও উসকে দিলেন ভারতের আরেক আলোচিত ও সমালোচিত ক্রিকেটার মোহাম্মদ শামির স্ত্রী হাসিন জাহান। 

নারীদের নিয়ে এক টেলিভিশন অনুষ্ঠানে অশালীন মন্তব্যের জেরে ভারতীয় ক্রিকেট থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য নিষিদ্ধ হন হার্দিক ও রাহুল। তবে নিজেদেরকে ভাগ্যবান ভাবতেই পারেন তারা।

মাত্র ১৩ দিনেই উঠে যায় সে নিষেধাজ্ঞা। দলের সঙ্গে অস্ট্রেলিয়া সফরে থাকা কালে তাদের ফিরিয়ে আনা হলেও পরবর্তীতে হার্দিককে আবারও পাঠানো হয় দলের কাছে। তবে রাহুল সুযোগ পান ‘এ’ দলে।

হার্দিক ও রাহুলের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা তুলে নিলেও একাধিক শর্ত দিয়েছে বোর্ড অব কন্ট্রোল ফর ক্রিকেট ইন ইন্ডিয়ার (বিসিসিআই) প্রশাসক কমিটি। এই দুই ক্রিকেটারের শাস্তি যতটা না আলোচনায় আসে, তার থেকে বেশি সমালোচনা ওঠে তাদের নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ায়। কিন্তু এবার তাদের পাশে পেলেন হাসিনকে।

মোহাম্মদ শামির সঙ্গে হাসিন জাহান।  ছবি: সংগৃহীত

শুধু হার্দিক-রাহুলের পক্ষই নেননি। নিজের ক্ষোভ ঝেড়ে বিসিসিআইয়ের যৌক্তিকতা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন শামির সাবেক স্ত্রী হাসিন। বলেন, ‘হার্দিকদের বিরুদ্ধে কোনো নারী অভিযোগ করেনি। তবু তাদের নির্বাসিত হতে হয়েছিল। তবে শামিকে কেন তা করা হলো না! একজন ক্রিকেটার যখন খারাপ কাজ করেছে, আমি সেটা তুলে ধরেছিলাম। কিন্তু অর্থ ও প্রতিপত্তির কাছে হার মানতে হয়েছিল। বদনাম করা হয়েছিল আমাকে। আমি আইনত বৈধ স্ত্রী হয়ে স্ত্রী নির্যাতন, অবৈধ সম্পর্কের কথা জানিয়েছি, সেটার প্রমাণও দিয়েছি। তা সত্ত্বেও শামিকে কিন্তু নিষিদ্ধ করা হয়নি!’

ভারতীয় পেসার শামির বিরুদ্ধে স্ত্রী নির্যাতন, বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক ছাড়াও যৌতুক ও হত্যা চেষ্টার মতো অভিযোগ তোলেন হাসিন জাহান। কিন্তু এত অভিযোগের পরও ভারতীয় বোর্ড উল্লেখযোগ্য কোনো ব্যবস্থা নেয়নি শামির বিরুদ্ধে। আর সেই ক্ষোভ প্রকাশ করতে ছাড়েননি হাসিন।  
বলেন, ‘হার্দিক-রাহুলদের নির্বাসিত করে বোর্ড কী বোঝাতে চাইল? হার্দিকদের বিরুদ্ধে তো কেউ কোনো অভিযোগ করেনি। নিজের মতামতই সোজাসুজি জানিয়েছিল। এমন কথা বলার জন্য ওদের নির্বাসনে কেন পাঠানো হলো? তাহলে শামির ক্ষেত্রে হলো না কেন?’

‘দিল্লি গিয়ে বোর্ড প্রেসিডেন্টের কাছে শামির বিরুদ্ধে চলা তদন্তের রিপোর্ট চেয়েছিলাম। কিন্তু তিনি রিপোর্ট দিতে সরাসরি অস্বীকার করেছিলেন। ফিক্সিং হোক কিংবা শামির অবৈধ সম্পর্ক— তদন্তই তো ঠিক করে হলো না। সরাসরি শামিকে ছেড়ে দেওয়া হলো। বোর্ড শামির বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নিলো না। ওদের পেছনে কেনো লাগলো?’

বাংলাদেশ সময়: ১৯৪০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৭, ২০১৯
এমকেএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।