বিপিএলে স্থানীয় ক্রিকেটারদের সুযোগ তুলনামূলক কম থাকায় টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে তরুণ ক্রিকেটারদের তেমন উঠে আসতে দেখা যাচ্ছে না। আগের আসরগুলোর তুলনায় এবার বিপিএলে তো স্থানীয়দের জন্য অনেকটা খরাই গেছে বলতে গেলে।
তাছাড়া বিদেশিদের ভিড়ে স্থানীয়দের ভালো খেলার সুযোগও থাকে কম। এজন্য ভুগছে জাতীয় দলও। ভালো মানের টি-টোয়েন্টি প্রতিভার বড্ড অভাব। ফলে ওয়ানডেতে বিশ্বে নয়া পরাশক্তির মর্যাদা পাওয়া টাইগাররা এই ফরম্যাটে এখনো অনেক পিছিয়ে। তাই স্থানীয়দের জন্য ভিন্ন একটি টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্টের কথা বহুদিন থেকেই আলোচিত হয়ে আসছে।
সিলেটে বিপিএল চলার সময় ইঙ্গিত দিয়ে রেখেছিলেন বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) সভাপতি নাজমুল হোসেন পাপন। তিনি সেসময় জানিয়েছিলেন, ঢাকা প্রিমিয়ার লিগের সঙ্গেই নয়া এই টুর্নামেন্ট হতে পারে। সোমবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) চলতি মৌসুমের প্লেয়ার্স ড্রাফট শেষে সংবাদ সম্মেলনে সেটারই ঘোষণা দিলেন সিসিডিএম চেয়ারম্যান কাজী ইনাম আহমেদ। জানালেন, আগামী ২৫ ফেব্রুয়ারি থেকে এই টুর্নামেন্ট শুরু হবে।
তিনি আরও জানিয়েছেন, আসন্ন ঢাকা প্রিমিয়ার লিগের আগেই বসবে নতুন টি-টোয়েন্টি আসর। এতে অংশ নেবে ঢাকা প্রিমিয়ার লিগেরই ১২টি দল। অর্থাৎ, আবাহনী, মোহামেডান, প্রাইম ব্যাংক, শেখ জামাল ধানমন্ডি, লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জ, প্রাইম দোলেশ্বর, গাজী গ্রুপ ক্রিকেটার্স, ব্রাদার্স, খেলাঘর সমাজ কল্যাণ সমিতি, শাইনপুকুর ক্রিকেট ক্লাব, উত্তরা স্পোর্টিং ক্লাব ও বিকেএসপিকে নিয়েই মাঠে গড়াবে অভিষেক আসর।
টুর্নামেন্টের ফরমেশন হবে গ্রুপ হিসেবে। ১২টি দলকে ভাগ করা হবে চারটি গ্রুপে। প্রতি দল নুন্যতম দুটি করে ম্যাচ খেলতে পারবে। গ্রুপ পর্ব শেষে প্রতি গ্রুপের শীর্ষ দল মুখোমুখি হবে সেমিফাইনালে। লিগ ম্যাচগুলো হবে ২৫-২৭ ফেব্রুয়ারি। সেমিফাইনালে দুইটি হবে ১ মার্চ। চারটা গ্রুপ থেকে চার দল সেমিফাইনালে যাবে। ফাইনাল ম্যাচ হবে ৩ মার্চ, মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে। এতে বিদেশি কোনো খেলোয়াড় থাকবে না।
বাংলাদেশ সময়: ১৮১০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৮, ২০১৯
এমএইচএম/এমএমএস