চট্টগ্রামে দুই ম্যাচ সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচের শেষ দিনে সোমবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) আগেরদিনের ১ উইকেট হারিয়ে ৩৪ রানের সংগ্রহ নিয়ে ব্যাট করতে নামে বাংলাদেশের যুবারা। দলীয় ৬৭ রানে ওপেনার তানজিদ হাসান বিদায় নিলেও ম্যাচে ভালোভাবেই টিকে থাকে বাংলাদেশ।
দলীয় ১২১ রানে পারভেজ হোসেন ইমন (৩১) বিদায় নিলে ৩ উইকেট হারানো বাংলাদেশকে কক্ষপথে ফেরানোর কাজ শুরু করেন মাহমুদুল ও তৌহিদ হৃদয়। এই জুটি বিচ্ছিন্ন হওয়ার আগে যোগ করেন ১৪২ রান। ব্যক্তিগত ৭৬ রানে বিদায় নেন হৃদয়। মাঝে অধিনায়ক আকবর আলী (৫) টিকতে পারেন মাত্র ১০ বল।
অপরপ্রান্তে হৃদয়ের পর আর কেউ সেভাবে সঙ্গ দিতে না পারলেও ব্যাট হাতে এদিন দুর্দান্ত এক ইনিংস উপহার দিয়ে দলকে জয়ের বন্দরের পথ দেখান জয়। তুলে নেন অসাধারণ এক সেঞ্চুরি। ২২৪ বলে ১৩ চারে ১১৪ রানের এক ধৈর্যশীল ইনিংস খেলে জয় যখন বিদায় নেন, ততক্ষণে দলের সংগ্রহ ৬ উইকেটে ৩২৬ রান। মাঝে শাহাদাত হোসেনও (২০) আউট হলে বাকি কাজটা সহজেই সেরে নেন দুই পরাজিত ব্যাটসম্যান রুহেল আহমেদ ও মিনহাজুর রহমান।
এর আগে জেমি স্মিথের সেঞ্চুরিতে ভর করে ৮ উইকেটে ২২৩ নিয়ে ইনিংস ডিক্লেয়ার করেছিল ইংলিশ যুবারা। ফলে বাংলাদেশের সামনে লক্ষ্য দাঁড়িয়েছিল ৩৩৩ রানের। বল হাতে ইংলিশদের দ্বিতীয় ইনিংসে ৪ উইকেট তুলে নিয়েছিলেন বাংলাদেশের মিনহাজুর রহমান।
দুই ইনিংসে যথাক্রমে ৭৪ ও ১১৪ করে ম্যাচসেরা হয়েছেন মাহমুদুল। আর প্রথম ম্যাচে ৯ ও দ্বিতীয় ম্যাচে ৭ উইকেট নিয়ে সিরিজ সেরা বাঁহাতি স্পিনার মিনহাজুর রহমান।
এই জয়ে সফরকারী ইংলিশ যুবাদের ২-০ ব্যবধানে হোয়াইটওয়াশ করলো বাংলাদেশ। এর আগে একমাত্র টি-টোয়েন্টিতে ও তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজেও ইংলিশদের হোয়াইটওয়াশ করেছিল যুবা টাইগাররা।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
ইংল্যান্ড অনূর্ধ্ব-১৯ দল: ৩৩৭ ও ২২৩/৮ ডি.
বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দল: ২২৮ ও ৩৩৩/৭ (৯৩.৫ ওভার, লক্ষ্য ৩৩৩ রান)
বাংলাদেশ সময়: ১৯৩৪ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৮, ২০১৯
এমএইচএম