ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১১ পৌষ ১৪৩১, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

ক্রিকেট

হোয়াইটওয়াশের সিরিজে প্রাপ্তি শুধু সাব্বিরের সেঞ্চুরি

স্পোর্টস ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬৫০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২০, ২০১৯
হোয়াইটওয়াশের সিরিজে প্রাপ্তি শুধু সাব্বিরের সেঞ্চুরি সাব্বির রহমান। ছবি: সংগৃহীত

আগের দুই ম্যাচে ৮ উইকেটের বড় হার। তৃতীয় ও শেষ ম্যাচে ৮৮ রানের হার। সিরিজ খুইয়ে এবার হোয়াইটওয়াশই হলো টাইগাররা। তবে দিন শেষে প্রাপ্তির খাতায় সাব্বির রহমানের দুর্দান্তভাবে ফিরে আসা। তার ব্যাটে সেঞ্চুরিটাই যেনো জানান দেয়, বাংলাদেশের ভালো সময়ের।

দল হারলেও ওয়ানডে ক্যারিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরি তুলে নেন সাব্বির। মাত্র ১১০ বলে ১০২ রানের একটি ঝকঝকে ইনিংস উপহার দেন বাংলাদেশ দলের এই হার্ড হিটার।

অনেকটা সময় পর যেনো নতুন করে নিজেকে চেনালেন সাব্বির। সিরিজের বাকি দুই ম্যাচে তার ব্যাট থেকে আসে ১৩ ও ৪৩ রান।  

সিরিজ শুরুর আগে সাব্বিরের দলে আসা নিয়ে কম জল ঘোলা হয়নি। তারই জবাব যেনো দিলেন এই ডানহাতি ব্যাটসম্যান। জবাবটা শুধু ব্যাটেই নয়, ছিলো তার সেঞ্চুরির উদযাপনেও।  

বুধবারের (২০ ফেব্রুয়ারি) ম্যাচে নিউজিল্যান্ডের মাটিতে লক্ষ্যটা বাংলাদেশের সামনে পাহাড় সমানই। তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজে হোয়াইটওয়াশ ফেরাতে টাইগারদের দরকার ছিলো ৩৩১ রান। কিন্তু এত বড় লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে প্রথমেই বিপর্যয়ে পড়ে বাংলাদেশ। তবে সেই ধাক্কা সামলে দলকে অনেকটা এগিয়ে নেন সাব্বির রহমান। তাকে দারুণ সঙ্গ দেন সাইফউদ্দিন।

ডানেডিনে সিরিজের তৃতীয় ও শেষ ম্যাচে হেনরি নিকোলস, রস টেলর আর টম লাথামের তিন হাফ সেঞ্চুরিতে ৬ উইকেটে ৩৩০ রান তোলে স্বাগতিকরা। কিন্তু কিউইদের শক্ত ব্যাটিং লাইন আপের উল্টো দিকে বাংলাদেশের ব্যাটিং লাইন আপ শুরুতেই ভেঙে পড়ে। প্রথম ৩ ওভারেই ফিরে যান তামিম ইকবাল। সৌম্য সরকার ও লিটন দাস।

টিম সাউদির আগুনে গোলার সামনে তামিম টিকতে পারেন কেবল ২ বল। শূন্য রানেই লাথামের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন এই বাঁহাতি ওপেনার। এক বল পর ফেরেন সৌম্যও। তার ব্যাট থেকেও আসেনি কোনো রান।

২.১ ওভারে সাউদিকে তৃতীয় উইকেট উপহার দিয়ে ফেরেন লিটন। তার ব্যাট থেকে আসে এক রান। বাংলাদেশের মিডল অর্ডারের ভরসা মুশফিকুর রহিম কিছুটা সময় চেষ্টা করেও খুব বেশি দূর যেতে পারেননি। ২৭ বলে ১৭ রান করে ট্রেন্ট বোল্টের বলে আউট হন তিনি।

দ্রুত ৫ উইকেট হারিয়ে ফেলা বাংলাদেশকে কিছুটা স্থির করেছেন সাব্বির ও সাইফউদ্দিন। অনেকটা সময় সাব্বিরকে সঙ্গ দিয়ে বোল্টের বলে ফেরেন সাইফউদ্দিন। আউট হয়ে ফেরার আগে তার ব্যাট থেকে আসে ৬৩ বলে ৪৪ রান।

তিনি ফিরে গেলেও অটল থাকেন সাব্বির।  তবে অপর প্রান্ত থেকে ফিরে যান অধিনায়ক মাশরাফি। তিনি করেন মাত্র ২ রান।

মেহেদি হাসান মিরাজও চেস্টা করেন দলকে এগিয়ে নেওয়ার। তবে তাকেও ফিরতে হয় ৩৭ রানে (৩৪ বল)। ১০২ রানের ইনিংস খেলে ফিরে যান সাব্বিরও। ২৪১ রানে থামে বাংলাদেশের ইনিংস। ৮৮ রানের পরাজয় নিয়েই মাঠ ছাড়তে হয় লাল-সবুজের প্রতিনিধিদের।

নিউজিল্যান্ডের হয়ে একাই বাংলাদেশের ব্যাটিং লাইনআপ গুঁড়িয়ে দেন টিম সাউদি। নেন ৬ উইকেট। বাকী ২ উইকেট নেন বোল্ট ও একটি নেন গ্রান্ডহোম।  
    
এর আগে টসে জিতে স্বাগতিকদের ব্যাটিংয়ে পাঠান বাংলাদেশ অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজা। কিন্তু বল হাতে তেমন আটকাতে পারেননি বাংলাদেশের বোলাররা। বোলারদের মধ্যে সবচেয়ে সফল মোস্তাফিজুর রহমান। তবে ২ উইকেট নিলেও রান খরচের দিক দিয়েও তিনিই সবার উপরে। ১০ ওভার বল করে দেন ৯৩ রান। একটি করে উইকেট নিয়েছেন মাশরাফি, রুবেল, সাইফউদ্দিন আর মিরাজ।  

নিউজিল্যান্ডের হয়ে ব্যাট হাতে নিকোলস ৬৪, টেলর ৬৯ আর লাথাম ৫৯ রান করেন।

বাংলাদেশ সময় বুধবার ভোররাত ৪টায় ডানেডিনে শুরু হয় চলতি সিরিজের তৃতীয় ও শেষ ম্যাচটি।

বাংলাদেশ সময়: ১১৪৫ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২০, ২০১৯

এমকেএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।