রোববার টেস্টের চতুর্থ দিন এক ইনিংস ও ৫২ রানে হার মানে বাংলাদেশ। তবে ইতিবাচক কথা হচ্ছে দ্বিতীয় ইনিংসে দারুণ খেলে সৌম্য ও মাহমুদউল্লাহ সেঞ্চুরি তুলে নেন।
ম্যাচপরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে নিজেদের ব্যাটিং ও প্রতিপক্ষের বোলিং মূল্যায়ন করে মাহমুদউল্লাহ বলেন, ‘কাল ফাস্ট আওয়ারে ব্যাটিং করার সময় চিন্তা করছিলাম সহজেই যেন উইকেটটা না দেই। কেননা ওই সময়টুকু সার্ভাইভ করতে পারলে এটলিস্ট কালকে ভালো খেলতে পারবো। আমার মনে হয় ওরাও ডিফরেন্ট ফেজে ভালো বোলিং করেছে। ওরা বাউন্সগুলো ট্রাই করছিল। আবার যদি আপনি সাউদি ও বোল্টের কথা চিন্তা করেন ওরা নতুন বলে সুই করানোর চেষ্টা করছিল। এটাই আসলে ওদের সাধারণ প্রক্রিয়া। আর বলটা একটু পুরোনো হয়ে গেলে ওরা শর্ট মারা চেষ্টা করে। তো হোপফুলি এটা আমাদের ব্যাটসম্যানদের একটা আইডিয়া হয়ে গেছে। সেকেন্ড টেস্টে যেনো আমরা এগুলো চিন্তা করে ব্যাটিং করতে পারি।
এদিকে প্রথম ইনিংসে বাজে ব্যাটিংয়ের খেসারত হিসেবেই এমন হার বলে মনে করেন দলের সিনিয়র এই ব্যাটসম্যান। তবে তিনি প্রশংসা করতে ভুললেন না অভিষেক সেঞ্চুরি পাওয়া সৌম্যর।
‘ঐ সময়টাতে সৌম্যর ভূমিকাটা অনেক গুরুত্বপূর্ণ ছিল। সে খুব ফ্লুয়েন্টলি ব্যাটিং করছিল। তার চান্সগুলো সে কাজে লাগাচ্ছিল। মনে করেন একজন বোলার ভালো বাউন্সি মারছে বা ভালো লাইন লেন্থে বোলিং করছে, একই সময় আপনি ধরেন ওভারে বাউন্ডারি হাঁকিয়ে চার-পাঁচ রান তুলছেন, তখন এটি বোলারের জন্য হতাশার। ঐ কাজটাই সৌম্য খুব ভালো করছিল। আমাদের ব্যাটিং পার্টনারশিপটা ভালোই যাচ্ছিল। তবে আমার মনে হয় আমাদের প্রথম ইনিংসটা আমরা সুযোগ হারিয়েছি। প্রথম ইনিংসে আরেকজন যদি কেউ ইনিংস বড় করতে পারতো, তবে এখন হয়তো গল্পটা অন্যরকম হতো। তবে আশা করি ব্যাটসম্যানদের জন্য আমরা পজিটিভ কিছু নিয়ে যেতে পারছি দ্বিতীয় টেস্টে।
প্রথম ইনিংসে দারুণ ব্যাটিং করা তামিম ও নিজের ব্যাটিং প্রসঙ্গে মাহমুদউল্লাহ বলেন, ‘তামিম খুব ভালো ব্যাটিং করেছে। একটা সময় তামিমকে যখন বাউন্সার মারছিল, আমার মনে হয় আমাদের দলে তামিম সবচেয়ে ভালো পুল-বুক খেলে। ও ওই সময়টাতে সার্ভাইভ করে, ওই সময়টা আমার খুব ভালো লেগেছে। আমি চেষ্টা করেছি নিজে এমনটা করতে পারি কিনা। ’
বাংলাদেশ সময়: ১২২৮ ঘণ্টা, ০৩ মার্চ, ২০১৯
এমএমএস