শুক্রবার (৫ এপ্রিল) মিরপুরের শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ৩২৫ রানের বড় টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে দলীয় ৪৩ রানে ২ উইকেট হারায় শাইনপুকুর। তৃতীয় উইকেটে ৪৭ রান যোগ করেন উন্মুক্ত চান্দ ও তৌহিদ হৃদয়।
ষষ্ঠ উইকেটে অবশ্য প্রতিরোধ গড়েন আফিফ ও অমিত হাসান। দুজনে মিলে শত রানের জুটি গড়েন। তাদের এই জুটিতেই জয়ের আশা বেঁচে থাকে শাইনপুকুরের। অমিত ৪৩ রান করে আউট হন। তবে অল্পের জন্য সেঞ্চুরি মিস করেন আফিফ। ৯৭ রান করে দলীয় ২৬১ রানে প্যাভিলিয়নে ফেরত যান তিনি।
এরপর সোহরাওয়ার্দি শুভ ও দেলোয়ার হোসাইনের ৫৯ রানের ঝড়ো গতির জুটিতেই জয়ের পথে এগিয়ে যায় শাইনপুকুর। ১৯ বলে ৩৪ রানে ইনিংস খেলে আউট হন দেলোয়ার। জয়ের জন্য শেষ ওভারে প্রয়োজন ছিল ৫ রান। ২ বল হাতে রেখে জয় তুলে নেয় শাইনপুকুর। শুভ ২৩ বলে ৩৪ রান করে অপরাজিত ছিলেন।
মোহামেডানের সোহাগ গাজী ও রজত ভাটিয়া ২টি এবং শাহাদাত হোসাইন ও আলাউদ্দিন বাবু ১টি করে উইকেট নেন।
এর আগে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে মোহামেডানকে দারুণ সূচনা এনে দেন দুই ওপেনার লিটন দাস ও ইরফান শুকুর। ২০ ওভারে ১০১ রানের উদ্বোধনী জুটি গড়েন তারা। দুজনেই অর্ধশতক তুলে নেন। ইরফান ৫০ রান করে আউট হন। দ্বিতীয় উইকেটে অভিষেক মিত্রকে সাথে নিয়ে ৫৬ রানে জুটি গড়েন লিটন। তবে অল্পের জন্য সেঞ্চুরি মিস করেন। ৮৯ বলে ৮৪ রান করে টিপু সুলতানের শিকার হয়ে ফেরেন তিনি।
তৃতীয় উইকেট জুটিতেও শক্ত প্রতিরোধ গড়েন অভিষেক ও রকিবুল হাসান। দুজনের ব্যাট থেকে আসে ৮২ রান। অভিষেক মিত্রও তুলে নেন অর্ধ-শতক। দলীয় ২৩৯ রানে ব্যক্তিগত ৫০ রানে আউট হন অভিষেক।
অর্ধ-শতক তুলে নেন রকিবুল। চতুর্থ উইকেট জুটিতে ৪৭ রান যোগ করেন রকিবুল ও সোহাগ গাজী। রকিবুল ৭৪ রান করে দলীয় ২৮৬ রানে আউট হন। তবে এরপর শাইনপুকুরের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে আর বেশি রান তুলেতে পারেনি মোহামেডান। সোহাগ গাজী ছাড়া আর কোনও ব্যাটসম্যানই রানের দেখা পাননি। ২২ বলে ৪৫ রানে ঝড়ো ইনিংস খেলে আউট হন সোহাগ গাজী। তারপরও ৪৯ দশমিক ৩ বলে ৩২৪ রানে অলআউট হয় মোহামেডান।
শাইনপুকুরের দেলোয়ার ৫টি, শুভ ২টি এবং শরিফুল ও টিপু ১টি করে উইকেট নেন।
শাইনপুকুরের দেলোয়ার হোসাইন ম্যাচ সেরা হয়েছেন।
এই জয়ে ৯ পয়েন্ট নিয়ে পয়েন্ট তালিকার পঞ্চম স্থানে উঠে এসেছে শাইনপুকুর। আর ৮ পয়েন্ট নিয়ে ষষ্ঠ স্থানে মোহামেডান।
বাংলাদেশ সময়: ২০০৫ ঘন্টা, এপ্রিল ০৫, ২০১৯
আরএআর/এমএইচএম