যাদেরকে স্কোয়াডের অংশ হিসেবে এরই মধ্যে ভেবে নেওয়া হয়েছে তাদের মধ্যে একাধিক চোটে পড়ে আছেন আর কেউ পুনর্বাসনে সময় ব্যয় করছেন। মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, মুশফিকুর রহিমরা মাঠে ফেরার পথে থাকলেও মোস্তাফিজুর রহমান, রুবেল হোসেনরা ফিরতে দেরি হবে আরও।
মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ: দীর্ঘদিন ধরেই কাঁধের চোটে ভুগছেন জাতীয় দলের নির্ভরযোগ্য ও অভিজ্ঞ অলরাউন্ডার মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। শেষ চার মাস টানা ম্যাচ খেলার কারণে বিশ্রামের তেমন সুযোগ পাননি। গত সপ্তাহে ১৫ দিনের বিশ্রাম দেন চিকিৎসকরা। মাহমুদউল্লাহর চোট গ্রেড-৩ টিয়ারের। পুরোপুরি সুস্থ হতে আরো সময় লাগবে তার তবে পুনর্বাসনের অংশ হিসেবে নিয়মিত অনুশীলন চালিয়ে যাচ্ছেন তিনি।
মুশফিকুর রহিম: রিবের চোট কিছুটা সেরে উঠলেও পাজরের পুরানো ব্যথা বেশ ভোগাচ্ছে মুশফিকুর রহিমকে। যদিও স্ক্যান করিয়েও খারাপ কিছু পাওয়া যায়নি উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যানের। একমাত্র ঔষুধ ও বিশ্রামেই সেরে উঠতে পারেন তিনি। যদিও অনুশীলন করেছেন মুশফিক। রানিং করছেন নিয়মিতই।
রুবেল হোসেন: সাইড স্ট্রেইন চোটের কারণে চলমান ওয়ালটন ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে (ডিপিএল) অংশ নিচ্ছেন না রুবেল হোসেন। লিগের ম্যাচ চলাকালীনই গেলো মাসে সাইড স্ট্রেইনের চোটে পড়েন। তবে চিকিৎসক জানিয়েছেন, বিশ্বকাপের আগে পুরোপুরি সুস্থ হয়ে যাবেন ডানহাতি এই পেসার।
মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন: টেনিস এলবোর চোট নিয়েও প্রিমিয়ার লিগ চালিয়ে যাচ্ছেন পেস অলরাউন্ডার মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন। বোলিং কিংবা ব্যাটিংয়ে কোনো সমস্যা হচ্ছে না। তবে ফিল্ডিংয়ে জোরে বল থ্রো করতে সমস্যা হচ্ছে। যদিও চিকিৎসক তাকে নিয়ে খুব একটা চিন্তিত নন। আয়ারল্যান্ড ক্যাম্পেও অংশ নিতে পারবেন বলেই ধারণা করা হচ্ছে।
মেহেদি হাসান মিরাজ: প্রিমিয়ার লিগের মাঝে আঙুলে চোট পান এই স্পিনিং অলরাউন্ডার। তবে চিকিৎসক জানিয়েছেন চোট তেমন গুরুতর নয়। যদিও দুই দিনের বিশ্রাম দেওয়া হয়েছে তাকে।
মোস্তাফিজুর রহমান: চোটের তালিকায় সবশেষ নাম লিখিয়েছেন বাঁহাতি পেসার মোস্তাফিজুর রহমান। চার বছর পর প্রিমিয়ার লিগে ফিরে শুরুটাও ভালোই করেন। তবে বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) তার মাঠে নামার কথা থাকলেও তা পারেননি। আগের দিন অনুশীলনে বাঁ পায়ের গোঁড়ালিতে চোট পান তিনি। দুই সপ্তাহ মাঠের বাইরে থাকতে হবে এই পেসারকে।
তবে স্বস্তির খবর হলো, বিশ্বকাপ খেলা নিয়ে সংশয় নেই তার। মূলত তাকে নিয়ে কোনো ঝুঁকি না নিতেই এই বিশ্রাম
বাংলাদেশ সময়: ১০৩১ ঘণ্টা, এপ্রিল ১২, ২০১৯
এমকেএম