কতই না উত্থানপতন এই ১৮ বছরের ক্যারিয়ারে। হার না মানা মাশরাফি শুধু প্রতিপক্ষের বিপক্ষে লড়াই-ই করেননি, লড়াই করেছেন ইনজুরির সঙ্গেও।
অভিষেক ম্যাচে দলের হার দেখেছেন। বাংলাদেশকে ৫ উইকেটে হারিয়ে সিরিজে লিড নিয়েছিল জিম্বাবুয়ে। অভিষেক ম্যাচে ব্যাট হাতে ১০ বলে মাশরাফি করেছিলেন ১ রান। আর বল হাতে ৮.২ ওভারে তিন মেডেন নিয়ে ২৬ রান খরচায় তুলে নেন দুটি উইকেট। ইনিংসের শুরুতেই বোল্ড করেন জিম্বাবুয়ের ওপেনার গ্রান্ট ফ্লাওয়ারকে। অভিষিক্ত সতীর্থ ফাহিম মুনতাসিরের ক্যাচের মধ্যদিয়ে মাশরাফি ফিরিয়ে দেন অ্যান্ডি ফ্লাওয়ারকে।
গ্রান্ট ফ্লাওয়ার আর অ্যান্ডি ফ্লাওয়ার এই দুই ভাইকে ফেরানোর মাঝে মাশরাফি রানআউট করেন ওপেনার ট্রেভর গ্রিপারকে। দলীয় ২০ রানে জিম্বাবুয়ের তিন উইকেটের পতনে মূল হন্তারক ছিলেন ম্যাশ।
২০০১ সালের ৮ নভেম্বর ঢাকার বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে টেস্ট অভিষেকের মধ্য দিয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে যাত্রা শুরু হয়েছিল মাশরাফির। সাদা পোশাকে ৩৬ ম্যাচ খেলে তিনি নিয়েছেন ৭৮ উইকেট। আন্তর্জাতিক ওয়ানডে ক্রিকেটে ১৮ বছর পার করা ম্যাশ এই ফরম্যাটে খেলেছেন ২১৭টি ম্যাচ, নিয়েছেন ২৬৬টি উইকেট। ওয়ানডেতে তার চেয়ে বেশি উইকেট নেই আর কোনো বাংলাদেশি বোলারের। জাতীয় দলের জার্সিতে ৫৪ টি-টোয়েন্টিতে নিয়েছেন ৪২ উইকেট।
প্রথমশ্রেণির ক্রিকেটে মাশরাফির নামের পাশে ৫৭টি ম্যাচ, যেখানে তার উইকেট সংখ্যা ১৩৫টি। ৩০২ লিস্ট ‘এ’ ক্রিকেটে নিয়েছেন ৪১৭ উইকেট। আর সবধরনের টি-টোয়েন্টিতে ১৫০ ম্যাচ খেলে ম্যাশ নিয়েছেন ১৩৮ উইকেট।
মাশরাফি টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট ছেড়েছেন ২০১৭ সালের এপ্রিলে। আর টেস্ট ছেড়েছেন ২০০৯ সালে। এখনও ওয়ানডে ছাড়েননি সংসদ সদস্য নির্বাচিত হওয়া মাশরাফি। এই ফরম্যাটেও খুব বেশিদিন হয়তো আর দেখা যাবে না বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের ওয়ানডে অধিনায়ককে। তার নেতৃত্বেই প্রথমবারের মতো বিশ্বকাপের (২০১৫) কোয়ার্টার ফাইনাল খেলেছে বাংলাদেশ, উঠেছিল চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির সেমিফাইনালেও। চারটি বিশ্বকাপের দুটিতে নেতৃত্ব দেওয়া মাশরাফির কীর্তিই তাকে অমর করে রাখবে।
বাংলাদেশ সময়: ১১৫০ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৩, ২০১৯
এমআরপি