ঢাকা, বুধবার, ১০ পৌষ ১৪৩১, ২৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ২২ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

ক্রিকেট

ফাইনালে শিরোপা বঞ্চিত সৌম্য-আফিফরা

স্পোর্টস ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২২১২ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৩, ২০১৯
ফাইনালে শিরোপা বঞ্চিত সৌম্য-আফিফরা আউট হয়ে ফিরছেন অধিনায়ক শান্ত: ছবি-শোয়েব মিথুন

খুব কাছে গিয়েও শিরোপা জয় করা হলো না বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-২৩ দলের। ইমার্জিং কাপের ফাইনালে স্বাগতিকরা ৭৭ রানে হেরেছে পাকিস্তানের বিপক্ষে। রোহাইল নাজিরের সেঞ্চুরিতে ৫০ ওভারে ৬ উইকেটে ৩০১ রানের পাহাড় গড়ে পাকিস্তান অনূর্ধ্ব-২৩ দল। জবাবে ৪৩.৩ ওভারে ২২৪ রানে অলআউট হয়ে যায় নাজমুল হোসেন শান্তরা। 

শনিবার (২৩ নভেম্বর) মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় স্টেডিয়ামে ইমার্জিং কাপের ফাইনালে পাকিস্তান অনূর্ধ্ব-২৩ দলের মুখোমুখি হয় বাংলাদেশ। ম্যাচটি শুরু হয় সকাল ৯টায়।

 

টসে জিতে বোলিংয়ে এসে শুরুটা দুর্দান্ত করে বাংলাদেশ। পাকিস্তানের দলীয় ১৮ রানে ওপেনার ওমর ইউসূফকে (৪) সাজঘরে ফেরান সুমন খান। এরপর আরেক ওপেনার হায়দার আলীকে (২৬) দ্বিতীয় শিকার বানান তিনি। তবে শুরুর ধাক্কাটা সামাল দেয় নাজির ও ইমরান রফিকের ব্যাট। দুজনে গড়েন ১১৭ রানের জুটি।  

দলীয় ১৫৮ ও ব্যক্তিগত ৬২ রানে মাহাদী হাসানের বলে ইমরান ফিরলেও সেঞ্চুরি তুলে নেন নাজির। ১১১ বলে ১২ চার ও ৩ ছক্কায় ১১৩ রান করে পাকিস্তানের এই উইকেটরক্ষক এলবিডব্লিউ’র শিকার হোন হাসান মাহমুদের বলে। ইনিংসের শেষদিকে অধিনায়ক সৌদ শাকিল (৪২), খুশদিল শাহ’র (২৭) ঝড়ো ব্যাটিংয়ে ৩০১ রানের সংগ্রহ পায় পাকিস্তান। আমাদ বাট (১৫) ও সাইফ বদর (০) অপরাজিত ছিলেন।  

বাংলাদেশের হয়ে ১০ ওভারে ৭৫ রান দিয়ে সর্বোচ্চ ৩ উইকেট নিয়েছেন সুমন। হাসানের শিকার ২টি।

ব্যাটিংয়ের সময় সতীর্থের সঙ্গে আলোচনারত আফিফ: ছবি-শোয়েব মিথুন ৩০২ রানের লক্ষ্যে ব্যাটিংয়ে নেমে দলীয় ২৩ রানে সৌম্য সরকারকে হারায় বাংলাদেশ। সাজঘরে ফেরার আগে ৬ বলে ২ চার ও ১ ছক্কায় ঝড়ো ১৫ রানের ইনিংস খেলেন জাতীয় দলের এই ব্যাটসম্যান। এরপর অধিনায়ক শান্তকে নিয়ে বিপদটা সামাল দেওয়ার চেষ্টা করেন আরেক ওপেনার মোহাম্মদ নাঈম (১৬)। কিন্তু তিনিও বেশিক্ষণ টিকে থাকতে পারেননি।  

ধীর-সুস্থির গতিতে ব্যাট করতে থাকা শান্ত ও ইয়াসির আলী দলকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছিলেন। কিন্তু দুজনের ৫১ রানের জুটি ভাঙেন বাট। ২২ রানে ফেরেন ইয়াসির। এরপর দলীয় ১১৯ রানে ও ব্যক্তিগত ৪৬ রানে শান্ত আউট হলে শিরোপা জয়ের স্বপ্নটা ধুলিসাৎ হতে বসে। তবে আফিফ হোসেন চেষ্টা করেছিলেন দলকে জয়ের বন্দরে পৌঁছে দেওয়ার। বাংলাদেশের এই অলরাউন্ডার খেলছিলেনও দুর্দান্ত।  

কিন্তু জাকির হাসান (৯) ও মাহমুদুল ইসলাম অংকন (৫) দ্রুত বিদায় নিলে ফের বিপদে পড়ে বাংলাদেশ। দলীয় ১৯৫ রানে ফিফটি বঞ্চিত হয়ে বিদায় নেন আফিফও। তার ৫৩ বলে ৪৯ রানের ইনিংসটি সাজানো ছিল ৪ চার ও ১ ছক্কায়। পরাজয়ের মুখে একলা লড়াই করেন মেহেদী হাসান। কিন্তু তার ব্যাট থেকে ৪২ রান এলেও শেষের দুই ব্যাটসম্যান সুমন (৩) ও হাসান (৮) দ্রুত সাজঘরে ফিরলে ২২৪ রানে থমকে যায় বাংলাদেশের ইনিংস। ৫ রানে অপরাজিত ছিলেন তানভীর ইসলাম।  

শিরোপা জয়ের পর উল্লাসে মেতেছেন পাকিস্তানের যুবারা: ছবি-শোয়েব মিথুনপাকিস্তানের হয়ে সর্বোচ্চ ৩ উইকেট নিয়েছেন মোহাম্মদ হাসনাইন। দুটি করে উইকেট ভাগাভাগি করেছেন খুশদিল ও সাইফ বদর।  

পাকিস্তানকে শিরোপা এনে দিয়ে ম্যাচ সেরা হয়েছেন রোহাইল নাজির। ফাইনালে ব্যর্থ হলেও পুরো টুর্নামেন্টে দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ের জন্য প্লেয়ার অব দ্য সিরিজ হয়েছেন সৌম্য সরকার।  

প্লেয়ার অব দ্য টুর্নামেন্টের পুরস্কার নিচ্ছেন সৌম্য সরকার: ছবি-শোয়েব মিথুন এর আগে সেমিফাইনালে আফগানিস্তান অনূর্ধ্ব-২৩ দলকে ৭ উইকেটের ব্যবধানে হারিয়ে ফাইনালে ওঠে বাংলাদেশ। আর ভারতকে ৩ রানে হারিয়ে ফাইনালের টিকিট কাটে পাকিস্তানের যুবারা।  

বাংলাদেশ সময়: ১৭১১ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৩, ২০১৯
ইউবি 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।