ঢাকা, শনিবার, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ক্রিকেট

দ্বিতীয় ইনিংসের শুরুতেই দুই উইকেট খোয়াল বাংলাদেশ

স্পোর্টস ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২২৫৩ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৩, ২০১৯
দ্বিতীয় ইনিংসের শুরুতেই দুই উইকেট খোয়াল বাংলাদেশ ছবি:সংগৃহীত

নিজেদের দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাটিংয়ে নেমে প্রথম ওভারেই উইকেট খোয়াল বাংলাদেশ। দলীয় স্কোরে কোনো রান না তুলতেই ইশান্ত শর্মার বলে এলবি হয়ে ফেরেন শাদমান ইসলাম। এই ডানহাতি বোলার নিজের পরের ওভারেই মুমিনুল হককে বিদায় করেন শূন্য রানে। উইকেটরক্ষক ঋদ্ধিমান শাহাকে ক্যাচ দেন বাংলাদেশ অধিনায়ক।

এর আগে দ্বিতীয় দিনের দ্বিতীয় সেশনে বোলিংয়ে দারুণভাবে ঘুরে দাঁড়ায় বাংলাদেশ। এই সেশনেই কোহলিসহ ৫ উইকেট তুলে নেয় টাইগাররা বোলাররা।

তবে ভারত ৯ উইকেট হারিয়ে ৩৪৭ করার পর নিজেদের প্রথম ইনিংস ঘোষণা করে। যেখানে দলটির লিড ২৪১ রান।

টেস্টর দ্বিতীয় দিন ভারতীয় ব্যাটিংয়ের নিচে চাপা পড়তে শুরু করে বাংলাদেশ। প্রথম সেশনে টাইগারদের একমাত্র সাফল্য আজিঙ্কা রাহানের উইকেট প্রাপ্তি। তবে দ্বিতীয় সেশনে বাংলাদেশি পেসাররা ভয়ঙ্কর হয়ে ওঠেন।

দ্বিতীয় দিনে রাহানেকে বিদায় করে প্রথম উইকেটের দেখা পায় বাংলাদেশ। তাইজুল ইসলামের বলে এবাদত হোসেনের হাতে বন্দী হয়ে সাজঘরে ফেরেন রাহানে। ফেরার আগে ৬৯ বলে ৭ চারে ৫১ রান করেন তিনি।

লাঞ্চ থেকে ফিরেই ৭৭তম ওভারে রবীন্দ্র জাদেজাদে সরাসরি বোল্ড করেন আবু জায়েদ। ৪১ বলে ১২ রান করেন এই ব্যাটসম্যান। পাঁচ ওভার পরেই ব্যাটিংয়ে থিতু হওয়া বিরাট কোহলিকে মাঠ ছাড়া করান এবাদত হোসেন। তুলে মারতে গিয়ে তাইজুল ইসলামের ক্যাচে পরিণত হন ভারতীয় দলপতি। ১৯৪ বলে ১৮টি চারে ১৩৬ করেন এই তারকা ব্যাটসম্যান।

কলকাতা টেস্টে ব্যাটিংয়ের সুযোগ পেয়ে অবশ্য প্রথম ইনিংসে সেঞ্চুরি হাঁকিয়েছেন কোহলি। আজকের এই সেঞ্চুরিতে দারুণ এক কীর্তিতে নাম লিখিয়েছেন কোহলি। ইডেনে ক্যারিয়ারের ৮৪তম ম্যাচে নেমে ২৭তম টেস্ট সেঞ্চুরির দেখা পেয়েছেন কোহলি। তাতে টপকে গেছেন অধিনায়ক হিসেবে টেস্টে ১৯ সেঞ্চুরি করা অস্ট্রেলিয়ান গ্রেট রিকি পন্টিংকে। কোহলির আজকের সেঞ্চুরি দলপতি হিসেবে ২০তম।

৮৬ থেকে ৮৮, পর পর তিন ওভারে ভারতীয় তিন ব্যাটসম্যান বিদায় নেন। ৯ রানে থাকা রবীচন্দ্রন অশ্বিনকে এলবির ফাঁদে ফেলে আউট করেন আল-আমিন হোসেন। আর পরের ওভারে শূন্য রানে থাকা উমেষ যাদব আবু-জায়েদের বলে স্লিপে থাকা শাদমান ইসলামকে ক্যাচ দেন। ৮৮তম ওভারে অাল-আমিনের তৃতীয় শিকার হন ইশান্ত শর্মা (০)। তাকেও এলবির ফাঁদে ফেলেন এই ডানহাতি বোলার। ঋদ্ধিমান শাহা ১৭ ও মোহাম্মদ শামি ১০ রানে অপরাজিত থাকেন।

এর আগে ঐতিহাসিক দিবা-রাত্রির টেস্টের দ্বিতীয় দিন ফিল্ডিংয়ে নামে বাংলাদেশ। কলকাতার ইডেন গার্ডেন্সে দুই ম্যাচ সিরিজের দ্বিতীয়টিতে শনিবার (২৩ নভেম্বর) দ্বিতীয় দিনের খেলায় মুখোমুখি ভারত-বাংলাদেশ। এই টেস্টের মধ্যদিয়ে নিজেদের ইতিহাসে প্রথমবার গোলাপি বলে খেলতে নেমেছে দু’দল।

শুক্রবার প্রথম দিন টসে জিতে ব্যাটিং ব্যর্থতায় নিজেদের প্রথম ইনিংসে মাত্র ৩০.৩ ওভারে ১০৬ রানে গুটিয়ে যায় সফরকারীরা। জবাবে ৩ উইকেট হারিয়ে দলীয় ১৭৪ রান ও ৬৮ রানের লিডে দিন শেষ করে ভারত।

দিনের খেলায় ভারতীয় পেসারদের তোপে তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়ে বাংলাদেশের ইনিংস। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ২৯ রান আসে ওপেনার শাদমান ইসলামের ব্যাট থেকে। আর ২৪ রান করে ইনজুরিতে ছিটকে যাওয়া লিটন দাশ এই ম্যাচেই আর খেলতে পারবেন না।

তার পরিবর্তে আইসিসির কনকাশন নিয়মে খেলার সুযোগ পান মেহেদী হাসান মিরাজ। এই নিয়মে যেহেতু একই মানের ক্রিকেটারকে পরিবর্তন করতে হয়, ফলে মিরাজ শুধুমাত্র ব্যাটিংই করতে পারবেন। ইনজুরির কারণে একই নিয়মে স্পিনার নাঈম হাসানও ম্যাচ থেকে ছিটকে যান। তার পরিবর্তে দলে সুযোগ পেয়েছেন আরেক স্পিনার তাইজুল ইসলাম।

ভারতের বোলিংয়ে প্রথম দিন দাপট দেখানো ইশান্ত শর্মা ৫ উইকেট দখল করেন। এছাড়া উমেষ যাদব ৩টি ও মোহাম্মদ শামি ২টি উইকেট পান।

জবাবে প্রথম দিন ব্যাট করতে নামা ভারতের হয়ে বিরাট কোহলি (৫৯) ও আজিঙ্কা রাহানে (২৩) রানে অপরাপজিত থেকে মাঠ ছাড়েন। এর আগে ফিফটি করে বিদায় নেন চেতশ্বর পুজারা (৫৫)। বাংলাদেশি বোলারদের মধ্যে এবাদত হোসেন দুটি ও আল-আমিন হোসেন একটি উইকেট পান।

বাংলাদেশ সময়: ১৭৫২ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৩, ২০১৯
এমএমএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।