দক্ষিণ আফ্রিকার ক্রিকেটে চলমান সমস্যার মাঝেই প্রধান নির্বাহীর বরখাস্তের ঘোষণা সামনে এলো। মোরে এবং ক্রিকেট বোর্ডের প্রেসিডেন্ট ক্রিস নেনজানিকে বরখাস্তের দাবি অবশ্য অনেকদিন থেকেই উঠছিল।
এর আগে চলতি সপ্তাহের শুরুতে সিএসএ’র বোর্ড চেয়ারপার্সন ইকবাল খান এবং স্বাধীন পরিচালক শার্লি জিন পদত্যাগ করেন। মোরের বিরুদ্ধে অভিযোগের তীর ছুড়েছিলেন জিন। পরে অবশ্য মোরেকে ক্ষমা করা হয়েছিল। কিন্তু এবার আর শেষ রক্ষা হলো না। তার স্থলে নতুন কাউকে নিয়োগের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন সিএসএ প্রেসিডেন্ট।
গত কয়েকদিন থেকেই সিএসএ ম্যানেজমেন্ট, খেলোয়াড়, মিডিয়া এবং স্পন্সর নিয়ে বহুমুখী সঙ্কটে নিমজ্জিত দক্ষিণ আফ্রিকার ক্রিকেট। ঘটনার সুত্রপাত গত রোববার এমজানজি সুপার লিগ চলাকালীন সময়ে পাঁচ সাংবাদিকের স্বীকৃতি প্রত্যাহারের মাধ্যমে।
তখন এই নিষেধাজ্ঞার কোনো কারণ জানানো না হলেও পরে দেশটির জাতীয় রেডিওকে মোরে জানান, সিএসএ’র সংবাদ প্রচারে ওই সাংবাদিকরা যে কাজ করেছেন তাতে অখুশি বোর্ড।
এই বক্তব্যে তীব্র প্রতিক্রিয়া জানায় দক্ষিণ আফ্রিকার জাতীয় সংবাদমাধ্যমগুলোর সম্পাদকীয় ফোরাম, দক্ষিণ আফ্রিকার ক্রিকেটারদের অ্যাসোসিয়েশন এবং টেস্ট ও ওয়ানডে দলের স্পন্সর স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংক। দলের মূল স্পন্সর স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংক আগামী বছরের ৩০ এপ্রিল মেয়ার শেষ হওয়ার পর চুক্তি নবায়ন না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ফলে সিএসএ প্রায় ২৭ মিলিয়ন মার্কিন ডলার হাতছাড়া করতে যাচ্ছে।
এখানেই শেষ নয়, সাউথ আফ্রিকান ক্রিকেটার্স অ্যাসোসিয়েশনের (এসএসিএ) সঙ্গেও আইনি লড়াই চলছে সিএসএ’র। এর ফলেও প্রায় ৪৪.৭ মিলিয়ন মার্কিন ডলার হারাতে পারে সিএসএ। এর আগে বোর্ডের ৬ জন স্টাফকেও বরখাস্ত করা হয়। শুধু কি তাই, সিএসএ’র বিরুদ্ধে ক্রেডিট কার্ড জালিয়াতির অভিযোগও তোলা হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৫৯ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৬, ২০১৯
এমএইচএম