ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১১ পৌষ ১৪৩১, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

ক্রিকেট

আবারও ভারতীয় যুবাদের কঠোর শাস্তি দাবি কপিলের

স্পোর্টস ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০২৫ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৪, ২০২০
আবারও ভারতীয় যুবাদের কঠোর শাস্তি দাবি কপিলের ছবি: বাংলানিউজ

অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপের ফাইনালে বাংলাদেশ ও ভারতের খেলোয়াড়দের অপেশাদার আচরণ নিয়ে আবারও মুখ খুললেন ভারতীয় কিংবদন্তি কপিল দেব। বিশেষ করে ম্যাচ হেরে যাওয়ার পরও ভারতীয় যুবারা যেভাবে মাঠে ঢুকে ঝামেলায় জড়িয়েছেন তা নিয়ে তিনি বেশ ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন। এমন ঘটনা যেন আর না ঘটে সেজন্য ক্রিকেট বোর্ডকে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি। 

দক্ষিণ আফ্রিকার পচেফস্ট্রুমে অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপে ভারতকে হারিয়ে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হয় বাংলাদেশ। কিন্তু ফাইনালে হারটা সহ্য হয়নি ভারতীয় যুবাদের।

ম্যাচ শেষে জুনিয়র টাইগারদের সঙ্গে মৌখিক লড়াইয়েও নামে তারা। এক পর্যায়ে জুনিয়র টাইগারদের ম্যাচ জয়ের উদযাপনের মুহূর্তে বাংলাদেশের পতাকাও টেনে ধরে ভারতীয় যুবারা।

ফাইনালে বিতর্কিত আচরণের জন্য অবশ্য আইসিসি কর্তৃক শাস্তি পেয়েছেন দুই দেশের পাঁচ ক্রিকেটার। তাদের মধ্যে আইসিসি’র আচরণবিধি লেভেল-৩ ভঙের জন্য শাস্তি পেয়েছেন বাংলাদেশের তৌহিদ হৃদয়, শামীম হোসেন ও রাকিবুল হাসান। ভারতের আকাশ সিং ও রবি বিষ্ণয়কেও এই শাস্তি ভোগ করতে হচ্ছে।

তবে দেশের যুবাদের এমন দৃষ্টিকটু মনোভাব পছন্দ হয়নি কপিল দেবের। নিজ দেশের বোর্ডের তরফ থেকেও সাবেক ভারতীয় অধিনায়ক তাদের এমন আচরণের জন্য শাস্তি চেয়েছেন। তার মতে, ক্রিকেট আর এখন ভদ্রলোকের খেলা নয়। ’ 

১৯৮৩ বিশ্বকাপজয়ী ভারতীয় অধিনায়ক এক অনুষ্ঠানে বলেন, ‘কে বলেছে ক্রিকেট ভদ্রলোকের খেলা? এটা এখন ভদ্রলোকের খেলা নয়, ছিল বলা যায়। যুবা ক্রিকেটারদের মধ্যে যা হয়েছে তা এককথায় ভয়াবহ। ক্রিকেট বোর্ডগুলোকে অবশ্যই তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে যাতে ভবিষ্যতে আর এমনটা না ঘটে। ’

এরপর নিজ দেশের যুবাদের আচরণে ক্ষুব্ধ কপিল বলেন, ‘আপনি যখন ম্যাচ হেরে যান, এরপর আবার মাঠে ফিরে কারও সঙ্গে লড়াই করার অধিকার আপনার নেই। এজন্য অধিনায়ক, ম্যানেজার এবং যারা মাঠের বাইরে ছিলেন তাদেরও দায় আছে। ১৮ বছর বয়সী যুবকদের অনেক সময় এসব বুঝতে অসুবিধা হতে পারে। কিন্তু আপনি যদি দলের ম্যানেজার হোন, তাহলে এমন পরিস্থিতি সামলানো আপনার দায়িত্ব। ’

এর আগেও যুবাদের বিরুদ্ধে নিজ দেশের বোর্ডের তরফ থেকেও সাবেক ভারতীয় অধিনায়ক তাদের এমন আচরণের জন্য শাস্তি চেয়েছেন। ভারতের এক গণমাধ্যমকে কপিল দেব বলেন, ‘আমি দেখতে চাই দৃষ্টান্ত স্থাপনের জন্য বোর্ড (বিসিসিআই) খেলোয়াড়দের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করবে। ক্রিকেট প্রতিপক্ষকে অপমান করার বিষয় নয়। আমি নিশ্চিত, যুবা তারকাদের শাস্তি দেওয়ার এটাই যথেষ্ট কারণ রয়েছে। ’

ভারতকে ১৯৮৩ সালে বিশ্বকাপ জেতানো তারকা আরও বলেন, ‘আমি আগ্রাসনকে স্বাগত জানাই, তাতে দোষের কিছু নেই। তবে আগ্রাসী মনোভাব নিয়ন্ত্রণও রাখতে হবে। প্রতিযোগিতার নামে আপনি পরিমিতির লাইন ক্রস করতে পারেন না। আমি বলব যে, যুবারা ক্রিকেট মাঠে যে নোংরামি প্রদর্শন করেছে তা মেনে নেওয়া যায় না। ’

কেবল কপিল দেব নন, ভারতীয় যুবাদের আচরণে ক্ষুব্ধ টিম ইন্ডিয়ার আরেক সাবেক অধিনায়ক মোহাম্মদ আজহারউদ্দীনও। তিনি বলেন, ‘আমি হলে অসভ্য অনূর্ধ্ব-১৯ ক্রিকেটারদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতাম। তবে আমি জানতে চাই দলের সহকারী কর্মকর্তারা এসব যুবাদের কেমন শিক্ষা দিয়েছে তা। এখনই ব্যবস্থা নেন, নয়তো দেরি হয়ে যাবে। খেলোয়াড়দের বিনয়ী হওয়া দরকার। ’

বাংলাদেশ সময়: ১৫২৫ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৪, ২০২০
এমএইচএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।