নিজেদের দেওয়া কথা রেখেছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। প্রথমদিন শেষে সংবাদ সম্মেলনে এসে এনক্রুমাহ বোনার জানিয়েছিলেন, ৩৫০ রানের বেশি করার দিকে চোখ তাদের।
অন্যদিকে দিনের সফল বোলার পেসার আবু জায়েদ রাহি জানান, সফরকারীদের ৩০০ রানের নিচে বেধে ফেলার কথা। কিন্তু তা সম্ভব হয়নি টাইগারদের। উল্টো ৪০০ রান পেরিয়ে থামলো ক্যারিবিয়ানদের ইনিংস। প্রথম ইনিংসে ১৪২.২ ওভারে ৪০৯ রান করেছে উইন্ডিজ।
বাংলাদেশের এই আত্মবিশ্বাসের পেছনের কারণ, প্রথমদিনে স্কোরবোর্ডে ২২৩ রান জমা করতেই টপ-অর্ডারের ৫ উইকেট হারিয়ে ফেলেছিল ক্যারিবিয়ানরা। অন্যদিকে কথা রাখার জন্যই যেন দ্বিতীয়দিনে ধৈর্যশীল ব্যাটিংয়ে আগেরদিনের অপরাজিত ব্যাটসম্যান জশুয়া ডি সিলভাকে নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছিলেন বোনার।
তবে তার শম্ভুকগতির ইনিংস কাটা পড়ে নার্ভাস নাইনটির ঘরে। টেস্ট ক্যারিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরির পথে তার বাধা হয়ে দাঁড়ান মেহেদী হাসান মিরাজ। দিনের প্রথম উইকেট হিসেবে স্লিপে মোহাম্মদ মিঠুনের হাতে বন্দী হন বোনার। তার ২০৯ বলে ৯০ রানের ইনিংসটি সাজানো ছিল ৭ চারে। ৭৪ রান নিয়ে দিন শুরু করেছিলেন তিনি।
এটি ছিল টেস্টে মিরাজের ৯৯তম উইকেট। আরেকটি উইকেট পেলে এইদিনেই তাইজুল ইসলামকে পেছনে ফেলে বাংলাদেশের হয়ে দ্রুততম ১০০ উইকেট শিকারীর মালিক হতে পারতেন তিনি। উইকেটের সেঞ্চুরি করতে তাইজুলের লেগেছিল ২৫ টেস্ট। আর ২৪তম টেস্ট খেলছেন মিরাজ।
বোনার ফিরলেও হাল ছাড়েননি ডি সিলভা। দিনের শুরুতে ছিন্ন হওয়ার আগে দু’জনে গড়েন ১৭৮ বলে ৮৮ রানের জুটি। এরপর দলের দায়িত্বটা কাঁধে নেন ডি সিলভা। আলঝেরি জোসেফর সঙ্গ নিয়ে তুলে নেন টেস্ট ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় ফিফটি। সেই ফিফটিকে সেঞ্চুরির পথেও নিয়ে যাচ্ছিলেন তিনি।
তবে এবার বাংলাদেশ শিবিরে স্বস্তি ফেরান তাইজুল। ডি সিলভাকে বোল্ড করেন তিনি। ক্যারিবিয়ান উইকেটরক্ষকের ১৮৭ বলে ৯২ রানের ইনিংসটি সাজানো ছিল ১০ চারে। তার বিদায়ের পরপরই আবু জায়েদ সাজঘরে ফেরান জোসেফকে (৮২)। সপ্তম উইকেটে ২১১ বলে ১১৮ রানের জুটি গড়েন ডি সিলভা-জোসেফ।
এরপর জোমেল ওয়ারিক্যানকে (২) নিজের চতুর্থ শিকার বানান আবু জায়েদ। উইন্ডিজের শেষ উইকেট শ্যানন গ্যাব্রিয়েলকে (৮) ফেরান ৪ উইকেট নেওয়া তাইজুল। রাকীম কর্নওয়াল অপরাজিত থাকেন ৪ রানে।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৫৮ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১২, ২০২১
ইউবি