ঢাকা, বুধবার, ১০ পৌষ ১৪৩১, ২৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ২২ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

ক্রিকেট

হার্দিকের বিরুদ্ধে দাউদ ইব্রাহিমের সহযোগীর স্ত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ!

স্পোর্টস ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪৪১ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৩, ২০২১
হার্দিকের বিরুদ্ধে দাউদ ইব্রাহিমের সহযোগীর স্ত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ!

বিশ্বকাপে বাজে পারফরম্যান্সের সদ্যই জাতীয় দল থেকে বাদ পড়েছেন হার্দিক পান্ডিয়া। এবার আরও বড় দুঃসংবাদ পেলেন ভারতের এই পেস বোলিং অলরাউন্ডার।

তার বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ এনেছেন ভারতের মোস্ট ওয়ান্টেড মাফিয়া ডন দাউদ ইব্রাহিমের সহযোগী রিয়াজ ভাটির স্ত্রী রেহনুমা ভাটি। অভিযোগে হার্দিক ছাড়াও ভারতের সাবেক পেসার মুনাফ প্যাটেল ও ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের সাবেক চেয়ারম্যান তথা কংগ্রেস নেতা রাজীব শুক্লার নামও উঠে এসেছে!

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম 'দ্য প্রিন্ট' জানিয়েছে, গত ২৪ সেপ্টেম্বর মুম্বাই পুলিশের কাছে দেওয়া আবেদনে রেহনুমা এমন বিস্ফোরক অভিযোগ করেছেন। অভিযোগপত্রে রেহনুমা বলেন, তার বিধবা মাকে হুমকি দিয়ে তাকেমাত্র ১৫ বছর বয়সে বিয়ে করেছেন রিয়াজ ভাটি। বিয়ের পর তাকে নিয়মিত অত্যাচার করা হতো। ব্যবসায়িক সঙ্গীদের সঙ্গে ভ্রমণ করতে পাঠানো হতো। তাদের সঙ্গে শারীরিক সম্পর্কে জড়াতে বাধ্য করা হতো। বাঁধা দেওয়ার চেষ্টা করলে অত্যাচার বাড়ত। ২০১১ বিশ্বকাপজয়ী মুনাফ প্যাটেলের সঙ্গে পাঁচ তারকা হোটেলে রাত কাটাতে বাধ্য করা হয়েছিল তাকে। আর ২০১৪-১৫ সালে 'ট্রাইটেন্ড' নামে এক হোটেলে হার্দিক পান্ডিয়ার সঙ্গে যৌন সম্পর্ক স্থাপনে তাকে বাধ্য করা হয়।

লিখিত অভিযোগে রেহনুমা আরও বলেছেন, হার্দিক পান্ডিয়া তার দুই বন্ধুকে নিয়ে তার সঙ্গে অস্বাভাবিক সব যৌনাচার করেছেন। এ সময় ওই তিনজনই মদ্যপ ছিলেন। এছাড়া কংগ্রেস নেতা রাজীব শুক্লা ও তার বন্ধুদের সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপনে আপত্তি করায় তিনি তাদের দ্বারা মারধরের শিকার হন। এরপর তাদের সামনে নগ্ন হয়ে নাচতে বাধ্য করা হয়েছিল রেহনুমাকে। শেষ রীতিমতো গণধর্ষণ করা হয় রেহনুমাকে। ২০১২-১৩ সালের সেই ঘটনার ছবি ও ভিডিও দিয়ে নাকি রেহনুমাকে এখনও ব্ল্যাকমেইল করা হয়!

রেহনুমা জানিয়েছেন, অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে তিনি ২০১৬ সালে রিয়াজ ভাটির থেকে আলাদা থাকতে শুরু করেন। কিন্তু ২০১৯ সালে তাকে অপহরণ করে আবারও এসব কাজে নামতে বাধ্য করেন রিয়াজ। কথা না শুনলে দুই সন্তানকে হত্যার হুমকি দেওয়া হয়।  

রেহনুমা 'দ্য প্রিন্ট'-কে বলেন, 'আমি পুলিশের কাছে গিয়েছিলাম এফআইআর রেজিস্টার করাতে। কিন্তু তারা আমার অভিযোগ জমা নেননি। গত সেপ্টেম্বরে আবেদন জমা দিলেও এখন নভেম্বর মাস চলে এসেছে, কোনো খবর নেই। পুলিশের শীর্ষ কর্মকর্তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করলেও তারা আমাকে ঘুষ দিতে বলেছেন। কিন্তু কেন আমি দুর্নীতি বাড়তে দেব? আমি আমার জায়গায় ঠিক আছি। ওরা হচ্ছে অপরাধী।  

তবে রেহনুমার অভিযোগ পাওয়ার ব্যাপারটি স্বীকার করেছেন মুম্বাই পুলিশের ডেপুটি কমিশনার মঞ্জুনাথ সিংঘে। কিন্তু এখনই বিস্তারিত কিছু জানাতে রাজি হননি। বার্তা সংস্থা এএনআই জানিয়েছে, এখনো কোনো এফআইআর করা হয়নি।

বাংলাদেশ সময়: ১৪৪০ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৩, ২০২১
এমএইচএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।