দুই ওপেনার আবিদ আলী ও আব্দুল্লাহ শফিকের ব্যাটে চট্টগ্রাম টেস্টে নিজেদের প্রথম ইনিংসে দারুণ শুরু পেয়েছে পাকিস্তান। এরইমধ্যে ৮৪ বলে ক্যারিয়ারের তৃতীয় ফিফটি পেয়ে গেছেন আবিদ।
এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ২৯ ওভার শেষে পাকিস্তানের সংগ্রহ বিনা উইকেটে ৭৯ রান। এখনও বাংলাদেশের চেয়ে ২৫১ রানে পিছিয়ে আছে সফরকারীরা।
এদিকে চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে দুই ম্যাচ টেস্ট সিরিজের প্রথম ইনিংসে ৩৩০ রানে অলআউট হয়েছে বাংলাদেশ। ১১৪.৪ ওভারে এই সংগ্রহ পায় স্বাগতিকরা।
শনিবার (২৭ নভেম্বর) প্রথম দিনে সাদা পোশাকে অভিষেক সেঞ্চুরি হাঁকানো লিটন দাশ এদিন দ্বিতীয় ওভারেই ফিরে যান। হাসান আলীর বলে এলবির আবেদন উঠলে আম্পায়ার সম্মতি দেননি। তবে রিভিউ করে ঠিকই লিটনের বিদায় নিশ্চিত করে পাকিস্তান। ডানহাতি এই ব্যাটার ২৩৩ বল খেলে ১১টি চার ও একটি ছক্কায় ১১৪ রানে আউট হন। পঞ্চম উইকেট জুটিতে লিটন ও মুশফিক ৪২৫ বলে ২০৬ রান তোলেন।
এরপর দ্রুতই ফিরে যান অভিষিক্ত ইয়াসির আলী। হাসান আলীর বলে বোল্ড হওয়া এই ব্যাটার ১৯ বলে ৪ করেন। তবে সেঞ্চুরি বঞ্চিত মুশফিকুর রহিম বিদায় নিলে অস্বস্তিতে পড়ে বাংলাদেশ। ফাহিম আশরাফের বলে উইকেটরক্ষক মোহাম্মদ রিজওয়ানের কাছে ক্যাচ দেন মুশি। অভিজ্ঞ এই ব্যাটার ২৩৩ বলে ১১টি চারে ৯১ রান করেন।
দলীয় ৩০০ রানের পর তাইজুল ইসলাম আউট হন। শাহিন শাহ আফ্রিদির বলে আব্দুল্লাহ শফিককে ক্যাচ দেন তিনি। ২৮ বলে ১১ রান করেন এই বাঁহাতি।
বাংলাদেশের শেষ দুই ব্যাটার আবু জায়েদ রাহি (৮) ও এবাদত হোসেনকে (০) বিদায় করে পাঁচ উইকেট পূর্ণ করেন হাসান আলী। ডানহাতি এই পেসারের এটি টেস্ট ক্যারিয়ারে ষষ্ঠবার পাঁচ উইকেট দখল। অন্যপ্রান্তে মেহেদী হাসান মিরাজ ৬৮ বলে ৬টি চারে ৩৮ রানে অপরাজিত থাকেন।
পাকিস্তান বোলারদের মধ্যে হাসান ৫টি উইকেট পান। এছাড়া শাহিন শাহ আফ্রিদি ও ফাহিম আশরাফ দুটি করে উইকেট তুলে নেন। সাজিদ খান নেন একটি উইকেট।
এর আগে লিটন ও মুশফিকুর রহিমের দুর্দান্ত জুটিতে ভর করে প্রথম দিন শেষে ৪ উইকেট হারিয়ে ২৫৩ রানের সংগ্রহ পায় বাংলাদেশ। আলোক স্বল্পতায় ৮৫ ওভারেই প্রথম দিনের খেলা শেষ হলে অপরাজিত থেকে মাঠ ছাড়েন মুশফিক ও লিটন। ২২৫ বলে ১১৩ রান নিয়ে অপরাজিত থাকেন লিটন এবং মুশফিক ৮২।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৪৪ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৬, ২০২১
এমএইচএম