ঢাকা, মঙ্গলবার, ৯ পৌষ ১৪৩১, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

ক্রিকেট

দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাটিং ধসের মুখে বাংলাদেশ

স্পোর্টস ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫৫৭ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৮, ২০২১
দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাটিং ধসের মুখে বাংলাদেশ ছবি: উজ্জ্বল ধর

প্রথম ইনিংসের মতো দ্বিতীয় ইনিংসেও ব্যাট হাতে ব্যর্থ হলেন সাদমান ইসলাম ও নাজমুল হোসেন শান্ত। পাকিস্তানি পেসার শাহিন শাহ আফ্রিদির এক ওভারেই বিদায় নিয়েছেন দুই বাংলাদেশি টপ অর্ডার ব্যাটার।

এরপর হাসান আলীর বলে ক্যাচ দেন অধিনায়ক মুমিনুল হকও।  

৪৪ রানের লিড নিয়ে দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে ধীরেসুস্থে শুরু করলেও সাদমান বিদায় নিয়েছেন পঞ্চম ওভারেই। লেগ বিফোরের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে অবশ্য রিভিও নিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু তাতেও কাজ হয়নি। ১২ বল স্থায়ী ইনিংসে এই ওপেনার রান করেছেন মাত্র ১।  

এক বল পরেই তিনে নামা শান্ত বাইরের বল ছোঁয়াতে গিয়ে স্লিপে থাকা আব্দুল্লাহ শফিকের হাতে ক্যাচ দিয়ে ডাক মেরেছেন। পরের ওভারে হাসান আলীর শেষ বলে ঘুরিয়ে খেলতে গেলে ব্যাটের কানায় লেগে মিডউইকেটে থাকা আজহার আলীর হাতে ক্যাচ চলে যায়।

এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ৭ ওভার শেষে বাংলাদেশের দ্বিতীয় ইনিংসের সংগ্রহ ৩ উইকেটে ১৫ রান। লিড ৫৯ রান।

এর আগে দ্বিতীয় দিনের খেলা শেষে নিজেদের প্রথম ইনিংসে বিনা উইকেটে ১৪৫ রান করা পাকিস্তান তৃতীয় দিনে তাইজুলের স্পিন ঘূর্ণিতে বিধ্বস্ত হয়। আবিদ আলীর সেঞ্চুরিতে ভর করে ২৮৬ রানে সবগুলো উইকেট হারায় সফরকারীরা।

জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে তৃতীয় দিনের শুরুতেই এক রান যোগ করতে দুই উইকেট হারায় পাকিস্তান। ওভারের পঞ্চম বলে তাইজুলের বলে এলবির শিকার হন ওপেনার আব্দুল্লাহ শফিক। তিনি ১৬৬ বলে ২টি চার ও ২টি ছক্কায় ৫২ রান করেন। পরের বলেই নতুন ব্যাটার অভিজ্ঞ আজহার আলীকে মাঠ ছাড়া করেন তাইজুল। এই ডানহাতিকে শূন্য রানে এলবির ফাঁদে ফেলেন টাইগার স্পিনার।

এরপর ব্যাট করতে নামা বাবর আজমকে সরাসরি বোল্ড করে মাঠ ছাড়া করেন মেহেদী হাসান মিরাজ। উইকেটে থিতু হওয়ার চেষ্টায় থাকা পাকিস্তান অধিনায়ক ৪৬ বলে ১০ রান করতে পারেন। অন্যপ্রান্তে অবশ্য টেস্ট ক্যারিয়ারের চতুর্থ সেঞ্চুরি তুলে নিয়েছেন থিতু হয়ে থাকা আবিদ আলী।

বাবর ফেরার পর ব্যাট করতে নামা ফাওয়াদ আলমকে নিজের তৃতীয় শিকার বানান তাইজুল। প্রতিপক্ষের ১৮২ রানের মাথায় এই বাঁহাতিকে উইকেটরক্ষক লিটনের ক্যাচে পরিণত করেন এই স্পিনার। এরপর মোহাম্মদ রিজওয়ানকে দারুণ এক ডেলিভারিতে ফেরান এবাদত হোসেন। ডানহাতি এই পেসারের ইনসুইং বুঝতে না পেরে এলবি হন পাকিস্তানের উইকেটরক্ষক-ব্যাটার (৫)।

শতক হাঁকানো আবিদ আলীকে ফিরিয়ে নিজের চতুর্থ উইকেট তুলে নিলেন তাইজুল ইসলাম। পাকিস্তানি ওপেনার ২৮২ বলে ১২টি চার ও ২টি ছক্কায় ১৩৩ রান করে বিদায় নেন। এরপর হাসান আলীকে ১২ রানে ফিরিয়ে ক্যারিয়ারে নবমবারের মতো পাঁচ উইকেট শিকারের কীর্তি গড়েন তাইজুল।

তাইজুলের পাঁচের পর পাকিস্তানি ব্যাটার সাজিদ খানকে নিজের দ্বিতীয় শিকার বানান এবাদত। দলীয় ২৯৭ রানে নুমান আলীকে ফিরিয়ে ষষ্ঠ উইকেট তুলে নেন তাইজুল। ব্যক্তিগত ৮ রান করে প্যাভিলিয়নে ফেরেন পাকিস্তানি ব্যাটার। থিতু হয়ে ব্যাট করতে থাকা ফাহিম আশরাফকে ফিরিয়ে নিজের সপ্তম উইকেট তুলে নেন তাইজুল। ৮০ বলে ৩৮ রান করে এই ব্যাটারের ফেরার পর সব উইকেট হারিয়ে ২৮৬ রান সংগ্রহ করতে সক্ষম হয় পাকিস্তান। ৩২ বলে ১৩ রান নিয়ে অপরাজিত ছিলেন শাহিন আফ্রিদি।

বাংলাদেশ সময়: ১৫৫৭ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৮, ২০২১
এমএইচএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।