চট্টগ্রাম: বিপিএলের শুরু থেকেই মেহেদী হাসান মিরাজ ছিলেন ধারাবাহিক। যেদিন বোলিং ভালো হয়নি, সেদিন পুষিয়ে দিয়েছেন ব্যাটিংয়ে।
দুর্দান্ত মিরাজ হঠাৎ কেন হলেন এমন ব্যর্থ। মাঠের বাইরের সমস্যা কি মাঠেও তাড়িয়ে বেড়াল মিরাজকে? অনেকেই বলছেন, বেশ ছন্দে থাকা মিরাজের এমন দশার পেছনে দলের ভেতরের বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি, অধিনায়কত্ব নিয়ে নানা বিতর্কই কারণ।
মিরাজকে নিয়ে বিতর্কের শুরুটা গত শনিবারে। সেদিন ম্যাচের তিন ঘণ্টা আগে হঠাৎ তার অধিনায়কত্ব কেড়ে নেওয়া হয়। তার জায়গায় অধিনায়ক করা হয় নাঈম ইসলামকে। কিন্তু দল ভালো করার পরও অধিনায়কত্ব কেড়ে নেওয়াটাকে ভালোভাবে নিতে পারেননি মিরাজ। কুমিল্লার বিপক্ষে ম্যাচের আগে তাই গতকাল টিম হোটেল ছেড়ে ঢাকায় ফিরতে চেয়েছিলেন মিরাজ। হোটেল থেকে বেরিয়েও গিয়েছিলেন। পরে অবশ্য চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের মালিকের আশ্বাসে দলের সঙ্গে থাকলেও অধিনায়কত্ব করতে রাজি নন বলে সাফ জানিয়ে দেন তিনি।
মনোমালিন্য ভুলে আজ (সোমবার, ৩১ জানুয়ারি) মাঠে নামলেও নিজের ছন্দে ছিলেন না মিরাজ। ষষ্ঠ ওভারে বোলিংয়ে এসেই দিলেন ১৪ রান। সেই ব্যর্থতা ঘোচাতে পারেননি পরের দুই ওভারেও। শেষ পর্যন্ত মিরাজকে বোলিং কোটা পূরণ করার সাহসও দেখাতে পারেননি চট্টগ্রামের অধিনায়ক নাঈম ইসলাম। শেষমেশ মিরাজের বোলিং ফিগারটাও হলো বড় ফ্যাকাসে, ৩-০-৩০-০। অথচ আগের ম্যাচগুলোতে দুর্দান্ত বোলিংই করেছেন এই অফ স্পিনার। এবারের বিপিএলে এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ উইকেট শিকারির তালিকায় দ্বিতীয় অবস্থানে থাকা মিরাজ ৬ ম্যাচে শিকার করেছেন ৯ উইকেট।
যদিও রানের বিচারে কম, তবুও ব্যটিংয়েও বলা যায় বেশ ধারাবাহিক ছিলেন মিরাজ। এই ম্যাচের আগে আট ম্যাচে করেছিলেন ৮৩ রান। আজ পাঁচে নেমে ১০ রান যোগ করেই বিদায় নেন এই অলরাউন্ডার।
মিরাজকে চাপমুক্ত রাখতে অধিনায়কত্ব থেকে সরানো হয়েছে-চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের মালিকপক্ষ দাবি করে আসছে এমনই। কিন্তু আচমকা অধিনায়কত্ব কেড়ে নেওয়ায় উল্টো কি চাপেই পড়ে গেলেন মিরাজ?
বাংলাদেশ সময়: ১৯০২ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৩১, ২০২২
এমআর/টিসি/এমএমএস