অনুর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপে গতবার দুর্দান্ত পারফরম্যান্স দেখিয়ে শিরোপা জিতে নিলেও এবার তার ধারেকাছেও নেই বাংলাদেশের যুবারা। একের পর এক হারে টুর্নামেন্টের অস্টম দল হয়ে বিদায় নিতে হলো দলকে।
বৃহস্পতিবার (৩ ফেব্রুয়ারি) কলিজ ক্রিকেট গ্রাউন্ডে টস জিতে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে ভালো শুরু পায় বাংলাদেশ। দুই ওপেনার মাহফিজুল ইসলাম রবিন ও প্রান্তিক নওরোজ নাবিলের জুটি থেকে আসে ৫৭ রান। ৩১ বলে ২৯ রান করে রবিনের বিদায়ের পর ভাঙ্গে জুটি। এরপর ব্যাট করতে নেমেই ১ রান যোগ করতেই উইকেট হারান আইচ মোল্লা।
একপ্রান্ত আগলে রাখা নাবিলের সাথে ক্রিজে যোগ দেন আরিফুল ইসলাম। মাত্র ১৫ রানের জুটি গড়েই বিদায় নেন নাবিল। ৫১ বলে ৩৮ রান করে সাজঘরে ফেরেন তিনি। এরপর ব্যাট করতে নামা মোহাম্মদ ফাহিম কিছুক্ষণ থিতু হয়ে ৩৬ রানের ইনিংস খেলে বিদায় নেন। পঞ্চম উইকেটে আরিফুলকে সঙ্গ দিয়ে ১১৭ রানের দারুণ জুটি গড়েন মেহেরব হোসেন অহিন। ৩৬ রান করে মেহরব বিদায় নিলে ভাঙ্গে জুটি।
মেহরবের বিদায়ের পর আর কেউই উল্লেখযোগ্য স্কোর গড়তে পারেনি। তবে একপ্রান্তে থিতু হয়ে ব্যাট করে টানা দ্বিতীয় শতকের দেখা পান আরিফুল। ৯ চার ও ৩ ছয়ে ১০৩ বলে ১০২ রান বিদায় নেন তিনি। নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে বাংলাদেশের সংগ্রহ দাঁড়ায় ২৯৩ রান। দক্ষিণ আফ্রিকার হয়ে সর্বোচ্চ ৩ উইকেট শিকার করেন মাপাকা।
জয়ের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই ওপেনার জেড স্মিথকে হারায় দক্ষিণ আফ্রিকা। ১০ রানে তার বিদায়ের পর ব্যাট করতে নেমে আরেক ওপেনার রোনান হারমানের সঙ্গে দারুণ জুটি গড়ে দলের জয় সহজ করে নেন ডেওয়াল্ড ব্রেভিস। ২২তম ওভারে ৪৬ রান নিয়ে হারমানের বিদায়ের পর নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারায় প্রোটিয়া যুবারা। তবে একপ্রান্ত আগলে রেখে দলকে জয়ের কাছাকাছি নিয়ে যান ব্রেভিস। ষষ্ঠ উইকেটে ম্যাথু বোস্টের সাথে ৭৪ রানের জুটি গড়েন তিনি।
একপ্রান্তে ২২ বলে ৪১ রানের দুর্দান্ত ইনিংস খেলেন বোস্ট। অপরদিকে শতকের দেখা পান ব্রেভিস। তবে তারা দুইজনই আউট হয়ে গেলে আবার আশা দেখে বাংলাদেশ। সে আশা শেষ পর্যন্ত রঙিন হয়নি। ৭ বল বাকি থাকতেই লক্ষ্যে পৌঁছে যায় জুনিয়র প্রোটিয়ারা, পায় ২ উইকেটের জয়। বাংলাদেশের হয়ে দুইটি করে উইকেট পান রিপন মন্ডল, মুশফিক হাসান ও মেহেরব।
বাংলাদেশ সময়: ১০৩৫ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৪, ২০২২
আরইউ