ঢাকা, বুধবার, ১০ পৌষ ১৪৩১, ২৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ২২ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

ক্রিকেট

রোমাঞ্চকর ম্যাচে খুলনাকে বিদায় করে কোয়ালিফায়ারে চট্টগ্রাম

স্পোর্টস ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬২৯ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৪, ২০২২
রোমাঞ্চকর ম্যাচে খুলনাকে বিদায় করে কোয়ালিফায়ারে চট্টগ্রাম ছবি: শোয়েব মিথুন

বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) অস্টম আসরের এলিমিনেটর ম্যাচে রোমাঞ্চ তৈরি করেও চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের বিপক্ষে জিততে পারল না খুলনা টাইগার্স। শেষদিকে এসে ইয়াসির আলী ও আন্দ্রে ফ্লেচারের ঝড়ো ব্যাটিংয়ে জয়ের খুব কাছে গিয়েও ৭ রান আগে থামতে হয়েছে খুলনাকে।

সোমবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) মিরপুর শের ই বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে চ্যাডউইক ওয়ালটনের ঝড়ো ব্যাটিংয়ে নির্ধারিত ২০ ওভার শেষে ৫ উইকেট হারিয়ে ১৮৯ রানের বিশাল সংগ্রহ পায় চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স। জবাবে খেলতে নামা খুলনা ১৮২ রানেই থেমে যায়। ফলে ৭ রানের জয় নিয়ে কোয়ালিফায়ারে উঠেছে আফিফ হোসাইনের দল।  

ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুটা অবশ্য ভালো করতে পারেনি চট্টগ্রাম। দলীয় ১৬ রানের মধ্যেই ওপেনার জাকির হাসান ও অধিনায়ক আফিফ হোসেনকে হারা তারা। এরপর ওয়ালটনকে নিয়ে আরেক ওপেনার কেনার লুইস জুটি গড়েন। তবে ভালো খেলতে থাকা লুইস নাবিল সামাদের বলে আউট হয়ে যান। তিনি ৩২ বলে ৪টি চার ও ২টি ছক্কায় ৩৯ রান করেন।

বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি শামীম হোসেন। ব্যক্তিগত ১০ রানে তিনি মেহেদী হাসানের বলে আউট হন। তবে পঞ্চম উইকেট জুটিতে ৫৮ বলে ১১৫ রানের ঝড়ো পার্টনারশিপ গড়েন ওয়ালটন-মিরাজ। শেষ ওভারে মেহেদী হাসান মিরাজ খালেদ আহমেদের বলে বোল্ড হলে ভাঙে এই জুটি। তিনি ৩০ বলে ২টি চার ও একটি ছক্কায় ৩৬ করেন। অপরদিকে একপাশ আগলে রাখা ওয়ালটন ৮৯ রানে অপরাজিত থাকেন। এই ক্যারিবীয় ৪৪ বলে ৭টি চার ও সমান ছক্কায় নিজের ইনিংস সাজান।

খুলনা বোলারদের মধ্যে সর্বোচ্চ ২টি উইকেট পান খালেদ। এছাড়া সামাদ, রুয়েল মিয়া ও মেহেদী একটি করে উইকেট দখল করেন।

জয়ের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে গতম্যাচের মতো উড়ন্ত শুরু বজায় রাখতে পারেননি খুলনার ওপেনার মেহিদি হাসান। তৃতীয় ওভারে নাসুম আহমেদের শিকার হয়ে বিদায় নেন তিনি। এরপর ব্যাট করতে নেমেই উইকেট হারান সৌম্য সরকার। তবে একপ্রান্ত আগলে রেখে আন্দ্রে ফ্লেচার ঠিকই দলের সংগ্রহ বাড়াচ্ছিলেন। সৌম্যর বিদায়ের পর মুশফিক এসে তাকে সঙ্গ দেয়। ৪৯ বলে ৬৪ রানের জুটি গড়েন তারা।  

১৩তম ওভারে মুশফিককে বিদায় করে দারুন খেলতে থাকা এই জুটি ভাঙেন মিরাজ। ৪ ছক্কা ও ১ চারে ২৯ বলে ৪৩ রান নিয়ে সাঝঘরে ফেরেন খুলনার অধিনায়ক। এরপর ফ্লেচারকে সঙ্গ দেন ইয়াসির আলী। শেষদিকে এসে ঝড়ো ব্যাটিংয়ে দলকে জয়ের কাছে নিয়ে যান এই ব্যাটার। তবে ১৯তম ওভারে শরিফুলের বলে উইকেট হারান তিনি। ৪ ছক্কা ও ২ চারে ২৪ বলে ৪৫ রান করে সাজঘরে ফেরেন ইয়াসির।

শেষদিকে নেমে দলকে জেতাতে পারেননি থিসারা পেরেরা। শরিফুলের বল ব্যাটে ঠিকমত লাগাতে পারেননি তিনি। শেষ ওভারে বল করতে এসে চমক দেখালেন মিরাজ। দারুণ বোলিংয়ে খুলনার দুই ব্যাটারকে বেশি রান নিতে দেননি। শেষ বলে তুলে নেন থিসারার উইকেট। ম্যাচজুড়ে দুর্দান্ত খেলা আন্দ্রে ফ্লেচার অপরাজিত থাকেন ৮০ রানে।  

৭ রানে জয়ের ফলে কোয়ালিফায়ারে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স মুখোমুখি হবে পরবর্তী ম্যাচে ফরচুন বরিশাল ও কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের মধ্যকার পরাজিত দলের। ম্যাচটি মাঠে গড়াবে আগামী বুধবার (১৬ ফেব্রুয়ারি)।

বাংলাদেশ সময়: ১৬২৯ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৪, ২০২২
আরইউ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।