ব্যাটিংয়ের মতো বোলিংয়েও শুরুটা ভালো হলো বাংলাদেশের। বলা যায়, দুর্দান্ত।
দারুণ টাইমিংয়ে ছয় মারার পরের বলে ভুল বোঝাবুঝিতে রানআউট—ব্যাটসম্যানের জন্য এর চেয়ে বাজে অনুভূতি হয়তো হয় না আর! ম্যাক্স ও’ডাউডের হলো সেটিই।
চতুর্থ ওভারে এসেছিলেন সাকিব আল হাসান, প্রথম বলেই মিডউইকেট দিয়ে দারুণ টাইমিংয়ের শটে ছক্কা মারেন ও’ডাউড। পরের বলে মিডউইকেটে খেলেছিলেন, নিতে চেয়েছিলেন ডাবলস। তবে অ্যাকারম্যান তাতে সাড়া দেননি। স্কয়ার লেগ থেকে ছুটে আসা আফিফ হোসেনের থ্রো যতক্ষণে নন স্ট্রাইক প্রান্তে এসেছে, ও’ডাউড ক্রিজের বেশ বাইরে। ফেরার সময় তাঁর চোখেমুখের হতাশাই বলে দিচ্ছিল সব।
ঠিক ১ বল পরই হয়েছে আরেকটি রানআউট! এবারও দারুণ ফিল্ডিং। ডিপ পয়েন্টে খেলেছিলেন অ্যাকারম্যান। প্রথমে স্লাইড করে দারুণ ফিল্ডিং করেছেন নাজমুল, ওদিকে তিন রান নিতে গিয়েছিলেন ব্যাটসম্যানরা। নাজমুলের থ্রোটাও ছিল দারুণ। তবে স্ট্রাইক প্রান্তে কুপার ফিরতে পারেননি সময়মতো, কোনো বল না খেলেই রানআউট হয়ে ফিরে গেছেন কুপার।
এরআগে বাংলাদেশের হয়ে বোলিং ওপেন করেন তাসকিন আহমেদ এবং বল করতে এসে প্রথম বলেই উইকেট নিলেন তিনি। ফিরিয়ে দেন ডাচ ওপেনার ভিক্রমজিত সিংকে। পরের বলেই তিনি ফিরিয়ে দিলেন বাস ডি লিডিকে। টানা দুই বলে দুই উইকেট হারিয়ে ডাচরা যেমন বিপদে পড়েছে, তেমনি হ্যাটট্রিকের সুযোগ তৈরি করেছেন তাসকিন আহমেদ। যদিও শেষ পর্যন্ত হ্যাটট্রিকটি আর হলো না তার।
এই রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত ৪ উইকেটে ৭ ওভার শেষে ৩৬ রান করেছে নেদারল্যান্ডস। কলিন আকারম্যান ২১ এবং স্কট অ্যাডওয়ার্ড ৭ রানে অপরাজিত আছেন।
বাংলাদেশ সময়: ১২৩০ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৪, ২০২২
এআর