চট্টগ্রাম: তিন বছর পর রেলওয়ের জায়গা ব্যবহারের অনুমোদন পেয়েছে চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (সিডিএ)। এ নিয়ে ইতিমধ্যে রেলওয়ে ও সিডিএর দ্বিপাক্ষিক চুক্তি হয়েছে।
যার ফলে লালখান বাজার থেকে পতেঙ্গা পর্যন্ত ১৬ কিলোমিটার দীর্ঘ এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণে আর কোনো বাধা নেই।
সোমবার (৬ ফেব্রুয়ারি) চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের প্রধান প্রকৌশলী কাজী হাসান বিন শামস এবং রেলওয়ের প্রধান ভূ সম্পত্তি কর্মকর্তা সুজন চৌধুরী দ্বিপাক্ষিক চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন।
গত তিন বছর ধরে রেলওয়ের অনুমোদনের অপেক্ষায় ছিল এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের নির্মাণকাজ। অনুমোদনের পর লালখান বাজার থেকে শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর পর্যন্ত এক্সপ্রেসওয়ের নির্মাণকাজে আর কোনো প্রতিবন্ধকতা থাকল না।
জানা গেছে, দেওয়ানহাট ওভারব্রিজের পশ্চিম পাশে (আমবাগান সংলগ্ন রাস্তা) ফ্লাইওভারের ল্যান্ডিং পয়েন্টের জন্য প্রায় ৭০ শতক জায়গা দীর্ঘমেয়াদি ইজারা নেওয়ার আগ্রহ দেখায় সিডিএ। কিন্তু সিডিএ রেলওয়ের কাছ থেকে জায়গা ব্যবহারের অনুমোদন পাচ্ছিল না। এতদিন ওই এলাকায় প্রকল্পের কাজ বন্ধ ছিল। দেওয়ানহাটে শেখ মুজিব সড়ক এবং টাইগারপাসে প্রকল্পের কাজ চললেও মাঝের ওভারব্রিজের পাশে কোনো কাজ করা সম্ভব হয়নি। সিডিএ ইতিমধ্যে উক্ত এলাকায় একাধিক বহুতল ভবন ভেঙে এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণের ব্যবস্থা করলে রেলের অনুমোদনের অভাবে পাইলিং কিংবা মাটি পরীক্ষার মতো প্রাথমিক কাজও করতে পারছিল না।
প্রায় তিন বছর চেষ্টার পর অবশেষে সিডিএ রেলওয়ের ৭০ শতক জায়গা ব্যবহারের অনুমোদন পেয়েছে। সিডিএ দীর্ঘমেয়াদে লিজ নিয়ে উক্ত জায়গার ওপর দিয়ে এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণ এবং ল্যান্ডিং পয়েন্ট তৈরি করবে।
রেলওয়ের পূর্বাঞ্চলের প্রধান ভূ সম্পত্তি কর্মকর্তা সুজন চৌধুরী বাংলানিউজকে বলেন, লালখান বাজার থেকে পতেঙ্গা পর্যন্ত ১৬ কিলোমিটার দীর্ঘ এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণের জন্য রেলওয়ে ৭০ শতক জায়গা দীর্ঘমেয়াদি লিজ দিয়েছে চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষকে। প্রাথমিকভাবে ১০ বছরের লিজ বাবদ ৩ কোটি ৪ লাখ ৯২ হাজার টাকা দেওয়া হবে। ১০ বছর পর সেটি নবায়ন করবে সিডিএ।
তিনি বলেন, যে জায়গা সিডিএকে দেওয়া হয়েছে সেখানে কিছু জায়গা রেলওয়ে ব্যবহার করলেও প্রায় পরিত্যক্ত ছিল।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৫০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৭, ২০২৩
বিই/টিসি