ঢাকা, সোমবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

শহীদ মিনারে চলছে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২০৯ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২০, ২০২৩
শহীদ মিনারে চলছে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি ছবি: উজ্জ্বল ধর

চট্টগ্রাম: রাত পোহালেই একুশে ফেব্রুয়ারি। ভাষা শহীদদের শ্রদ্ধা জানাতে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ ছুটে আসবেন শহীদ মিনারে।

নানা রঙের ফুলে ভরে উঠবে শহীদ বেদি। আর সেই বেদি প্রস্তুত করতে এখন চলছে শেষ মুহূর্তের কাজ।

সোমবার (২০ ফেব্রুয়ারি) সকাল থেকে নগরের মিউনিসিপ্যাল স্কুলে স্থাপন করা অস্থায়ী শহীদ মিনারে কাজ করছেন পরিচ্ছন্নতা কর্মীরা।  

২০২১ সালের ২৭ ডিসেম্বর চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার সরিয়ে নতুনভাবে নির্মাণকাজ শুরু হয়। বর্তমানে মূল বেদি ও স্তম্ভ নির্মাণের কাজ শেষ হয়েছে। বেদির নিচের অংশে চলছে গ্রানাইট বসানোর কাজ। গণপূর্ত বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী রাহুল গুহ জানান, শহীদ মিনারের মূল বেদি ও স্তম্ভ নির্মাণ কাজ প্রায় শেষ হয়েছে। ২৬ মার্চের আগেই সব কাজ শেষ হবে।  

২০২২ সালের ৫ ফেব্রুয়ারি সকালে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন মিউনিসিপ্যাল মডেল স্কুল ও কলেজ মাঠে বিকল্প শহীদ মিনার উদ্বোধন করেন মেয়র মো. রেজাউল করিম চৌধুরী। এরপর থেকে এখানে জাতীয় দিবসগুলোতে বীর শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করা হচ্ছে।

এদিকে একুশে ফেব্রুয়ারি উপলক্ষে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের পক্ষ থেকে নেওয়া হয়েছে সব ধরনের প্রস্তুতি। সিএমপি ট্রাফিক দক্ষিণ বিভাগের পক্ষ থেকে যানবাহন চলাচলে বিশেষ ট্রাফিক নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। নির্দেশনায় বলা হয়েছে, ২০ ফেব্রুয়ারি রাত ৯টা হতে নগরের তিনপুল থেকে আমতল, আমতল থেকে নিউ মার্কেট, নিউ মার্কেট থেকে আমতল এবং সিনেমা প্যালেস থেকে রাইফেল ক্লাব রোডে সকল প্রকার যানবাহন চলাচল বন্ধ থাকবে। তিনপুল মোড় থেকে শিক্ষা অফিস হয়ে আমতল পর্যন্ত একমুখী চলাচল থাকবে।

নিউমার্কেট, আমতল, তিনপুল ও সিনেমা প্যালেস মোড়ে রোড ব্লক স্থাপন করে যানবাহনসমূহ ডাইভারশন দেওয়া হবে। শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ করতে আসা সকল গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিবর্গ ও সরকারি কর্মকর্তারা ওয়াসা-কাজির দেউড়ি-নেভাল ক্রসিং-লাভ লেইন-বৌদ্ধ মন্দির-বোস ব্রাদার্স-রাইফেল ক্লাব হয়ে আমতল মোড় ড্রপিং জোন হিসেবে ব্যবহার করবেন এবং পরবর্তীতে প্রধান পার্কিং স্থান হিসেবে রাইফেল ক্লাব মাঠে গাড়ি পার্কিং করবেন।

এছাড়াও অন্যদিক থেকে আসা গাড়িসমূহ নিজ নিজ সুবিধা অনুযায়ী নিউমার্কেট মোড় এবং তিনপুল (গোলাম রসুল মার্কেটের সামনে) ড্রপিং জোন হিসেবে ব্যবহার করতে পারবেন। অনুষ্ঠানস্থলে আসা সকল গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিবর্গ ও সরকারি কর্মকর্তারা আমতল থেকে পায়ে হেঁটে শহীদ মিনারে (চট্টগ্রাম মিউনিসিপ্যাল মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজ) এসে ফুল দিয়ে পুনরায় আমতল মোড়ে গিয়ে গাড়িতে উঠে জুবিলী রোড হয়ে প্রত্যাবর্তন করবেন।

ট্রাফিক-দক্ষিণ বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার এন. এম নাসিরুদ্দিন বাংলানিউজকে জানান, নিউ মার্কেট ও তিনপুল ড্রপিং জোন হিসেবে ব্যবহারকারীরা পায়ে হেঁটে শহীদ মিনারে গিয়ে পুষ্পস্তবক অর্পণপূর্বক পুনরায় উক্ত ড্রপিং জোনসমূহে গিয়ে গাড়িতে উঠতে হবে। প্রভাতফেরিতে অংশগ্রহণকারীরা রাস্তায় যান চলাচলের সুযোগ রেখে যাতায়াত করবেন। সকলের সহযোগীতায় মহান শহীদ দিবসের কর্মসূচি সুন্দরভাবে শেষ করতে পারবো আশা করছি।

বাংলাদেশ সময়: ১২০০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২০, ২০২৩
এমআর/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।