ঢাকা, সোমবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

যারা এখন অরাজকতা করছে তারা ক্ষমতায় এসেছিল অসাংবিধানিক পথে

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২২০০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৫, ২০২৩
যারা এখন অরাজকতা করছে তারা ক্ষমতায় এসেছিল অসাংবিধানিক পথে

চট্টগ্রাম: 'আওয়ামী লীগ কখনো অসাংবিধানিক ও অবৈধ পন্থায় ক্ষমতায় আসেনি। আওয়ামী লীগ বার বার ক্ষমতায় এসেছে জনগণের ম্যানডেট নিয়ে।

আজকে যারা আওয়ামী লীগকে ক্ষমতা থেকে উৎখাতের জন্য অরাজকতা ও নাশকতার পথ বেছে নিয়েছে তারা ক্ষমতায় এসেছিল অসাংবিধানিক ও অবৈধপথে। '

শনিবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে বিএনপি জামাতের অরাজকতা, নাশকতা ও বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির বিরুদ্ধে মহানগর আওয়ামী লীগ আয়োজিত শান্তি সমাবেশে বক্তারা এসব কথা বলেন।

সমাবেশে মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি মাহতাবউদ্দিন চৌধুরী বলেন, জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠা এবং সবধরণের মৌলিক অধিকার সমুন্নত রাখার জন্য একমাত্র আওয়ামী লীগ ছাড়া আর কোন বিকল্প নেই। কারণ আওয়ামী লীগের রাজনীতি জনকল্যাণমুখী। জনগণের মাঝেই তার অবস্থান। আওয়ামী লীগের ইতিহাস সাক্ষ্য দেয় অধিকার আদায়ের ক্ষেত্রে এদেশের সব ধরণের আন্দোলন সংগ্রামে পুরোভাগে ছিল। আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে নানামুখী ষড়যন্ত্র হয়েছে কিন্তু কোন ষড়যন্ত্রই সফল হয়নি। আজ আওয়ামী লীগকে ক্ষমতাচ্যুত করার জন্য যে ষড়যন্ত্রের জাল বিস্তার করা হয়েছে তার কলকাঠি যেখান থেকেই নাড়া হউক না কেন জনগণ জানে যে এই ষড়যন্ত্রকারীরা কখনো বাংলাদেশ চায় নি এবং এখনো বাংলাদেশের কোন কল্যাণ ও অগ্রগতি তাদের কাম্য নয়।  

চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক  আ জ ম নাছির উদ্দীন বলেন, আওয়ামী লীগ ধারাবাহিকভাবে ১৪ বছর ক্ষমতায় এই সময়ের মধ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশকে খাদের কিনার থেকে তুলে এনে যেই স্থানে উত্তীর্ণ করেছেন তা আজ বিশ্ববাসী অবাক বিষ্ময়ে তাকিয়ে রয়। ১৪ বছর আগে বিএনপি বাংলাদেশকে কোন অবস্থায় রেখে গিয়েছিল সেদিকে যদি ফিরে তাকাতে হয় তাহলে অন্ধকার ছাড়া আর কিছুই নেই। ওই সময়টিতে বাংলাদেশ দুর্নীতিতে বার বার চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল। বাংলাদেশের রিজার্ভের পরিমাণ ছিল মাত্র ৬ বিলিয়ন ডলার। তখন কোনো উন্নত দেশ বাংলাদেশে বিনিয়োগ করতে উৎসাহী ছিল না। অথচ আজ বাংলাদেশের চিত্র সম্পূর্ণ বিপরীত। আজ বাংলাদেশে ইউরোপ আমেরিকা, মধ্যপ্রাচ্যসহ সারা বিশ্বের অর্থনীতিরভাবে অগ্রসর দেশগুলো বাংলাদেশে বিনিয়োগ করতে আগ্রহী। কারণ তারা বুঝতে পেরেছে বাংলাদেশে বিনিয়োগের বিদ্যমান পরিস্থিতি তাদের জন্য অনুকুল।  

তিনি আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পদ্মাসেতু নির্মাণের জন্য যখন উদ্যোগ গ্রহণ করেছিলেন তখন বিশ্বব্যাংক তহবিল যোগান দিতে নারাজ ছিল। বিশ্বব্যাংক সেদিন বলেছিল বাংলাদেশে কখনো পদ্মাসেতু নির্মাণ কাজ বাস্তবায়ন হবে না। কিন্তু শেখ হাসিনা সেই চ্যালেঞ্জের জবাব দিয়েছেন এবং নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মাসেতু নির্মাণ করে অসম্ভবকে সম্ভব সাধন করায় বিশ্বব্যাংক এখন বাংলাদেশকে ঋণ ও তহবিল যোগানে অতি উৎসাহী হয়ে উঠেছে।

চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক শফিকুল ইসলাম ফারুকের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত শান্তি সমাবেশে বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি অ্যাডভোকেট সুনীল কুমার সরকার, অ্যাডভোকেট ইব্রাহিম হোসেন চৌধুরী বাবুল, উপদেষ্টা সফর আলী, সাংগঠনিক সম্পাদক শফিক আদনান, আইন বিষয়ক সম্পাদক এড. শেখ ইফতেখার সাইমুল চৌধুরী, তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক চন্দন ধর, বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক মশিউর রহমান চৌধুরী, শ্রম সম্পাদক আব্দুল আহাদ, থানা আওয়ামী লীগের ফিরোজ আহমদ, ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের মোজাহেরুল ইসলাম চৌধুরী, ইকবাল হাসান, ফয়জুল্লাহ বাহাদুর প্রমুখ।

বাংলাদেশ সময়: ২২০০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৫, ২০২৩
এমআর/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।