চট্টগ্রাম: হাজার হাজার মানুষ। নারী-শিশু, তরুণ-তরুণীসহ সব বয়সী মানুষ।
নগরের রেলওয়ে পলোগ্রাউন্ড মাঠে ৩০তম চট্টগ্রাম আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলার বৃহস্পতিবারের (২ মার্চ) সন্ধ্যার চিত্র এটি। গত ১৬ ফেব্রুয়ারি এ মেলার উদ্বোধন করেন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
এবারের ২০টি প্রিমিয়ার প্যাভিলিয়ন, ৫৬টি প্রিমিয়ার স্টল, ১৪টি গোল্ড স্টল, ৪৮টি মেগা স্টল, ১১টি ফুড স্টল, ৩টি আলাদা জোন নিয়ে ৪০০টি স্টলে তিন শতাধিক প্রতিষ্ঠান অংশ নিচ্ছে। ফরেন জোনে ভারত, থাইল্যান্ড, ইরান, পাকিস্তানি পণ্যের স্টল রয়েছে।
মেলায় ঢুকতেই হাতের বাম পাশে ফরেন জোন। ফ্যাশন সচেতন নারীদের ভিড় এ জোনে। বাহারি ডিজাইনের ত্রিপিস, লেহেঙ্গা, চুড়ি, গহনা, জুতোসহ রকমারি বিদেশি পণ্যের পসরা সাজানো রয়েছে এখানে। বড় প্যাভিলিয়নগুলোতে ক্রেতাদের আকর্ষণে ছাড়ের পাশাপাশি বিশেষ সুযোগ-সুবিধা দেওয়া হচ্ছে।
বেশি বিক্রি হচ্ছে গৃহস্থালি পণ্য, নারীর গহনা, মৃৎশিল্প, শিশুর খেলনা, শোপিস, তৈজসপত্র, জুতো, জামা ইত্যাদি। ভিড় দেখা গেছে কাচ্চি ডাইন, হাজি বিরিয়ানি অ্যান্ড কাবাব হাউসসহ বিভিন্ন খাবার ও আইসক্রিমের স্টলে। মেলার দক্ষিণ-পূর্ব প্রান্তের শিশুপার্কের রাইডগুলোতেও শিশু-কিশোরদের পাশাপাশি নানা বয়সী মানুষের ভিড় ছিল উপচে পড়া। ভিড় ছিল মেলার মাঝখানে চিত্রশিল্পীদের পেন্সিলে নিজের ছবি আঁকার জায়গাতেও।
মেলায় কথা হয় সপরিবারে বেড়াতে আসা জসিম উদ্দিনের সঙ্গে। তিনি বাংলানিউজকে বলেন, এবারের মেলা পরিকল্পিত এবং বৈচিত্র্যপূর্ণ মনে হচ্ছে। ছুটির দিনে একসঙ্গে এক লাখ মানুষের সমাগম হলেও সমস্যা হবে না। সামনে রমজান ও ঈদ থাকায় এবার মেলা থেকেই কিছু কেনাকাটা সেরে ফেলছি।
চট্টগ্রাম চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি আয়োজিত এ মেলায় ২০ লাখের বেশি দর্শক-ক্রেতার সমাগম হবে বলে আশা করছেন সংশ্লিষ্টরা। মেলায় প্রবেশের জন্য টিকিটের মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে ২০ টাকা। বিভিন্ন স্কুলের প্লে থেকে ৭ম শ্রেণির ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য বিনামূল্যে টিকিটের ব্যবস্থা করা হয়েছে। মাসব্যাপী মেলা প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত চলবে।
বাংলাদেশ সময়: ২১০০ ঘণ্টা, মার্চ ২, ২০২৩
এআর/পিডি/টিসি