চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়: সিন্ডিকেটে শিক্ষক প্রতিনিধি নির্বাচন আর মাত্র দুইদিন পরেই (৬ মার্চ)। এ উপলক্ষে প্রার্থীরা সবাই নির্বাচনের প্রচারণায় পার করছেন ব্যস্ত সময়।
শিক্ষক প্রতিনিধি ছাড়াই তোড়জোড় করে সিন্ডিকেট সভা আয়োজনকে রহস্যময় বলছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের জ্যেষ্ঠ শিক্ষকরা।
চবি শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. মুস্তাফিজুর রহমান বাংলানিউজকে বলেন, শিক্ষক প্রতিনিধি নির্বাচনের আগে তাড়াহুড়ো করে সিন্ডিকেট সভা ডাকা আমাদের কাছে রহস্যজনক মনে হচ্ছে। মাত্র একদিন পরে সভা আয়োজন করলে নির্বাচিত শিক্ষক প্রতিনিধিদের নিয়ে সভা করা যেত। এখানে প্রশাসনের এমন কোনো এজেন্ডা বা স্বার্থ থাকতে পারে যেটা প্রশাসন তাড়াহুড়া করে পাস করাতে চায়। নতুবা শিক্ষক প্রতিনিধিরা থাকলে তা নষ্ট হতে পারে। সভার আয়োজন নিয়েও রহস্যের সৃষ্টি হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, শিক্ষক সমিতির সভাপতি হিসেবে উপাচার্য এবং রেজিস্ট্রারের কাছে হোয়াটসঅ্যাপে একটি চিঠি দিয়ে নির্বাচনের পরে সভা করার আহ্বান জানিয়েছি। রেজিস্ট্রার চিঠি পেয়েছেন বলে নিশ্চিত করেছেন। তিনি উপাচার্যকে চিঠিটা দেওয়ার জন্য উপাচার্য দফতরের সহকারী রেজিস্ট্রার মোহাম্মদ সাহাব উদ্দিনকে দিয়েছেন বলে আমাকে জানিয়েছেন।
তবে মোহাম্মদ সাহাবউদ্দিন এমন কোনো চিঠি পাননি বলে জানিয়েছেন।
চবির সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী পর্ষদ সিন্ডিকেটের ১৭ পদের আটটি পদই শূন্য। শূন্য পদের মধ্যে অধ্যাপক, সহযোগী অধ্যাপক, সহকারী অধ্যাপক ও প্রভাষক ক্যাটাগরিতে শিক্ষক প্রতিনিধি নির্বাচন ৬ মার্চ। বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন পর্ষদের চাপের মুখে গত ৩১ জানুয়ারি এ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করে কর্তৃপক্ষ।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, গত ৮ ফেব্রুয়ারি শিক্ষক সমিতির নির্বাচনে উপাচার্যপন্থি প্যানেলের ভরাডুবির পর শঙ্কিত বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। শিক্ষক প্রতিনিধি নির্বাচনে প্রশাসনবিরোধী কেউ নির্বাচিত হলে নিজেদের পছন্দসই এজেন্ডা বাস্তবায়নে ভাটা পড়তে পারে। তাই তোড়জোড় করে এ সভা আয়োজন করছে প্রশাসন।
বাংলাদেশ সময়: ১১১১ ঘণ্টা, মার্চ ০৪, ২০২৩
এমএ/টিসি