চট্টগ্রাম: সীতাকুণ্ডে সীমা অক্সিজেন প্ল্যান্টে বিস্ফোরণের ঘটনায় দ্বিতীয় দিনের উদ্ধার অভিযান শেষ হয়েছে।
রোববার (৫ মার্চ) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে সীতাকুণ্ড উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শাহাদাত হোসেন উদ্ধার অভিযানের সমাপ্তি ঘোষণা করেন।
এসময় তিনি বলেন, এখন পর্যন্ত উদ্ধার কার্যক্রম অলমোস্ট শেষ। ফায়ার সার্ভিসের কাজ তারা ইতিমধ্যে শেষ করেছে।
তিনি বলেন, দুর্ঘটনার শিকার প্ল্যান্টে অগ্নিনিরাপত্তা ও অন্যান্য নিরাপত্তা ব্যবস্থা ছিল কি-না, সে বিষয়ে তদন্ত করে জানানো যাবে।
আগ্রাবাদ ফায়ার সার্ভিসের সহকারী পরিচালক আবদুল মালেক বলেন, সকাল সাড়ে ৭টা থেকে দ্বিতীয় দিনের উদ্ধার অভিযান শুরু হয়। বেলা সাড়ে ১১টার দিকে উদ্ধার কার্যক্রম শেষ হয়। আর কোনো মরদেহ পাওয়া যায়নি।
এদিকে সকাল ৯টায় ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন বিস্ফোরক অধিদফতরের একটি টিম। পরিদর্শন শেষে বিস্ফোরক অধিদফতরের পরিদর্শক মো. তোফাজ্জল হোসেন বলেন, প্ল্যান্ট থেকে যে কলামের মাধ্যমে অক্সিজেন সিলিন্ডারে ভরা হয়, সেটি বিস্ফোরিত হয়েছে। অক্সিজেন ছাড়াও কার্বন ডাই-অক্সাইড ও নাইট্রোজেনের সিলিন্ডার দেখা গেছে। প্ল্যান্টের চারটি পয়েন্টে সিলিন্ডারে গ্যাস ভরার ব্যবস্থা রয়েছে। প্রাথমিকভাবে মনে হয়েছে, সেখানে অক্সিজেন সিলিন্ডারের বিস্ফোরণ হয়নি।
বেলা সাড়ে ১১টায় কারখানায় আসেন প্ল্যান্টের ব্যবস্থাপক আবদুল আলীম। এ সময় তিনি সাংবাদিকদের বলেন, বিস্ফোরণে ৫০ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে। অক্সিজেন রিফুয়েলিং প্ল্যান্টে কেন দুর্ঘটনা ঘটেছে, তা এ মুহূর্তে বলা যাচ্ছে না। প্রতিষ্ঠানটির পক্ষে ফায়ার সার্ভিস, বিস্ফোরক পরিদপ্তরসহ সব সংস্থার ছাড়পত্র, সনদ রয়েছে। নিহত ও আহতদের পরিবারকে সর্বাত্মক সহযোগিতা করা হচ্ছে। প্রশাসনের সঙ্গে সমন্বয় করে আর্থিক সহায়তা দেওয়া হবে। যেসব ঘর-বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, সেগুলো সংস্কার করে দেওয়া হবে।
সীতাকুণ্ড উপজেলার কদমরসুল এলাকায় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের পাশে সীমা অক্সিজেন লিমিটেড নামের প্ল্যান্টে শনিবার (০৪ মার্চ) বিকেলে হঠাৎ বিস্ফোরণে ৬ জন নিহত হন। আহত অবস্থায় উদ্ধার করা হয় ২৫ জনকে। বিস্ফোরণে প্ল্যান্টের আশপাশের এক বর্গকিলোমিটার এলাকা কেঁপে ওঠে।
বাংলাদেশ সময়: ১৩১৩ ঘণ্টা, মার্চ ৫, ২০২৩
বিই/টিসি