চট্টগ্রাম: মো. ওসমান অপারেটর হিসেবে ১৫ বছর ধরে কাজ করছেন সীতাকুণ্ডের সীমা অক্সিজেন প্ল্যান্টে। যেখানে বিস্ফোরণ হয় ওই জায়গায় কাজ করছিলেন তিনি।
ওসমানের দুই পায়ের গোড়ালিতে লোহার ছোট টুকরা ঢুকে গেছে। কান ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে শ্রবণশক্তি হ্রাস পেয়েছে। শুধু ওসমান নন, বিস্ফোরণে আহত অনেকেরই শ্রবণজনিত সমস্যা দেখা দিয়েছে।
রোববার (৫ মার্চ) সকালে চমেক হাসপাতালের ২৬ নম্বর ওয়ার্ডে কয়েকজন আহত ও কর্তব্যরত চিকিৎসকদের সঙ্গে কথা বলে এসব তথ্য জানা যায়।
আহত আরেকজন আব্দুল মোতালেব, কাজ করতেন ফিলিংম্যান হিসেবে। তিনিও ২৬ নম্বর ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন। তিনি মাথায় আঘাত পেয়েছেন। যার কারণে কানে কম শুনছেন।
শনিবার বিকেলে সীতাকুণ্ডের সোনাইছড়ি এলাকায় ভয়াবহ বিস্ফোরণে ৬ জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন অন্তত ২০ জন। এদের মধ্যে মো. মাসুদ ও প্রভেষ নামে দুজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। তারা আইসিইউতে চিকিৎসাধীন। আহতরা বেশিরভাগই বধির হতে চলেছেন।
২৬ নম্বর ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন রিপন মারাক। তিনি সীমা অক্সিজেন প্লান্টে অপারেটর হিসেবে কাজ করেন। বিস্ফোরণের বিকট শব্দে তার ডান কান ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ওই কানে তিনি কিছুই শুনছেন না। তিনি বলেন, বিস্ফোরণের বিকট শব্দে কান ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বাম কানে অল্প শুনতে পেলেও, ডান কানে কোনোকিছু শুনা যাচ্ছে না।
অক্সিজেন প্ল্যান্টের প্রধান হিসাবরক্ষক নওশাদ সেলিমেরও কানে সমস্যা দেখা দিয়েছে। তিনি বলেন, বিস্ফোরণের পর অফিসে থাকা কাচ ভেঙে পড়ে। এসময় মাথায় ও মুখে আঘাতপ্রাপ্ত হই। কানেও কম শুনছি।
২৬ নম্বর ওয়ার্ডে কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. মো. ফিরোজ বাংলানিউজকে বলেন, বিস্ফোরণের শব্দে অনেকের কানে সমস্যা দেখা দিচ্ছে। তবে আমরা এখন মেজর সমস্যাগুলো নিয়ে কাজ করছি। পরে কানের চিকিৎসা শুরু হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৩০ ঘণ্টা, মার্চ ৫, ২০২৩
বিই/টিসি