চট্টগ্রাম: পয়োনিষ্কাশন ব্যবস্থার চলমান প্রকল্প বাস্তবায়নে নগরবাসীর সহযোগিতা চেয়েছে চট্টগ্রাম ওয়াসা।
মঙ্গলবার (১৪ মার্চ) সন্ধ্যায় রেডিসন ব্লুতে আয়োজিত চট্টগ্রাম ওয়াসার পয়োনিষ্কাশন সেবা চালুর বিষয়ে মতবিনিময় অনুষ্ঠানে এ সহযোগিতা কামনা করেন ওয়াসার এমডি প্রকৌশলী এ কে এম ফজলুল্লাহ।
তিনি বলেন, যেকোনও প্রকল্প বাস্তবায়ন করতে গেলে সাধারণ নাগরিকের দুর্ভোগ পোহাতে হয়। এরপরও আমাদের চেষ্টা থাকবে যাতে জনদুর্ভোগ কম হয়।
মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা এম রেজাউল করিম চৌধুরী ও গেস্ট অফ অনার ছিলেন দৈনিক আজাদীর সম্পাদক এম এ মালেক।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে মেয়র এম রেজাউল করিম চৌধুরী বলেন, প্রথম পর্যায়ে নগরে ২০ লাখ লোক চট্টগ্রাম ওয়াসার পয়োনিষ্কাশন ব্যবস্থার সুবিধা ভোগ করবে। যা পর্যায়ক্রমে আরও বাড়বে। কিন্তু এ প্রকল্প বাস্তবায়ন করতে যাতে সাধারণ মানুষকে যেন কোনো দুর্ভোগ পোহাতে না হয় সেদিকে ওয়াসার লক্ষ্য রাখতে হবে। কারণ সড়কের কোথাও গর্ত হলে চসিকের দিকে আঙ্গুল উঠে। তাই পরিকল্পিতভাবে প্রকল্পের কাজ পরিচালনা করার আহ্বান জানাচ্ছি।
তিনি আরও বলেন, সব ওয়ার্ডে একযোগে কাজ শুরু না করে ধাপে ধাপে এক একটি ওয়ার্ডের কাজ করলে মানুষের কষ্ট কমবে। এছাড়া পুরো রাস্তা না কেটে যদি বোরিং করে পাইপলাইন বসানো যায় তাহলে মানুষের আরও স্বস্তি মিলবে।
এসময় মেয়র নগরে সুপেয় পানির সমস্যা সমাধানে ওয়াসাকে সুদৃষ্টি দেওয়ার অনুরোধ জানান।
অনুষ্ঠানের গেস্ট অফ অনার এম এ মালেক বর্ষা মৌসুমে বৃষ্টির পানি সংরক্ষণের বিষয়ে তাগিদ দেন। তিনি বলেন, আমরা যেকোনো প্রজেক্ট শুরু করি-শেষ করি না। আমি আশা করবো, এ প্রকল্প চট্টগ্রাম ওয়াসা সফলভাবে শেষ করবে। কিন্তু আমাদের লক্ষ্য রাখতে হবো একটি স্বাস্থ্যসম্মত নগরী গড়তে শুধু ওয়াসা নয়, সাধারণ নাগরিকদেরও এগিয়ে আসতে হবে।
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন পয়ঃশোধনাগার নির্মাণকাজে নিয়োজিত দক্ষিণ কোরিয়ার ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধি অং স্যং জু, প্রকল্পের পাইপলাইন নেটওয়ার্কিং কাজে নিয়োজিত ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মিস্টার অ্যান্ড্রু, এ কাজে নিয়োজিত আরেক ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধি স্প্রীং জাং।
প্রসঙ্গত, চট্টগ্রাম মহানগরীর পয়োনিষ্কাশন ব্যবস্থা স্থাপন প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে চট্টগ্রাম ওয়াসা। প্রথম পর্যায়ে প্রায় ২০ লাখ জনগণ এ উন্নত পয়ঃব্যবস্থার আওতায় আসবে। ফলে নগরীতে স্বাস্থ্যকর পরিবেশ নিশ্চিত করার মাধ্যমে জনগণের জীবনযাত্রার মান উন্নত হবে। এ প্রকল্পের আওতায় দৈনিক ১০ কোটি লিটার ক্ষমতার পরিশোধন প্ল্যান্ট নির্মাণ করা হচ্ছে। পাশাপাশি বাসাবাড়ির তরল বর্জ্য সংগ্রহ ও পরিবহনের জন্য ২০০ কিলোমিটার পয়ঃপাইপ লাইন ও প্রায় ২৮ হাজার বাসাবাড়িতে সংযোগ লাইন স্থাপন করা হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১১৪১ ঘণ্টা, মার্চ ১৫, ২০২৩
এমআর/টিসি