চট্টগ্রাম: সীমা অক্সিজেন লিমিটেডের পরিচালক পারভেজ উদ্দিন সান্টুকে গ্রেফতার, হ্যান্ডকাপ ও কোমরে দড়ি বেঁধে অপমান করার প্রতিবাদে কর্মসূচি ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ শিপ ব্রেকার্স অ্যান্ড রিসাইক্লার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিএসবিআরএ)।
বৃহস্পতিবার (১৬ মার্চ) বিএসবিআরএর প্রতিবাদ সমাবেশে পুলিশের নিন্দনীয় ও অন্যায় আচরণের তীব্র নিন্দা জানানো হয়।
বিষয়টি বাংলানিউজকে নিশ্চিত করেছেন বিএসবিআরএর সভাপতি মো. আবু তাহের।
তিনি জানান, সীমা অক্সিজেন লিমিটেডে দুর্ঘটনার পর জেলা প্রশাসনের নির্দেশক্রমে প্রত্যেক নিহতের পরিবারকে ১০ লাখ টাকা, আহতদের ৫ লাখ ও ২ লাখ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হয়েছে। মোট ১ কোটি ১৮ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ দিয়েছেন মালিকপক্ষ। এরপরও সীমা অক্সিজেন কারখানার মালিক পক্ষের বিরুদ্ধে হয়রানিমূলক মামলা কেন করা হলো তা বোধগম্য নয়। এ কারখানা থেকে কোভিডকালে বিনামূল্যে হাজার হাজার সিলিন্ডার অক্সিজেন দেওয়া হয়েছিল। বিএসবিআরএর সদস্য ও সীমা অক্সিজেন লিমিটেডের পরিচালককে গ্রেফতার ও কোমরে দড়ি বেঁধে আদালতে নেওয়ার ঘটনা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে।
এ ঘটনার প্রতিবাদে শনিবার (১৮ মার্চ) সকাল ১১টায় চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের সামনে মানববন্ধন করে পরবর্তী কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে বলে জানান মো. আবু তাহের।
মঙ্গলবার (১৪ মার্চ) সন্ধ্যায় নগরের জিইসি মোড় থেকে পারভেজ উদ্দীনকে গ্রেফতার করে শিল্প পুলিশ চট্টগ্রাম ইউনিট। বুধবার (১৫ মার্চ) চট্টগ্রাম জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট বেগম নাজমুন নাহারের আদালত পারভেজ উদ্দীনকে একদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা আদালতে ৭ দিনের রিমান্ড আবেদন করেছিলেন। আদালত শুনানি শেষে একদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
গত ৬ মার্চ সীতাকুণ্ড থানায় সীমা অক্সিজেন কারখানায় বিস্ফোরণের ঘটনায় দায়িত্বে অবহেলার অভিযোগে ১৬ জনের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছিল। গত ৪ মার্চ বিকালে কদমরসুলপুর এলাকায় সীমা অক্সিজেন লিমিটেড কারখানায় বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। ঐদিন ৬ জন নিহত হন৷ বিস্ফোরণের ঘটনায় মোট ৭ জন নিহত হয়েছে। বিস্ফোরণে নিহতরা হলেন- শামছুল আলম (৫৬), মো. ফরিদ (৩৬), রতন লকরেট (৪৫), আবদুল কাদের (৫৮), মো. সালাহ উদ্দিন (৩০), সেলিম রিচিল (৪০) ও প্রবেশ লাল শর্মা (৫৫)। আহত হন অন্তত ২৫ জন।
বাংলাদেশ সময়: ২১৫০ ঘণ্টা, মার্চ ১৬, ২০২৩
এআর/পিডি/টিসি