চট্টগ্রাম: অবৈধভাবে গ্যাস-সংযোগ স্থানান্তর ও নতুন সংযোগ দেওয়ার অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) সাবেক প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থানমন্ত্রী নুরুল ইসলামের ছেলে মুজিবুর রহমানের বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলার তদন্তে সাক্ষ্য-প্রমাণ পায়নি।
এতে পাঁচজনকে মামলা থেকে অব্যাহতির সুপারিশ করে বৃহস্পতিবার (৩০ মার্চ) চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ আদালতে চূড়ান্ত প্রতিবেদন আদালতে জমা দেওয়া হয়েছে।
যাদের অব্যাহতির জন্য সুপারিশ করা হয়েছে, তারা হলেন- কেজিডিসিএলের সাবেক মহাব্যবস্থাপক (ইঞ্জিনিয়ারিং ও সার্ভিসেস) মো. সারওয়ার হোসেন, বর্তমানে অবসরপ্রাপ্ত দক্ষিণ জোনের টেকনিশিয়ান (সার্ভেয়ার) মো. দিদারুল আলম, ব্যবস্থাপক মজিবুর রহমান, সাবেক মহাব্যবস্থাপক (বিপণন) মোহাম্মদ আলী চৌধুরী ও গ্রাহক মন্ত্রীর ছেলে মুজিবুর রহমান।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, ২০১৬ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি থেকে সরকারি নির্দেশনায় আবাসিক খাতে নতুন করে গ্যাস সংযোগ দেওয়া বন্ধ রয়েছে।
২০১৭ সালের ২ মার্চ থেকে ২০১৮ সালের ২ আগস্ট পর্যন্ত বিভিন্ন সময়ে এসব সংযোগ দেওয়া হয়েছিল। এর পরিপ্রেক্ষিতে প্রাথমিক অনুসন্ধান শেষে ২০২১ সালের ১০ জুন দুদকের চাকরিচ্যুত ও তৎকালীন চট্টগ্রামের উপ-সহকারী পরিচালক শরীফ উদ্দিন মামলাটি দায়ের করেছিলেন।
মামলা দায়ের তিন দিন পর কেজিডিসিএল কর্মকর্তারা অবৈধ ২২টি সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেয়। তদন্ত কর্মকর্তার দাখিল করা সাক্ষ্য-স্মারক ও অন্য কাগজপত্র পর্যালোচনায় উপযুক্ত সাক্ষ্যপ্রমাণ না পাওয়ায় দুদক আইন–২০০৪–এর ৩২ ধারা এবং দুদক কমিশন বিধিমালা ২০০৭–এর বিধি ১৫ উপবিধি ১–এ প্রদত্ত ক্ষমতাবলে মামলাটির চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিলের অনুমোদন দেওয়া হলো।
চট্টগ্রাম আদালতে দায়িত্বরত দুদকের জিআরও আবদুল লতিফ জানান, মামলার প্রতিবেদন পাওয়ার পর চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ আদালতে পাঠানো হয়েছে। সেখানে আগামী ৯ এপ্রিল এর ওপর শুনানির দিন ধার্য রয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ০১১৭ ঘণ্টা, মার্চ ৩১, ২০২৩
এমআই/টিসি