চট্টগ্রাম: সাতকানিয়া উপজেলার চরতী ইউনিয়নে কৃষকদের ওপর গুলিবর্ষণের ঘটনায় দায়ের হওয়া মামলার প্রধান আসামি স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান রুহুল্লাহ চৌধুরীসহ ৯ আসামিকে বাদ দেওয়া অভিযোগপত্রের অধিকতর তদন্তের জন্য পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
রোববার (২ এপ্রিল) চট্টগ্রামের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আওলাদ হোসেন জুনায়েদের আদালত শুনানি শেষে এই আদেশ দেওয়া হয়।
আবেদনে বলা হয়, আসামির বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ থাকা সত্ত্বেও আগের তদন্ত কর্মকর্তা মামলাটি সঠিকভাবে তদন্ত করেননি। তাই বিষয়টির পেছনের সত্যতা বের করতে আরও তদন্ত প্রয়োজন।
মামলার নথি থেকে জানা যায়, সাতকানিয়া উপজেলার চরতী ইউনিয়নে ২০২১ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর সকালে কৃষকদের জমিতে বালু রাখার জন্য পাইপ স্থাপন করা হচ্ছিল। কৃষকেরা এ কাজে বাধা দেন। এ নিয়ে কৃষকদের সঙ্গে রুহুল্লাহ চৌধুরীসহ কয়েকজনের সংঘর্ষ হয়। সংঘর্ষে অন্তত সাতজন গুলিবিদ্ধ এবং বেশ কয়েকজন আহত হন। পানি উন্নয়ন বোর্ডের ঠিকাদার এস এস ড্রেজার অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানি লিমিটেড উত্তর চরতীর তুলাতুলি কেশুয়ারচর সেনেরচর ঘাটসংলগ্ন সাঙ্গু নদীতে শ্রমিক দিয়ে বালু উত্তোলন করে আসছিল। উত্তোলন করা বালু রুহুল্লাহর সহযোগিতায় কৃষকের জমিতে রাখা নিয়ে বিরোধ তৈরি হয়। কৃষকেরা ফসল নষ্ট হয়ে যাবে এ জন্য জমিতে বালু রাখতে নিষেধ করেন। কিন্তু রুহুল্লার সহযোগিতায় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান কৃষকের জমির ওপর বালু রাখার চেষ্টা করে। এজাহারে মামলার বাদী রুহুল্লাহকে প্রধান আসামি করে মোট ১৫ জনের নাম উল্লেখ করা হয়। কিন্তু পুলিশের দেওয়া অভিযোগপত্র থেকে বাদ যায় এমপির শ্যালকসহ ৯ জনের নাম।
চট্টগ্রাম জেলা পুলিশের পরিদর্শক (প্রসিকিউশন) জাকের হোসাইন মাহমুদ বিষয়টি বাংলানিউজকে নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, মামলার বাদী নারাজি আবেদনে অধিকতর তদন্ত চেয়ে আদালতে আবেদন করেন। আদালত শুনানি শেষে মামলাটি চট্টগ্রাম জেলা পিবিআইকে পুনঃতদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ২১০০ ঘণ্টা, এপ্রিল ২, ২০২৩
এমআই/পিডি/টিসি