চট্টগ্রাম: র্যানকন গ্রুপের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান র্যাংকস এফসি প্রপার্টিস নগরীর মেহেদীবাগে সাম্প্রতিক হস্তান্তরকৃত গ্রিন প্রকল্প হোয়াইট ওকে তরুণ স্থপতিদের নিয়ে ‘মিট দ্য আর্কিটেক্টস: পেভিং দ্য ওয়ে টু গ্রিন বিল্ডিং’ শিরোনামের অনুষ্ঠান আয়োজন করেছে।
দিনব্যাপী প্রকল্প সাইট ভ্রমণ শেষে বিকালে গ্রিন লাউঞ্জ ট্যারেসে প্যানেল আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়।
আলোচকরা গ্রিন ভবন সম্পর্কিত নানা চিন্তাভাবনা নিয়ে বক্তব্য দেন।
স্থপতি আশিক ইমরান বলেন, সিডিএর নিয়মের মধ্যে থেকে যে অত্যাধুনিক এবং চমকপ্রদ ভবন বানানো যায়, তার দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে র্যাংকস এফসি। তিনি তরুণ আর্কিটেক্টদের উদ্দেশ্যে বলেন , শেখা উচিত কি করে সূক্ষ ডিটেইলিং নিশ্চিত করতে হয়।
ইনস্পেসের সিইও ওয়াহিদুর রহমান আদিব বলেন, র্যানকন এর স্থাপত্য নির্মাণের মূল চিন্তাধারা হচ্ছে সিমপ্লিসিটি। আমাদের স্থাপত্য বাংলাদেশের যে জায়গাতেই হোক না কেন এই স্থাপত্যগুলোর বিশেষ বৈশিষ্ট্যের জন্য মানুষ চিনতে বাধ্য। এই বিশেষ বৈশিষ্ট্য হলো-গ্রিন ভবনের অভিনব উপস্থাপনা।
র্যাংকস এফসি’র সিইও তানভীর শাহরিয়ার বলেন, বাংলাদেশে গ্রিন ভবণ নির্মাণ এর যে প্রচেষ্টা সেখানে র্যানকন পথ দেখাচ্ছে। ভবন নির্মাণে আমরা পরিবেশবান্ধব কাঁচামাল ব্যবহার নিশ্চিত করি। আমাদের ভবণ গুলো বিদ্যুত সাশ্রয়ী । প্রাকৃতিক আলোর সর্বোচ্চ ব্যবহার নিশ্চিত করেই আমরা ভবন ডিজাইন করি। এখানে সৌর বিদ্যুতের বহুল ব্যবহার নিশ্চিত করার পাশাপাশি পানির অপচয় রোধ, রেইন ওয়াটার হার্ভেস্টিং করে রিসাইক্লিং নিশ্চিত করা হয়েছে। ভবনের দেয়াল জুড়ে যে ভার্টিকাল গ্রিণ তা কার্বন নিঃসরণ কমাবে। ভবনের তাপমাত্রা অন্তত ১ থেকে ২ ডিগ্রী কম থাকবে সবসময়। আরো বহু নলেজ ইনিশিয়েটিভ নিয়ে ভবিষ্যতে র্যাংকস এফসি প্রপার্টিস সামনে হাজির হবে। তিনি অংশগ্রহণকারী সকল তরুণ স্থপতি ও শিক্ষানবীশ স্থপতিদের ধন্যবাদ জানান।
প্যানেল মেম্বাররা তাদের অভিজ্ঞতা থেকে অংশগ্রহণকারী তরুণ স্থপতিদের বিভিন্য প্রশ্নের উত্তর দেন।
বাংলাদেশ সময়: ১২১২ ঘণ্টা, এপ্রিল ১০, ২০২৩
এসি/টিসি