চট্টগ্রাম: ঘটনাটি ১০ বছরে আগের। প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে মেয়েকে অপহরণের অভিযোগ এনে মামলা দায়ের করেন পরিবার।
শুক্রবার (১৪ এপ্রিল) মামলার কথিত ভিকটিম রুপা শীলকে ও তার চার বছরের শিশুসন্তানকে নোয়াখালীর সুধারাম থানা এলাকা থেকে উদ্ধারের পর জানা যায় প্রকৃত ঘটনা।
পিবিআই সুত্রে জানা যায়, পটিয়া থানার তৎকালীন বড়উঠান এলাকার রূপা শীল ওরফে প্রিয় শীল ওরফে রিয়া তালুকদার (২৮) নামে এক তরুণী ২০১৩ সালে রনি নামক এক যুবকের সঙ্গে পালিয়ে যান। পরে তাকে বিয়ে করেন রূপা। কিন্তু বিষয়টি পরিবার জানলেও তা গোপন করে প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে চট্টগ্রাম নারী ও শিশু নির্যাতন ট্রাইব্যুনালে ৬ জনকে আসামী করে মামলা দায়ের করেন বাবা তিলক শীল। পরে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা আদালতে প্রতিবেদন জমা দেন। এর প্রেক্ষিতে আদালত ৬ জন আসামীর বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার কাজ শুরু করেন। বিচার চলাকালীন সময়ে আসামী শিপলু দাশ, বিল্পব দাশ, সুজন দাশ প্রায় ৬ মাস এবং মিন্টু দাশ ১ সপ্তাহ হাজতবাসও করেন। পরবর্তীতে বিচারচলাকালীন সময়ে বাদী তিলক দাশের আবেদনের প্রেক্ষিতে আদালত গত ২০২১ সালের ২৫ অক্টোবর মামলাটি তদন্তের জন্য পিবিআইকে দায়িত্ব দেন।
পিবিআই চট্টগ্রাম মেট্রোর বিশেষ পুলিশ সুপার নাইমা সুলতানা জানান, মামলার তদন্ত কাজ শুরু করলেও বাদি পক্ষ থেকে কোনো সহযোগীতা পাওয়া যায়নি। পরে বাদী পক্ষের উপর নজরদারী করে পিবিআই। দীর্ঘ তদন্ত শেষে পিবিআই টিম নিশ্চিত হয় ভিকটিম রুপা শীলের সঙ্গে পরিবারের যোগাযোগ আছে। পরে বিভিন্ন তথ্য উপাত্তের মাধ্যমে কথিত অপহৃত রুপা শীলকে নোয়াখালী জেলার সুধারাম এলাকা হতে উদ্ধার করা হয়।
তিনি আরও বলেন, উদ্ধার হওয়া কথিত ভিকটিম রুপা শীল ২০১৩ সালে প্রথমে রনি নামের একজনকে সঙ্গে পালিয়ে বিয়ে করেন। রনির সঙ্গে দুই বছর সংসার করার পর আবার আলাদা হয়ে যায় রুপা। বিষয়টি তার পরিবার জানতো। পরিবারের পরামর্শে রুপা শীল কখনো প্রিয়া শীল, কখনো রিয়া তালুকদার নাম ধারণ করে। পরবর্তীতে নোয়াখালীর টিপু তালুকদারের সঙ্গে পরিচয় হয়। ২০১৮ সালে টিপু তালুকদারকে বিয়ে করে রুপা শীল। তখন নাম পাল্টিয়ে রিয়া তালুকদার রাখা হয়। এই সংসারে তার চার বছরের একটি পুত্রসন্তান রয়েছে। মূলত অনৈতিকভাবে আর্থিক লাভবান হওয়ার জন্য বিবাদীদের বিরুদ্ধে মামলাটি করেছিলেন রুপা শীলের বাবা তিলক শীল।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৫৪ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৫, ২০২৩
এমআর/টিসি