চট্টগ্রাম: শুরুটা হয়েছিল ২০১৪ সালের রমজান মাসে। ২০২৩ সালে এসেও চলছে গরিব ও নিম্ন আয়ের মানুষের মাঝে বিনামূল্যে ইফতার বিতরণ করেন মো. সালাহউদ্দীন।
নগরের শেরশাহ বায়েজিদ লিংক রোড মোড়ে ১০ বছর ধরে রিকশাচালক, ভ্যানচালক, ভিক্ষুক, দিনমজুর সহ দরিদ্রদের ইফতারি বিতরণ করে যাচ্ছেন তিনি ।
১৫-২০ মিনিট আগে রোজাদারদের হাতে তুলে দেওয়া হয় খাবারভর্তি প্লেট ও শরবত। ইফতারের আইটেমের মধ্যে থাকে ছোলা, পেঁয়াজু, বেগুনি, খেজুর ও মুড়ি। সঙ্গে কখনও তরমুজ, মৌসুমি ফল কিংবা ফিন্নি দেওয়া হয়। মাঝে মধ্যে দেওয়া হয় বিরিয়ানিও। সবাই এককাতারে বসে ইফতার করেন।
প্রজন্ম ক্লাবের সদস্যরা স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে এ কাজ করে যাচ্ছেন। তারা সবাই শেরশাহ এলাকার বাসিন্দা এবং নগরের বিভিন্ন কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী।
পোর্ট সিটি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ওমর সানি জানান, রমজানের প্রথম দিন থেকে প্রতিদিন দেড়শ থেকে দুইশ গরিব রোজাদারকে বিনামূল্যে ইফতার করানো হচ্ছে রাজনীতিবিদ মো. সালাহউদ্দীনের আর্থিক সহযোগিতায়।
সরেজমিন দেখা যায়, ভিক্ষুক সাফিয়া বেগম, রিকশাচালক মজনু মিয়া, দিনমজুর সাফায়েত এর মতো দেড় শতাধিক মানুষ ইফতারি নিয়ে বসে আছেন চেয়ারে অস্থায়ী প্যান্ডেলের নিচে। সাইরেন বাজলেই শুরু হবে ইফতার। এমন আয়োজনের জন্য তারা মো. সালাহউদ্দীনের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করলেন। সেখানে জায়গা সংকুলান না হওয়ায় অনেকে বসেছেন ফুটপাতে।
রিকশাচালক মো. মিলন বলেন, চার সন্তানসহ ছয় জনের সংসারে প্রতিদিন ইফতার করা সম্ভব হয় না। তাই স্ত্রী-সন্তানদের নিয়ে এখানে চলে আসি।
অন্যের বাড়িতে গৃহকর্মী হিসেবে কাজ করেন রাহেলা বেগম। তিনি বলেন, ১৫ রমজান পর্যন্ত এখানেই বিনামূল্যে ইফতার করেছি। খুবই ভালো লেগেছে। যিনি এই ব্যবস্থা করে দিয়েছেন, তাঁর জন্য দোয়া রইলো।
আয়োজক মো. সালাহউদ্দীন বাংলানিউজকে বলেন, পুরো রমজান মাসজুড়ে আমাদের এ আয়োজন চলছে। যখন এই কর্মসূচি শুরু করেছিলাম তখন ৩০-৪০ জন দরিদ্র রোজাদার ইফতার করতে আসতেন। বছর বছর সেই সংখ্যা বেড়েছে। বর্তমানে প্রতিদিন প্রায় দুইশ জনকে বিনামূল্যে ইফতার করানো হয়। মানুষের জন্য কিছু করতে পারার মধ্যে অনেক আনন্দ লুকিয়ে থাকে।
বাংলাদেশ সময়: ১৯০০ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৭, ২০২৩
এমআই/পিডি/টিসি