চট্টগ্রাম: যথাযোগ্য ধর্মীয় মর্যাদা ও ভাবগাম্ভীর্যপূর্ণ পরিবেশে পবিত্র লাইলাতুল কদর বা শবে কদর পালিত হচ্ছে। এক রাতে হাজার মাসের ইবাদতের সওয়াব পেতে এশার নামাজে প্রতিটি মসজিদে উপচে পড়া ভিড় দেখা গেছে।
নিয়মিত এশার নামাজ, তারাবির নামাজের বাইরে মুসল্লিরা আদায় করেছেন শবে কদরের নফল নামাজও। ছিল বিশেষ ওয়াজ, মিলাদ, কিয়াম, জিকির, কোরআন তেলাওয়াত, দরুদ পাঠ, আখেরি মোনাজাত।
রাত ১০টায় জমিয়তুল ফালাহ মসজিদের ফটকে কথা হয় মেহেদিবাগ থেকে এশার নামাজ পড়তে আসা আবদুল করিমের সঙ্গে। তিনি বলেন, আজ মহিমান্বিত রজনী। বেশি মানুষের সঙ্গে মোনাজাতে হাত তুললে আল্লাহ দোয়া কবুল করবেন- এমন বিশ্বাস থেকে বড় মসজিদে এসেছি। সারা রাত নফল এবাদত করবো। তাহাজ্জুদ, কিয়ামুল লাইল, ফজরের নামাজ পড়ে ঘুমাতে যাব।
মঙ্গলবার (১৮ এপ্রিল) সন্ধ্যা থেকে শুরু হয় শবে কদরের আমল। প্রতিটি মসজিদে বিশেষ দোয়া করা হয় খরা, করোনামুক্তি, বিশ্বশান্তি, দেশ ও জাতির সমৃদ্ধি ও কল্যাণ কামনায়।
মসজিদের পাশাপাশি চট্টগ্রামের বিভিন্ন দরগাহ, মাজার, পীর আউলিয়ার আস্তানা, খানকাহ, দরবারেও ছিল ভক্তদের ভিড়। চৈতন্যগলিসহ বড় বড় কবরস্থানগুলোতে স্বজনদের কবর জেয়ারত করতে দেখা যায় অনেককে। বড় বড় মসজিদ ও মাজারের সামনে বসেছে আতর, টুপি, তসবিহ, আগরবাতি, মোমবাতি, জায়নামাজ, পাঞ্জাবি, পাজামা, দই চিঁড়া, শরবত, মুখরোচক খাবার, চায়ের ভাসমান দোকান। অনেকে দান সদকা করেছেন গরিব, দুস্থদের।
জমিয়তুল ফালাহর মাঠে টুপি বিক্রি করছেন আজমত হোসেন। তিনি জানান, ২০ টাকা থেকে ২০০ টাকা দামের টুপি আছে। অনেকে ঈদের জন্যও পছন্দের টুপি কিনছেন।
শুধু মসজিদ-খানকাহ-মাজার নয়, প্রতিটি ঘরে ঘরে শবে কদর পালিত হচ্ছে বিশেষ মর্যাদায়।
বাংলাদেশ সময়: ২২১৫ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৮, ২০২৩
এআর/টিসি